পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծV 3 Փ -ط =ہے. --بھیعے== মধ্যে প্রায় দেখা যায় অন্য সকল বিষয়ে ভাল হইলেও র্তাহাদিগের ক্রোধবৃত্তি কিছু প্রবল হয় এবং তাহ ভিন্নমতাবলম্বীর প্রতি বিশেষ রূপে পরিচালিত হয় । এইরূপ অনেীদাৰ্য্য হইতে যিনি মুক্ত তিনি প্রকৃত ধাৰ্ম্মিক । সমদম তিতিক্ষা, সদা সন্তোষ, ক্ষমা, মৈত্রী ও করুণ, এই সকল গুণ দ্বারা প্রকৃত ধাৰ্ম্মিকতার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় এই জন্য উপনিষদে উক্ত হইয়াছে যে “ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দূরত্যয় দুর্ণং পথস্তং কবয়ো বদস্তি’ । ধৰ্ম্মপথ শাণিত ক্ষুরধারার ন্যায় দুর্গম ও দুরতিক্রমণীয় ইহা জ্ঞানীরা বলিয়া থা ====سa =g مصا قصطض= eد কেন। জে গোল্ড (Jay Gould) ন্যায় লোকে । পঞ্চান্ন কোটী টাকার অধীশ্বর হইতে পারে কিন্তু প্রকৃত ধাৰ্ম্মিক হওয়৷ বড়ই কঠিন । আমরা অনেক সময় ধৰ্ম্ম কি কঠিন মনে করি না । আমরা অনেক সময় মনে করি কেবল বক্ততা অথবা উৎসবে মাত অথবা ব্রহ্মসঙ্গীত শুনিয়া গলিয়। মা ওয়া অথবা ঈশ্বরের নামশ্রবণে প্রেমাশত বিসর্জন করাই প্রকৃত ধৰ্ম্ম । ভক্তি ধৰ্ম্মের প্রধান উপাদান বটে কিন্তু কোন মনুয্যে যথার্থ ভক্তির সঞ্চার হইয়াছে কিনা তাহ সমদম তিতিক্ষাদি গুণের বর্তমানতা দ্বারা উপলব্ধি করা যায় । মৃত্যু | মৃত্যু কি ভয়াবহ শব্দ। মৃত্যু শব্দ শ্রীতিগোচর হইলে সকলেই ত্ৰস্ত ও বিকম্পিত হয়। মৃত্যু এতাদৃশ ভয়াবহ হইবার কারণ কি ? আমাদিগের আমরাতার বাস-গৃহ এই শরীরের নাশই মৃত্যু। ইহাতে আমরা এত ভয় পাই কেন ? করে কেন ? १s কি আশ্চর্য্য ! আমাদিগের কি প্রত্যয় হয় না যে, যে প্রেমময় পুরুষ আমাদিগের শরীরকে অতুল লেহে রক্ষণ ও পালন করিতেছেন তিনি কি শরীরের প্রাণরূপী তামাদিগের জীবনের জীবন জীবাত্মাকে কখনই বিনাশ করিবেন না । জীবাত্মা আনন্তের আশ্রয়ে অনন্ত কাল থাকিয়া তাহার যশোঘোষণা করিবেক, তাহার প্রদত্ত প্রেমান্ন হণে দিন দিন পরিপুষ্ট হইবে, উন্নতির এক অবস্থা হইতে অার এক তাবস্থা প্রাপ্ত হইয়া প্রেমা নন্দ যোগানন্দ ব্রহ্মানন্দ ক্রমশঃ সম্ভোগ করিয়া কৃতাৰ্থ হইবে, ইহা বিশ্বাস করি য়াও আমরা কি জীবাত্মার লোকান্তরিত হইবার সময় মুছমান হইব ? জীবাত্ম। শরীর পরিত্যাগ সময়ে বিলাপ ও ক্রনদন সংসারের প্রতি মোহ মেহাদির আধিক্যই ইহার কারণ । কিসে এই মোহাদির নিবারণ হয় ? ঈশ্বর-প্রীতই সেই মোহাদি নিরসনের এক মাত্র উপায় । কিন্তু ঈশ্বরেতে প্রীতি সংস্থাপন কালে আমরা কি জগৎকে উপেক্ষা করিব ? না ঈশ্বরকে প্রীতি করিবার সঙ্গে সঙ্গে জগৎকেও প্রীতি করিব ? তত্ত্ব-রসপনার্থী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই বলিয়া থাকেন যে ঈশ্বরকেই প্রীতি করিবে এবং জগৎকে প্রীতি করা ঈশ্বরের অভিপ্রেত বলিয়া তাহাকে প্রীতি করিবে। কিন্তু অনেকে কার্য্যকালে ঈশ্বরকে প্রীতি করেন ও জগৎকে উপেক্ষা করেন । ঈশ্বর-প্রীতির লক্ষণ কি ? ঈশ্বরপ্রসঙ্গ, ঈশ্বরধ্যান, ঈশ্বর গুণগান, তাহার অনুগত থাকিয়া সংকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান, পাপচিন্তা পাপালাপ পাপ কাৰ্য্য পরিত্যাগ, তাহার নিকট আত্ম-নিবেদন, ধৰ্ম্ম-বল ওtর্থনা ইত্যাদি। আর সংসারের প্রতি ঈশ্বর