পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 কতত্ত্ববােধিনী পত্রি ১২ কল্প,৭, ভাগ அ বুদ্ধি নহে কিন্তু শ্রদ্ধা-ভক্তি পূর্ণ—সৌজন্য- | পার্শ্বপরিবর্তন হয় এই মাত্র ; পূৰ্ব্বে নয় পূর্ণ-সরস বিদ্যা-বুদ্ধি। আশ্চর্য এই যে, যে-সকল গতিশীলের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদিগের অত্যাচারের প্রতি খড়গ-হস্ত র্তাহাদের মনের ভিতরে যদি তলাইয়া দেখা যায় তবে দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাহt কিন্তু তাত্যাচার কর । শূদ্র যদি ইংরাজি পুথিকে সহায় করিয়া রাহ্মণদিগকে আ স দস্থ করিবার চেষ্ট৷ করে, তবে নিশ্চয় জানি ও যে, ব্রাহ্মণদের অত্যা- হইলে উপরের লোকদিগের অত্যাচার নিব| চার-লিবারণ তাই র উদেশ্য নহে– ব্রাহ্মণদিগের প্রতি আ৩াচার করাই তাছার উ দেশ্য। ব্রাহ্মণের। কবে কোন জন্মে শূদ্রের প্রতি অত্যাচার করিয়ছিল – এখন তাহার নাম-গন্ধও নাই,— এখন-কার রাজ-নিয়মের সমক্ষেই যে, কেবল ব্রাহ্মণ-শূদ্র সমান তাহ নহে , বিশিষ্ট্ররূপে সাত্বক ভাবের তাধার হইয় আসিতেছেন—তাহার। বিশিষ্ট্র-রূপে বুদ্ধিজীবী ও ঠাণ্ড প্রকৃতির লোক ; তই বলিয়। কি দাম্ভিক কুলীন ব্রাহ্মণ নাই ? আছে-- কিন্তু কে তাহাদিগকে ভাল বলে ? মধ্যে ও এমন অনেক দাম্ভিক ব্যক্তি আছে যাহাদের মাটিতে প। পড়ে না ; এ সকল অকাল-কুষ্মাণ্ডের কথা ছাড়িয়া দেও । এখন কার শূদ্র অনত্যাচারী ব্রাহ্মণদিগের অত্যা । চার নিররণের জন্য কখনও কখনও যে, অগ্নি-মুর্ভি ধারণ করেন, তাহার অর্থ আর | কিছু নয়—“আমরা ব্রাহ্মণের দাস হইব । কেন—ব্রাহ্মণের তামাদের দাস হইবে ;” এই রূপ আর একটি কথা এই যে, “স্ত্রী স্বামীকে পূজা করিবে কেন—স্বামী স্ত্রীকে পূজা করিবে ;”—ইহাতে দোষের সংশোধন হওয়া দূরে থাকুক্‌-দোষের কেবল "জেন ও যাছাদের মত না লইয়া কোন কাৰ্মা হয় না – তাহারা কুচক্ৰী সিন্নার (Cinna) অপ পতি ও ব্রাহ্মণের আধিপত্য ছিল—এখন নয় স্ত্রী ও শূদ্রের আধিপত্য হইল ; ইহাতে মন্দ বই ভাল কি হইল—তাছা তো বুঝিতে পারা যায় না। ফরাসীস্থ বিদ্রোহের সময় সাধারণ লোকের কর্তৃপক্ষীয়দিগের অত্যাচার দের উদ্দেশ্য অত্যাচার নিবারণ করা নহে । এখনকার কোন নারা শত সহস্র গুণ –লাচারী চসাস মাজকে ছার খার করিয়া .ে৭ -1ল । নিবারণ করিতে গিয়া লাভের মধ্যে আপ হীরা যদি ধৰ্ম্ম-ভাবে চালিত হইত তাছা রণ পর্যন্তই তাহদের চরম উদ্দেশ্য হইত, কিন্তু তাহাদের উদ্দেশ্য আর-একরূপ ; তাহাদের মনের কথা এই যে, “উহার আমাদের উপর অত্যাচার করিলে কেন— আমরা উহাদের উপর অত্যাচার করিব ;” অত্যাচার-মাত্রই যে, অন্যায়, এ জ্ঞান তাহা ব্রাহ্মণের। আপনারাই শুদ্ধাচার ও দের নাই ; তাছাদের জ্ঞানের দেড় কেবল শাস্ত্র-চর্চার প্রভাবে অনেক দিন হইতে । এই পর্যন্ত যে, “অন্যেরা আমাদের প্রতি অত্যাচার করিলেই তাহ অন্যায়—আমর। অন্যের প্রতি অত্যাটার করিলে তাহ খুবই ন্যাস্য ।” এই সকল নিম্ন শ্রেণীর লোক যাচার। “অধিকাংশ” বলিয়া পরিগণিত স্ন রাধে সচ্ছন্দে কবি সিন্নাকে টুকরা টুকর। করিয়া ফেলিল । আসল কথা এই যে, যাহার। অনেক কাল হইতে সমাজের শিরঃস্থান অধিকার করিয়া আসিতেছেন, তাহারা বাস্তবিকই বিদ্যা-বুদ্ধি এবং রসজ্ঞতায় সমজের নিম্ন-শ্রেণী অপেক্ষ উন্নত, তার নিম্নশ্রেণীর বিদ্যা-বুদ্ধি এবং আত্ম সংযমে যে, কত হীন, তাছা উপরে দেখা গেল। এরূপ অবস্থায়, নিম্ন-শ্রেণীরা যে, উচ্চ শ্রেণী দিগের সহিত বিবাদে প্রবৃত্ত হইয়া কোন উন্নতি লাভ করিবে তাহা হইতেই পারে