পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रां वर्ण ***० Soó. মনোবিজ্ঞানের মতানুসারে, ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি মানসিক অবস্থার পরিচায়ক এবং প্রত্যক্ষ-বৃত্তি বহির্জগতের পরিচায়ক। এই প্রকার প্রভেদের দোষ ॥৬ ॥ প্রভেদটি নিজে তত দোষের নহে। যদিচ ওরূপ প্রভেদ নিরূপণে বিশেষ কোন ফল দশে না, তথাপি এ কথা স্বীকার করিতে কোন দোম নাই যে, জড়বস্তুর মৌলিক গুণগুলি এক শ্রেণীভুক্ত ও তাহার - -- *-*. কাহারো অপেক্ষ নূ্যন নহে। কাজেই, দুয়ের প্রভেদ নিরূপণ দ্বারা মৌলিক গুণের দ্ব্যর্থ-সূচকত দোষ ঘুচাইতে গেলে, সে দোষ কিছু আর সত্য সত্যই ঘুচানো হয় না—শুদ্ধ কেবল গোপন করা হয় মাত্র। আর ঐ দুই জাতীয় গুণের মধ্যে প্রভেদ নিরূপণ দ্বারা প্রত্যক্ষ-জ্ঞানের একটা সিদ্ধান্ত দাড় করাইভে গেলে—চক্ষে ধূলি দেওয়া রকমের একটা ৪ে, লমেলে সিদ্ধান্ত বৈকারিক গুণ-গুলি আর এক শ্রেণী-ভুক্ত ; .শেষোক্ত গুণগুলি অস্পষ্ট এবং তালুভূতিক, পূর্বোক্ত গুণগুলি স্পষ্ট এবং প্রত্যক্ষ । একটি কথা বলিতেছেন যে বৈকারিক গুণ গুলি দ্ব্যর্থ-সূচক, ইহার উত্তর এই যে, দ্ব্যৰ্থ- : সূচকতার কথা যদি বল—তবে সে বিষয়ে । বৈকারিক গুণ ও যেমন—মৌলিক গুণ ও তেমনি—দুইই সমান। আকৃতি বিস্তৃতি সংঘাত বলিতে শুদ্ধ কি কেবল বহির্বিবর্যয়েরই গুণ বুঝায়—আমাদের প্রত্যক্ষ-বৃত্তির পরিণাম বুঝায় না ? প্রত্যক্ষ-বহিভূত আকৃতি বিস্তুতি এবং সংঘাত যে, কি, তাহা কি মনোবিজ্ঞান বলিতে পারেন, না কোন মনুষ্য তাহা বলিতে পারে ? মৌলিক গুণের প্রত্যক্ষই কেবল আমাদের মানসক্ষেত্রে উপস্থিত হয়—মৌলিক-গুণ স্বতন্ত্ররূপে তথায় উপস্থিত হয় না। তেমনি আবার,বৈকারিক গুণের ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতিই : কেবল আমাদের মানস-ক্ষেত্রে উপস্থিত । হয়, বৈকারিক গুণ স্বতন্ত্ররূপে তথায় উপস্থিত হয় না। ইহাও যেমন উহাও তেমনি; উভয়েই একদিকে যেমন বহির্বস্তুর গুণ, অার একদিকে তেমনি মনোবৃত্তির পরিণাম । অতএব বৈকারিক গুণ-বাচক শব্দগুলিও যেমন—মৌলিক গুণবাচক শব্দগুলিও তেমনি—দ্ব্যর্থ-সূচকতা-বিষয়ে কেহ ফলে, মনোবিজ্ঞান এই যে | গড়িয়া তোলা হয় মাত্র । উহা স্ববিরোধিতায় প্রধাবিত হয় ৷ ৭ ৷ কিন্তু এখানকার ভ্রম যেটি, তাহা উক্ত প্রভেদ-নিবন্ধন তত নহে—যত সেই প্রভেদের প্রয়োগ-নিবন্ধন। মনোবিজ্ঞানের হস্তে পড়িয়া ঐ প্রভেদটি স্পষ্ট একটি স্ববিরোধিতায় প্রধাবিত হয় । সে স্ববিরোধিতা অষ্টম প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্তে মূৰ্ত্তিমান—তাহ। এই যে, জ্ঞাতা আপনাকে না জানিয়া জড়বস্তুর বিশেষ এক জাতীয় গুণ জ্ঞানে উপলব্ধি করিতে পারে । কোথা হইতে এই স্ববিরোধের সূত্র উত্থাপিত হয় তাহ। অতঃপর দেখা যাইতেছে । মনোবিজ্ঞানের মতে মায়াবাদ কিরূপ ৷ ৮ ৷৷ মনোবিজ্ঞান যাহাকে মায়াবাদ বলিয়া ভয় পান, তাহার প্রতিবিধান-মানসেই তিনি ঐরূপ প্রভেদ নিরূপণে প্রবৃত্ত হ’ন । মনোবিজ্ঞানের মতে ঐরুপ প্রভেদের অস্বীকারের উপরেই মায়াবাদ প্রতিষ্ঠিত । তিনি ভাবেন যে, মায়াবাদ ঐ দুই জাতীয় গুণকে মিসাইয়া এক করিয়া ফেলে—বৈকারিক গুণের ধৰ্ম্ম মৌলিক গুণে আরোপ করে-— শৈত্য ঔষ্ণ্য প্রভৃতির ন্যায় আকৃতি বিস্তুতি এবং সংঘাতকে অন্তঃকরণের বিকার মাত্র বলিয়া প্রতিপাদন করে । তাহার মতে, মায়াবাদ জড়বস্তুর বৈকারিক গুণ-সকলের ন্যায় তাহার মৌলিক গুণ-সকলকেও অ