পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• داد ۹۹ - ৩৯ : আত্মা পরমাত্মা mo memoms _ —w ഇജബ= صحد كصحاسيسعد جديد صفه همفاصيص- ص. S AAAA SSASAS SSAS SSAS MAAA S করি এবং তাহার প্রেমসাগরে অবগাহন করিয়া বিমল শান্তি উপভোগ করিতে থাকি তখনই তাহাকে হৃদয়-রাজ্যের স্বামী না বলিয়া আর থাকিতে পারি না । তাহার সঙ্গে আমারদের সম্বন্ধ-বৈচিত্র এত অধিক যে যতই তাহার বিষয় আলোচনা করিতে থাকি ততই মনে নূতন ভাবের বিকাশ হইতে থাকে। এই জন্য ঈশ্বরচিন্তা কোন কালেই আমারদের নিকট পুরাতন হয় না। বাস্তৃবিক উহার মধ্যে এতই মাধুরী বিদ্যমান রহিয়াছে, যে, পৃথিবীর সকল প্রকার প্রলোভন তুচ্ছ । করিয়া সাধক কেবল তা হাতেই শান্তি পান, এবং বলিতে থাকেন “নাল্পে সুখমস্তি’ । - জীবাত্মা ও পরমাত্মা উভয়েই তায় । ইহাই উভয়ের ঐক্য স্থল। যে তাপনাকে জানে সেই আত্মা । জীবাত্মা বলিতে পারে “আমি তাছি” । শোণিত-মাংসতাস্তি-সমন্বিত জড় শরীর আপনাকে তামি বলিতে পারে না । মৃত্যুর সময়ে এ দেহ পড়িয়া থাকিবে, আমি বা আত্মা এ দেহপিঞ্জর হইতে চিরবিদায় গ্রহণ করিয়া চলিয়া যাইবে । “আমি আছি” ইহাই জীবাত্মার নির্দেশ, সুতরাং আমি কালে বদ্ধ। আত্মা নিরাকার সুতরাং দেশে ইহাকে বদ্ধ করা যায় না। পরমাত্মা অর্থাৎ “আমি আছি চিরকাল’ ইহা দেশেও বদ্ধ নহে কালেও বদ্ধ নহে । এমন এক সময় ছিল যখন “আমি ছিলাম না।” ইদং বা অগ্ৰে নৈব কিঞ্চিদাসীৎ, সদেব সৌম্যেদমগ্র অাসীৎ | এই জগৎ পূৰ্ব্বে কিছুই ছিল না, কেবল এক সৎস্বরূপ পরব্রহ্ম ছিলেন । তিনি ইচ্ছা করিলেন, আলোচনা করিলেন এবং এই সমুদয় যাহা কিছু স্বষ্টি করিলেন। সৎ স্বরূপ পরব্রহ্ম যেমন স্মৃষ্টির পূর্বেও ছিলেন এখনও আছেন, পরেও থাকিবেন । অত্মাকে সেরূপ বলা যাইতে পারে না । তিনি “অজ আত্মা” তাহার জন্ম নাই বিকার নাই সুতরাং তিনি দেশ কালের অতীত। কিন্তু জীবাত্মার সম্বন্ধে বল। যাইতে পারে না যে তিনি আজ তাত্মা । ইহাই জীবাত্মা ও পরমাত্মার প্রভেদ । জীবাত্ম পরিমিত শাঁস ধারণ করিয়া পরমাত্মা হইতে নিঃস্থত হইয়াছে, তাহারই ইচ্ছানুসারে তাহাকে অবলম্বন করিয়া রহিয়াছে । যতদিন তাহার ইচ্ছার বিরাম না হইবে ততকাল তাহাকেই অবলম্বন করিয়৷ উন্নতি সোপানে আরোহণ করিতে থাকিবে। কিন্তু পরমাত্মা স্বতন্ত্র, স্বয়ন্থ নিত্য পরিপূর্ণ ও নিৰ্ব্বিকার । যখন তাবৎ প্রাণী নিদ্রাতে অভিভূত থাকে, তখন পরমাত্ম। নিদ্রিত থাকেন না । য এম সুপ্তেযু জাগৰ্ত্তি কামং কামং পুরুমে নিৰ্ম্মি মাণঃ যিনি অন্ধকার রজনীর সাক্ষীস্বরূপ হইয়। সকলের প্রয়োজনীয় নানা অর্থ নিৰ্ম্মাণ করিতে থাকেন তিনিই ব্রহ্ম । কিন্তু মনুষ্যের চঞ্চলত আছে, অজ্ঞানতা আছে, মোহ আছে, ভ্রম প্রমাদ আছে, বিকার অাছে সুতরাং তাহার সঙ্গে সঙ্গে, জীবাত্মার ও সজীবতা নিজীবতা আছে । জীবাত্মা পরমাত্মা উভয়েই আত্মা হইলে ও উভয়ের মধ্যে প্রভেদ এত অধিক । জীবাত্মা পরমাত্মার সাদৃশ্বে গঠিত হইয়। স্বয়ম্প্রকাশ পরমেশ্বরের প্রকাশে প্রকাশিত হইতেছে । তিনিই ইহার আলোক তিনিই ইহার জীবন জ্যোতি সকলই । তিনিই ইহার প্রতিষ্ঠাভূমি । যখনই মোহমেঘ অন্তরাকাশে উদিত হইয়। চতুদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন করে, তখনই আত্মা নিজীব মৃতপ্রায় আসাঢ় হইয়া প্ৰ