পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و بد ۴۹۹ بع মান হইয়া বলে যে, “তুমি তোমার সমস্ত গোলাগুলি বর্ষণ করিয়া আমাদিগকে উড়াইয়া দিতে চেষ্টা কর—পরিবে না।” আমাদের ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি জড়বস্তুর আভ্যন্তরিক প্রকৃতি-বিষয়ে স্পষ্ট কোন কথাই বলে না, এমন কি জড়বস্তুর অস্তিত্বেরও সমুচিত প্রমাণ প্রদর্শন করে না ; সে তাহা না করুক--প্রত্যক্ষ বলিয়া আরএকটি মনোবৃত্তি যাহা অামাদের অাছে, যাহা জড়বস্তুর আকৃতি বিস্তুতি এবং সংঘাত লইয়া ব্যাপৃত হয়, সেই প্রত্যক্ষবৃত্তি আমাদিগকে জড়বস্তুর আভ্যন্তরিক দেয় ; আর, এই মৌলিক গুণ-সকলের স্বতন্ত্র সত্তা প্রতিপাদন করিতে কিছু মাত্র कू%िड झझे नां । উহা স্ববিরোধী এই জন্য গ্রাহ্য न८ङ् ॥ ५० ॥ প্রথম দৃষ্টিতে মনে হয় বটে যে, উপরি-উক্ত যুক্তিটি নিতান্ত বল-হীন নহে, কিন্তু উহার বলবত্তা শিরোধাৰ্য্য করিবার পূৰ্ব্বে সামান্য গুটি-দুই কথা বিবেচ্য। এ শুধু বলিলে চলিবে না যে, ঐন্দ্রিয়ক অনুভূতি প্রত্যক্ষ হইতে বিভিন্ন, অথবা মৌলিক গুণ-সকল বৈকারিক গুণ-সকল হইতে বিভিন্ন ; তা ছাড়া, এইটি দেখানে। চাই যে, মৌলিক গুণ-সকল স্বতন্ত্র-রূপে (অর্থাৎ জ্ঞাতার অপেক্ষা না রাখিয়া স্বতন্ত্র রূপে) জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য ; মনোবিজ্ঞানী যতক্ষণ না এইটি দেখাইতে পারিতেছেন, ততক্ষণ পর্য্যন্ত র্তাহার ঐ যুক্তিটিতে কোন ফল দর্শিতেছে না। জড়বস্তুর জ্ঞান-ৰহিভূত স্বতন্ত্র সত্তা প্রমাণ করাই মনোবিজ্ঞানীর উদ্দেশ্য । মনে কর যেন জড়বস্তুর ঐরূপ সত্তা আছে ; কিন্তু দর্শন-সংহিতা—জ্ঞানতত্ত্ব কি আইদে যায় ? প্রকৃতি এবং সভাতে সহজেই পৌছাইয়া । জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য ? স্থব্যক্ত সভার বলেই আমরা জড়বস্তুর । ২৩৭ বেন যে, মৌলিক গুণ-সকলের জ্ঞান-বহিভূত স্বতন্ত্র সভাই জড়বস্তুর স্বতন্ত্র সত্তার একমাত্র প্রমাণ । উত্তম কথা,—মৌলিক গুণ-সকলের জ্ঞান-বহির্ভূত স্বতন্ত্র সভার প্রমাণ প্রদর্শন কর, তাহ হইলেই বিবাদ মিটিয়া যাইবে ; কিন্তু তাহ। তুমি করিতেছ না—তুমি কেবল বলিতেছ যে, বৈকারিক গুণ (শব্দ-স্পর্শ দি) একজাতীয় গুণ এবং মৌলিক গুণ (আকৃতি বিস্ত তি সংঘাত) আর-এক জাতীয় গুণ ; इड्रेतइँ ব। আর একজাতীয় গুণ, তাহতে কাহার মৌলিক গুণ কি জ্ঞাতার অপেক্ষ। না রাখিয়া স্বতন্ত্র রূপে তাহা হইলেই বলিতে পারি যে, মৌলিক গুণের স্বতন্ত্র সভা যখন আমাদের জ্ঞানে উপলব্ধিগম্য—তখন কাজেই তাহা অামাদের শিরোধাৰ্য্য ; কেননা জ্ঞানই সভার একমাত্র প্রমাণ । অতএব মনোবিজ্ঞানীর প্রকৃত অভিপ্রায়টিকে জঞ্জালমুক্ত করিয়া স্পষ্ট কথায় ব্যক্ত করিতে হইলে এইরূপ বলিতে হয় যে, জড়বস্তুর বিশেষ এক-জাতীয় গুণ (মৌলিক গুণ) স্বতন্ত্র-রূপে (অর্থাৎ জ্ঞানের সহিত সম্বন্ধ-বহিভূত রূপে) জ্ঞানে উপলব্ধ হয়, অতএব মৌলিক গুণ এবং তাহার আশ্রয়ীভূত জড়বস্তুর স্বতন্ত্র সভা বাস্তবিকই আছে । ওরূপ স্বতন্ত্র সত্ত৷ বাস্তবিকই আছে কি নাই এ বিষয়ে এখানে আমরা কোন কথাই বলিতে চাহি না, এখানে আমাদের বক্তব্য শুধু এই যে, উপরি উক্ত যুক্তির গোড়ার কথাটি (অর্থাৎ “মৌলিক গুণের স্বতন্ত্র সত্তা জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য” এই কথাটি) ভ্ৰমাত্মক ও স্ববিরোধী । ইহা একটি যুক্তিযুক্ত অবশ্যম্ভাবী সত্যের বিরোধী—অষ্টম সিদ্ধান্তের বি তাহার প্রমাণ কি ? মনোবিজ্ঞানী বলি- রোধী। যে-কোন জ্ঞাত হউন্‌ না কেন,