পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

٥ سb তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ०२ कन्न, ० दृण to ক্ষেত্রে মেলা ভার। মনুষ্য আপনাকে অবিশিষ্ট অবস্থায়—আর্থাৎ বিশেষ কোন কিছু দ্বারা অনুপরক্ত অবস্থায়—উপলব্ধি করিতে পারে না, এই যথার্থ কথাটির উদগীরণে ক্ষান্ত না থাকিয়া হিউমৃ আরো এই বলেন যে, মনুষ্য আদবেই আপনাকে । আপনি উপলব্ধি করিতে পারে না । এটা বৈশিষ্ট্যবাদের আত্যন্তিক বাড়াবাড়ি । হিউমের দার্শনিক আলোচনা অনেক তত্ত্বজ্ঞানীর চক্ষের বিষ ; অথচ হিউমের প্রতিবাদ করিতে গিয়া তাহারা হিউমের ঐ কথাটিই উন্টিয়া পাণ্টিয়া বলিয়াছেন ; তাহাদের প্রতিবাদ আর কিছু নয়—হিউম্ যাহা স্পষ্ট-বাক্যে বলিয়াছেন, তাহাই । র্তাহারা অতীব অস্পষ্ট এবং সন্দিগ্ধ বচনে ঘোর-ফের করিয়া বলিয়াছেন—এই মাত্র । বর্তমান সিদ্ধান্তের প্রকৃত তাৎপর্য্য ॥ ৬ ॥ বর্তমান সিদ্ধান্তের সার মৰ্ম্ম আর কিছু নয়—শুদ্ধ কেবল এই যে, আপনাকে জানিতে হইলে আপনাকে বিশেষ কোনএকটা অবস্থায় অবস্থিত বলিয়া জানা চাই ; তা সে—যে অবস্থাই হউক না, আর, যে কোন-প্রকারেই তাহ সংঘটিত হউক না—তাহাতে কিছুই আইসে যায় না, একটা কোন অবস্থায় অবস্থিত বলিয়া জানিলেই হইল। এ সিদ্ধান্তটি জ্ঞানের একটি অবশ্যম্ভাবী সত্য। জ্ঞাতা কোন একটিও বিশেষ অবস্থায় দণ্ডায়মান না হইয়৷ আপনাকে আপনি জানিতে পারে—এরূপ মনে করাই ভ্ৰম । কেননা, জ্ঞাত আপনার কোন অবস্থাতেই আপনাকে উপলব্ধি করিতেছে না অথচ আপনাকে উপলব্ধি করিতেছে, উপলব্ধি করিতেছে না অথচ উপলব্ধি করিতেছে, ইহা কত বড় একটা স্ববিরোধী কথা ! জ্ঞাতা আপনার কোন-না-কোন বিশেষ অবস্থাতে আপনাকে উপলব্ধি করে বটে, কিন্তু সেই বিশেষ অবস্থা বলিয়া আপনাকে উপলব্ধি রে না || ৭ ॥ “জ্ঞাতা আপনার কোন-না-কোন বিশেষ অবস্থাতেই, বা কোন-না-কোন বিশেষ অবস্থার সঙ্গে সঙ্গেই, আপনাকে উপলব্ধি করে” এ কথার অর্থ কেহ যেন এরূপ না বোঝেন যে, জ্ঞাতা আপনাকে আপনার কোন-একটি বিশেষ অবস্থা বলিয়া উপলব্ধি করে। এরূপ সিদ্ধান্ত পূর্বেরই ন্যায় স্ববিরোধী । “আত্মাকে তাছার কোন অবস্থাতেই জানিতেছি না, অথচ আত্মাকে জানিতেছি” এটা যেমন অসঙ্গত,“আত্মাকে তাহার কোন-একটি অবস্থা-বিশেষ বলিয়। জানিতেছি” এটাও তেমনি অসঙ্গত । কেননা, আত্ম। যদি আপনাকে আপনার বিশেষ কেন-একটি অবস্থা বলিয়া জানিতে বাধ্য হইত, তবে সে অবস্থা-ব্যতিরেকে অার-কোন অবস্থাতেই আত্মা আপনাকে আপনি জানিতে সমর্থ হইত না ; কাজেই আত্মার জ্ঞান-বৈচিত্র্য ও ধ্যান-বৈচিত্র্যের দ্বার একেবারেই অবরুদ্ধ হইয়। যাইত, এবং বৈচিত্র্য-বিরহে তাহার জ্ঞান সমূলে বিলুপ্ত হইয়া যাইত। তাহা হইলে ফলে এইরূপ দাড়াইত যে, অহম্পদার্থ আপনার সকল অবস্থার সাধারণ কেন্দ্র নহে— অহম্পদার্থ বিশেয-একটি অবস্থা মাত্রেই পৰ্য্যবসিত ; তবেই হইল যে, সামান্যের সহিত সম্পর্ক-রহিত বিশেষ—জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য ; কিন্তু ইহা যে, কত বড় একটা স্ববিরোধী কথা তাহা তৃতীয় সিদ্ধান্তের অকাট্য যুক্তির বলে এখন আর কাহারে জানিতে বাকি নাই । এটা যদিও সুনিশ্চিত যে, আত্মা আপনার কোন-নাকোন প্রকার বিশেষ অবস্থাতেই আপ