পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • २ न छ, २ छt१ों

-*= হার্য্যতাকে জ্ঞানের অপূর্ণত বলিয়া দোষ দেওয়া কোন-প্রকারেই বিধেয় নহে । জ্ঞানের এটা একটা অখণ্ডনীয় নিয়ম যে,যেকোন জ্ঞান হউক্‌ না কেন তাহার সাৰ্ব্বভৌমিক অবয়বটি স্বতঃ (অর্থাৎ কোন না কোন বিশেষ অবয়বের সহিত সম্বন্ধ ব্যতিরেকে স্বতন্ত্ররূপে) কোন প্রকারেই কাহারো উপলব্ধি-গম্য নহে (৪ সিদ্ধান্ত দেখ) । এ নিয়মটি জ্ঞানের একটি অবশ্যম্ভাবী সত্য, এবং বর্তমান সিদ্ধান্ত ইহারই উপরে প্রতিষ্ঠিত । তত্ত্ব-শবের ঐতিহাসিক বিবরণ ॥ ১০ ॥ তাহার “নিগুঢ় তত্ত্ব” সম্বন্ধে নানা প্রকার অসম্বদ্ধ প্রলাপোক্তি যাহা তত্ত্বালোচনার ইতিবৃত্তে সময়ে সময়ে দেখা দিয়াছে, এই স্থানটি তাহার পর্য্যালোচনার সবিশেষ উপযোগী । তত্ত্ব-শব্দের অর্থ পুরাকালে একরূপ ছিল, এখন তার-একরূপ হইয়া দাড়াইয়াছে। পূর্বের্ণ, কোন বস্তুর তত্ত্ব বলিতে বস্তুটির মৰ্ম্ম স্থানায় এমনি একটি অবয়ব বুঝাইত যাহা তাহার অপরাপর সমস্ত অবয়বের উপর জ্ঞানালোক ছট্‌কাইবার মূলাধার। পূর্বে উচা ছিল— আলোকের বীজ, জ্ঞাতব্য বস্তুর প্রকৃত অভিজ্ঞান । তত্ত্ব—কিনা যে বস্তু যাহ। সেই বস্তুর তাহাত্ব, অর্থাৎ যাহা দৃন্টে নানা বস্তুর মধ্য-হইতে সেই বস্তুটিকে ঠিকঠাক চিনিয়া ল ওয়া যাইতে পারে । সুতরাং তখনকার মতানুসারে, যে বস্তুর যে অবয়বটি বিশিষ্ট-রূপে জ্ঞানসম্পদ এবং ধ্যানাস্পদ, তাহাই সেই বস্তুর তত্ত্ব । এখনকার মতানুসারে, তত্ত্বশব্দের অর্থ ঠিক তাহার বিপরীত। এখন কার কালে “নিগুঢ় তত্ত্ব” বলিতে বস্তুর এমনি একটি অবয়ব বুঝায়, যাহার নিজেরও কোন আলোক নাই এবং যাহার উপর অন্যত্র-হইতেও আলোক নি ক্ষিপ্ত হইতে পারে না। এখনকার কালের “নিগুঢ়তত্ত্ব’ অন্ধকারের আডডা ; উহা বস্তু সকলের এমনি একটি কাল্পনিক অবয়ব যেখানে জ্ঞানেরও প্রবেণ নিষেধ--ধ্যানেরও প্রবেশ নিষেধ। এখনকার মতানুসারে যাহা একেবারেই জ্ঞানের অগোচর এবং ধ্যানের অগোচর তাহাই প্রকৃত তত্ত্ব। পরে প্রকাশ পাইবে যে, পূর্বতন কালের আরো অনেকগুলি শবেদর অর্থ এইরূপ ঘাটিয়া দুটিয়া লণ্ড ভণ্ড করা : হইয়ছে। অর্থ-বিপর্য্যয়ের ফল ॥ ১১ ॥ কোন-একটি দার্শনিক শব্দকে নূতন অর্থে প্রয়োগ করিতে হইলে, তাহার অর্থ পূৰ্ব্বে । কি ছিল তাহা ভাল করিয়া জানিয়া শুনিয়া এবং তাহার সেই পূৰ্ব্বতন অর্থের সহিত তাহার আধুনিক অর্থের প্রভেদ কিরূপ তাহার প্রতি সবিশেষ দৃষ্টি রাখিয়া – আধুনিক অর্থে সেই শব্দ প্রযোগ করলে তাহাতে কোন দোষ হয় না । কিন্তু “তত্ত্ব" এ শব্দটির সম্বন্ধে সেরূপ সাবধানত অবলম্বন করা হয় নাই। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, তত্ত্ব-শব্দের অর্থ তাহারা যেরূপ বোঝেন, পূর্বতন আচার্য্যেরাও সেইরূপ বুঝিতেন ; এই কারণ-বশত পূৰ্ব্বতন আচাৰ্য্যদিগের নামে এইরূপ একটা মিথ্যা অপবাদ রটিয়া গিয়াছে যে, তাহারা মনুষ্য বুদ্ধির অগম্য তমসাচ্ছন্ন বিষয়-সকলেরই আলোচনায় অষ্টপ্রহর নিযুক্ত থাকিতেন । এরূপ অমূলক অপবাদ দ্বিতীয় একটি খুজিয়া পাওয়া ভার। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন যে, পূৰ্ব্বতন আচার্য্যেরা নিগূঢ় তত্ত্বের অনুসন্ধানেই বৃথা কাল-ক্ষেপ করিতেন ; আর, সে কাল অপেক্ষ এ কাল নাকি বিদ্যা বুদ্ধিতে অগ্রগণ্য—তাই নব্য দার্শনিকের স্থির-স্থা করিয়া বসিয়৷ অা N I