পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@t 7 У\у е o দৰ্শন-সংহিতা—জ্ঞানতত্ত্ব ԳՀ) ሰm তিপাদন করিতেছে, তাহ সুনির্দিষ্ট একটি-মাত্র বস্তু—আত্মা ; আর, বর্তমান সিদ্ধান্ত যাহাকে জ্ঞানের অপর উপাদান বলিয়া প্রতিপাদন করিতেছে, তাহা অনির্দিষ্ট কোন-না-কোন বস্তু—অনাত্মা ; অনাত্মা বলিতে সুনির্দিষ্ট একটি-মাত্র কোন বস্তু বুঝায় না । দ্বিতীয় অপত্তি এবং তাঙ্গার খণ্ডন ॥ o ॥ এ যেমন সত্য মে, জড়-বস্তু-বিষয়ক জ্ঞান-মাত্ৰই, সংক্ষেপে—ভৌতিক-জ্ঞান মাত্রই, আত্মজ্ঞান-সাপেক্ষ; এটা ও কি তেমনি সত্য যে, আত্মজ্ঞান-মাত্রই ভৌতিক জ্ঞান-বাপেক্ষ ? না, সেরূপ কোন বাধ্যবাধকতা নাই । আপনাকে জানিতে হইলে তাহার সঙ্গে বিশেষ কোন-না-কোন কিছু জানা নিতান্তই আবশ্যক—এইমাত্র ; কিন্তু সেই নে “বিশেষ কোন-না-কোন কিছ” তাহা ভৌতিক বস্তু ন হইয়া আর কোনকিছু হইলেও হইতে পারে—মানসিক ভাব-বিশেষ বা অবস্থা-বিশেষ হইতে পারে। পাছে কেহ মনে করেন যে, “ভৌতিক জ্ঞান ব্যতিরেকে আত্ম-জ্ঞান সম্ভবে না” এইটি প্রতিপাদন করাই আমাদের মনোগত অভিপ্রায়, এইজন্য অামরা চতুর্থ সিদ্ধান্তে ও বলিয়াছি এবং এখানে ও বলিতেছি যে, তাহা নহে ; আত্মি-জ্ঞানের পক্ষে যাহা নিতান্ত নহিলে নয় তাহ শুদ্ধ কেবল জ্ঞানের কোন-না কোন প্রকার বিশেষ অবয়বের উপলব্ধি; এ | নিয়মটি সাধারণতঃ সকল জ্ঞানের সম্বন্ধেই খাটে। কিন্তু জ্ঞানের সেই যে বিশেষ অবয়ব তাহা ভৌতিক বস্তু ন হইয়া একটা মানসিক কল্পনা (যেমন পক্ষীরাজ ঘোড়া) অথবা একটা মানসিক অবস্থা (যেমন মনের স্ফক্তি, আলস্য, ইত্যাদি) অথবা একটা মানসিক অনুভূতি (যেমন সুখ দুঃখ) হইতে سه حصصصsيصدض===== না পারে এমন নহে । তাতএব এমন কোন বাধ্য-বাধকত। নাই যে, আপনাকে জানিতে হইলে তাহার সঙ্গে কোন-না-কোন ভৌতিক বস্তুকে না জানিলেই নয় । মরা যখন একটি ও-কোন ভৌতিক বস্তুকে জানিতেছি না, তখন ও আমরা তামাদের মানসিক অবস্থা-বিশেষের জ্ঞাত৷ বলিয়া সচ্ছন্দে তাপনাকে এ পণি উপলব্ধি করিতে পারি | তাt wড়বিড় হিউমের মত ॥ ৫ ॥ ডেবি হিউম্‌ ভাঙ্গার মানব-প্রকৃতি বিষয়ক প্রবন্ধে বলয়াছেন যে, “আমার কথা যদি জিজ্ঞাসা কর, তবে যখনই আমি আপনার অভ্যন্তরে তদগত ভাবে অভিনিবিষ্ট হই, তখনই আমি বিশেষ কোন-না কোন প্রকার অনুভূতিতে সহসা আটক পড়িয়া যাই—যেমন শীতোষ্ণ—তালোক অন্ধকার—রাগ-দ্বেষ—সুখ দুঃখ—ইত্যাদি । বৃত্তি-হীন অবিকৃত অবস্থায় একবার ও অামি আপনি আপনার অন্তদৃষ্টিতে ধরা দিই না ।” হিউমৃ এ যাহা বলিয়াছেন—ঠিকই বলিয়াছেন। বর্তমান সিদ্বান্ত ঐ কথাই বলিতেছে ! কিন্তু হিউম্ আর একটি কথা যাহা বলেন —সেটি বড় গোলোঘোগের কথা । তিনি বলেন যে, তাহার প্রত্যক্ষ এবং অনু ভূতি প্রভৃতি বৃত্তি-সকল ঘাহা তাহার অন্তদৃষ্টিতে প্রতিভাত হয়, তাহা অহং-বর্জিতরূপেই—আত্ম-বর্জিতরূপেই-—প্রতিভাত হয় । তিনি বলেন যে, “প্রত্যক্ষাদি বিশেষ বিশেষ মনোবৃত্তি ভিন্ন আর কিছুই আমি আপনার অভ্যন্তরে দেখিতে পাই না ।” তবেই হইতেছে যে, প্রত্যক্ষাদি মনোবৃত্তি আমারও মহে এবং আর কাহারো নহে। ইহার ন্যায় দ্বিতীয় এমন একটি গায়ের জোরের কথা তত্ত্বজ্ঞান چيa.