পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ)8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १२ कछ, ३ टाँ* = முக গুলি স্বতঃ যে কি সে-বিষয়ে তামের স্থির কিছুই বলিতে পারি না, কেননা অামাদের ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে তাহারা যেরূপ শব্দস্পশাদির অনুভব উৎপাদন করে, তাহা হইতে তাহারা সম্পূর্ণ বিভিন্ন | জড়বস্তুর বৈকারিক গুণ আমরা আমাদের জ্ঞানে যাহা উপলব্ধি করি, তাহ ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি ভিন্ন আর কিছুই নহে ; কাজেই, শুদ্ধ যদি কেবল সেই ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতিই জড়বস্তুর একমাত্র পরিচায়ক হইত, তবে জড়বস্তুর অস্তিত্ব পর্যন্ত নিতান্তই সংশয়স্থলে নিপতিত হইত । মৌলিকগুণের পরিচয় চিহ্ন ॥ ৫ ॥ মনোবিজ্ঞান বলে যে, জড়বস্তুর মৌলিক গুণগুলি স্বতন্ত্র প্রকার ; তাহারা জড়বস্তুর : সকল গুণ আমরা সাক্ষাৎ সম্বন্ধে বাহিরে এবং সংঘাত (Solidity)--এইগুলিই প্রধানত । উপলব্ধি করি—আমাদের মনের অভ্যন্তরে শৈত্য ঔষ্ণ্যের । বাহ্য অস্তিত্ব আমরা সুস্পষ্টরূপে হৃদয়ঙ্গম য়ক তীমুভূতি মাত্র বলিয়া উপলব্ধি করি । করি—সুতরাং তাহারা যে, বহিৰ্ব্বস্তুরই গুণ, এ বিষয়ে আর আমাদের সংশয় ১.ত থাকিতে পারে না । অস্তিত্ব প্রতিপাদন করে। আকার বিস্ত তি জড়বস্তুর মৌলিক গুণ । স্যায় এগুলিকে তামারা শুদ্ধ কেবল ঐন্দ্রি না, তা ছাড়া এগুলিকে আমরা বহির্বস্তুসমাশ্রিত বলিয়া উপলব্ধি করি । ঔষ্ণা, বর্ণ, শব্দ, এই সকল গুণ আমাদের ইন্দ্রিয়ের বিকার মাত্র --এবং ইহাদের মাত্রাতিশয্য হইলে ইহার স্তু-সকলের আকৃতি বিস্তুতি এবং সংঘাতের ওরূপ মাত্রাতিশম্য সম্ভবে না । এই ব্যাপারটি ঐন্দ্রিয়ক অনুভব এবং প্রত্যক্ষ এ দুয়ের প্রভেদ জ্ঞাপন করিতেছে । ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি বিভিন্ন মাত্রায় উত্তেজিত হইতে পারে—এবং কতক-নাকতক মাত্রা শারীরিক সুখ দুঃখ তাহার সঙ্গে লাগিয়া থাকে । কিন্তু প্রত্যক্ষ-নামক মনোবৃত্তি, যাহা আকৃতি বিস্তৃতি এবং সংঘাত লইয়া ব্যাপৃত হয়, তাহ সেরূপ আমাদের । নিকট অসহ্য হইয় উঠে। কিন্তু ভৌতিক । দুই জাতীয় গুণের মধ্যে—প্রত্যক্ষ এবং নহে; তাহার মাত্রা সর্বদাই সমান, এবং তাহা শারীরিক সুখ-দুঃখে জড়িত নহে। প্রত্যক্ষ দ্বারাই আমরা জড়বস্তুর মৌলিক গুণগুলি (অর্থাৎ আকৃতি বিস্তুতি সংঘাত) অবগত হই—ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি দ্বারা নহে। মনোবিজ্ঞান আরো এই বলে যে, মৌলিক গুণ-বাচক শব্দ-গুলি বৈকারিক গুণ-বাচক শব্দগুলির ন্যায় দ্ব্যর্থসূচক নহে। কিন্তু এ সম্বন্ধে সর্বাপেক্ষ একটি গুরুতর বিষয় ঘাহা মনোবিজ্ঞান আমাদের লক্ষ্যে আনয়ন করে তাহা এই যে, মৌলিক গুণগুলির সাহায্যে আমরা যে-সকল বস্তু উপলব্ধি করি—মৌলিক গুণ-গুলি সেই সকল বস্তুকে আশ্রয় করিয়া বর্তমান থাকে— আমাদের মনকে আশ্রয় করিয়া নহে ; এ নহে । আকৃতি বিস্তৃতি এবং সংঘাতের কিন্তু শব্দ-সম্পর্শদি বৈকারিক গুণ-সকলের বাহ্য-সত্তা বিষয়ে আমরা স্থির কিছুই বলিতে পারি না,— কাজেই ইহারা স্বতন্ত্র শ্রেণীভুক্ত । জড়বস্তুর মৌলিক এবং বৈকারিক এই ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতির মধ্যে—মনোবিজ্ঞান যেরূপ ভেদ নির্দেশ করেন তাহ ঐ । ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি বলিয়া যে একটি মনোবৃত্তি—তাহ বৈকারিক গুণ-সকলের বাহ্যসভা স্পষ্টরূপে নির্দেশ করিতে পারে না, তাহা অন্তর্বাহ্যের মধ্যে ক্রমাগতই ইতস্ততঃ করে ; আর, প্রত্যক্ষ বলিয়া যে একটি মনোবৃত্তি তাহ মৌলিক গুণ সকলের বাহ্য সত্তা অতীব স্পষ্টাক্ষরে জ্ঞাপন করে।