পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

סנשג שזס দৰ্শন-সংহিত —জ্ঞানতত্ত্ব b-> নাকে আপনি উপলব্ধি করে ; কিন্তু তাহা বলিয়া এটা ঠিক্‌ নহে যে, আত্মা আপনাকে আপনার সেই বিশেষ অবস্থা বলিয়া, অথবা, বিশেষ বিশেষ নানা অবস্থার সমষ্টি বলিয়া, উপলব্ধি করে । জ্ঞাতা আপনাকে আপনার সমস্ত অবস্থা হইতে ভিন্ন বলিয়াই উপলব্ধি করে— এমনি একটি সাৰ্ব্বভৌমিক পদার্থ বলিয়া উপলব্ধি করে যাহা—কি সম্মুখ-স্থিত পরিবৰ্ত্তনশীল বস্তু-সমূহ—কি অন্তরস্থিত পরিবৰ্ত্তন-শীল ভাবনা-সমূহ, সমস্তেরই মধ্যে, স্বয়ং অটল এবং অবিচু্যত-রূপে দণ্ডায়মান। আত্মাকে তাহার বিশেষ বিশেষ অবস্থার অভ্যন্তরে জানা স্বতন্ত্র, আর, আত্মাকে তাহার বিশেষ বিশেষ অবস্থা বলিয়া জানা স্বতন্ত্র; এ দুই কথার প্রভেদের প্রতি দৃষ্টি না করাতেই হিউমৃ উপরি-উক্ত ভ্রমে নিপতিত হইয়াছেন; আর, অন্যান্য তত্ত্বজ্ঞেরাও (বিশেষতঃ ব্রাউন) আপনাদের দার্শনিক শৈলে নিপাতিত করিয়া ভ্রান্তি-সাগরে নিমগ্ন হইয়াছেন । মনোবিজ্ঞানের একটি সৰ্ব্বোচ্চ ভ্রম-সিদ্ধান্ত এই যে, আত্মা শুদ্ধ কেবল আপনার পরিবর্তনশীল বিশেষাতুক বৃত্তিগুলিই জ্ঞানে উপলব্ধি করে ; আর, আপনাকে আপনার সেই সকল বৃত্তির প্রবাহ-রূপেই উপলব্ধি করে । নবম প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্ত ॥ ৮ ॥ অহম্পদার্থ স্বতঃ—সৰ্ব্বতোভাবে এবং সৰ্ব্বসাধারণতঃ জ্ঞানের অগম্য নহে । বিনিমুক্তরূপে উপলব্ধি করিলেও করিতে পারেন । দ্বিবিধ ভ্ৰম ॥ ৯ ॥ প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্তের এই মতটি যদিচ লৌকিক চিন্তায় তেমন দৃঢ়রূপে বদ্ধমূল হয় নাই, কিন্তু মনোবিজ্ঞান ঐ মতটিকে প্রশ্রয় দান করিয়া বাড়াইয়া তুলিতে একটু ও ক্রটি করেন নাই ; এমন কি—অনেক স্থলে উহাকে অবশ্য-গ্রাহ্য বলিয়া প্রতিপাদন করিবার চেষ্ট। পাইয়াছেন । কিন্তু আশয়ভ্রষ্ট বিষয়ই বলো, অর, অবস্থা-ভ্রষ্ট অা ত্বাই বলে।—তাহা যে, কি কারণে অামা দের জ্ঞানাতীত, মনোবিজ্ঞান তাহার প্রকৃত তত্ত্বটি বুঝিতে না পারিয়া তাহার একটা কৃত্রিম সিদ্ধান্ত গড়িয়া তুলিতে গিয়াছেন – এইটিই তাহার ভ্রমের মূল। মনোবিজ্ঞানের ভ্রম দ্বিবিধ। প্রথম ; জ্ঞানের প্রধান যে-একটি নিয়ম—যাহা সকল জ্ঞানের পক্ষেই সমান বলবৎ—মনোবিজ্ঞান তাহ। নৌকাকে ঐ প্রকার অনবধানতার গুপ্ত- । আমরা যে, আমাদের আত্মাকে বিশুদ্ধ । কৈবল্য অবস্থায় উপলব্ধি করি না, সে । কেবল আমাদের মনোবৃত্তির অপূর্ণতানিবন্ধন ; কিন্তু যোগী মহাপুরুষেরা— র্যাহাদের জ্ঞান আমাদের ন্যায় শৃঙ্খলাবদ্ধ নহে তাহারা—স্ব স্ব আত্মাকে সর্বাবস্থা দেখিয়া ও দেখেন না; তাহা এই যে, কোন জ্ঞাতাই আপনাকে সৰ্ব্বাবস্থা-বিনিমুক্তরূপে জ্ঞানে উপলব্ধি করিতে পারে না । দ্বিতীয় ; ঐরুপ অসাধ্য-সাধনে কেন যে আমরা অপারগ তাহার কারণ তিনি এই দেখান যে, আমাদের বুদ্ধি-বৃত্তি সীমাবদ্ধ বলিয়া আমরা তাহ পারিয়া উঠি না, এ নহে যে, উপরি উক্তি নিয়মটি সকল-জ্ঞানের পক্ষেই অনতিক্রমণীয় বলিয়া আমরা তাহা পারিয়া উঠি না। আমাদের জ্ঞান খুবই অপূর্ণ তাহাতে আর সন্দেহ মাত্র নাই, কিন্তু তাহ বলিয়া—জ্ঞান আপনার মূল নিয়ম আপনি উণ্টাইতে পারে না— আপনি আপনার মূলোচ্ছেদ করিতে পারে না—এটা কিছু আর জ্ঞানের অপূর্ণতার লক্ষণ নহে ; যে নিয়মটির উপরে জ্ঞানের জ্ঞানত্ব নির্ভর করিতেছে তাহার অপরি- “