পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

აეჯ) তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १९ कन्न, २ छां★ o স্পষ্ট এবং দুর্ভেদ্য মনে করে। মায়াবাদ মনে করে যে, জড়জগতের আন্দোলনকালে আমরা জড়-বস্তুর গুণ-সকল জ্ঞানে উপলব্ধি করি না ; উপলব্ধি করিবার মধ্যে শুদ্ধ কেবল আমাদের আপনাদের কতক গুলি মানসিক বিকারই উপলব্ধি করি । মনোবিজ্ঞানী ভাবেন যে, এইরূপে মায়া- ! বাদ জড়বস্তুর অস্তিত্ব হয় একেবারেই যে দশা—মৌলিক গুণেরও যদি সেই কাহাকেও পরম্পরায় পরিণত করিতে বাস্তবিকই সমর্থ হই, তবে তাহাতে দাড়ায় এই যে, আমাদের ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতির উত্তেজক কারণ—জড় জগৎ না হইয়া আরকোন কিছু হইলেও হইতে পারে, কাজেই জড়বস্তুর স্বতন্ত্র সভা সংশয় স্থলে নিপতিত হয় ; তাহা হইলেই দাড়ায় যে, অনুভবিতা’র বিলোপ হইলেই সমস্ত জড় জগৎ বিলুপ্ত হইয়া যায়, কেননা সমস্ত জড়জগৎ অনুভূতি-পরম্পরা ভিন্ন আর কিছুই নহে। মনোবিজ্ঞানের মতে— ইহাই মায়াবাদ। মনোবিজ্ঞান ভাবেন যে, জড়জগতের মূলোচ্ছেদ করা—মৌলিক এবং বৈকারিক এই দুই জাতীয় গুণের প্রভেদ অগ্রাহ্য করিয়া জড়বস্তুর স্বতন্ত্র-সত্তাকে জ্ঞান হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দেওয়া—ইহাই মায়াবাদের চরম উদ্দেশ্য । মনোবিজ্ঞানী মনে করেন যে মায়াবাদ নিম্ন-প্রকার অতি ব্যাপ্তি দোষে দূষিত ;—জড়বস্তুর কোন কোন গুণ (যেমন উত্তাপ শব্দ বর্ণ) পরী ক্ষাতে এইরূপ পাওয়া যায় যে, তাহারা আমাদের ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি-মাত্র, অতএব জড়-বস্তুর সমস্ত গুণই আমাদের মনোবৃত্তির পরিণাম । মনোবিজ্ঞান-কর্তৃক মায়াবাদের খণ্ডন ॥ ৯ ॥ “মায়াবাদের ভুল এইবার ধরা পড়িয়াছে—মায়াবাদ মৌলিক এবং বৈকা রিক এই দুই বিভিন্ন জাতীয় গুণকে এক উড়াইয়া দে’ন—নয় বিষম ভজকটে । সঙ্গে মিসাইয়া খিচুড়ি পাকাইয়াছেন” এই ফেলিয়া দেন ; কারণ, বৈকারিক গুণের রূপ স্থির-নিশ্চয় করিয়া, মনোবিজ্ঞান মায়াবাদের খণ্ডন-কার্য্যে কোমর বাধিয়া . দশা হয়, যদি দুই জাতীয় গুণের ! আমরা স্বরূপতঃ উপলব্ধি । করিতে না পারি, আর যদি আমরা , লওয় সমস্ত জড়-জগৎকে ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি । প্রবৃত্ত হ’ন,—জড়জগতের নিকট হইতে তাহার স্বতন্ত্র সত্তা যাহা অবৈধ-রূপে কাড়িয়া হইয়াছে তাহা তাহাকে ফিরাইয়া দিতে প্রবৃত্ত হন। তিনি ঐ প্রভেদটিকে কার্য্য-ক্ষেত্রে অবতারণ করেন । ইহা তিনি স্বীকার করেন যে, জড়বস্তুর কোন কোন গুণ আমাদের মনোবৃত্তির পরিণাম-মাত্র ; কিন্তু তাহ বলিয়া জড়বস্তুর সকল গুণই যে সেইরূপ, তাহা তিনি স্বীকার করেন ! न1 ।। আছে—বিস্তুতি আছে—সংঘাত আছে, তিনি বলেন, জড়বস্তুর আকৃতি ইহারা ও-রূপে বাগ মানিবার পাত্র নহে ; ইহারা শৈত্য ঔষ্ণ্য প্রভূতির দলে মিশিয়। ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি সাজিতে কিছুতেই সম্মত হয় না। তবুও যদি ও-দুই শ্রেণীর গুণকে বল-পূর্বক একত্র মিসাইতে যাও, তবে তেলে জলে মিসানোই সার হইবে । .মৌলিক-গুণ সকল লুকাচুরি জানে না, তাহাদের ভিতর বাহির সমান ; তাহাদের সভা অতীব সুস্পষ্ট সত্তা, তাহার মধ্যে দুর্ভেদ্য কিছুই নাই। বৈকারিক গুণসকলই মূলবস্তুতে একরূপ এবং আমাদের ইন্দ্রিয়াভ্যন্তরে আর-একরূপ, কিন্তু মৌলিক গুণ-সকল সেরূপ নহে । তাহারা পষ্টাপষ্টি মায়াবাদীর সম্মুখে দণ্ডায়