ه د zا د stwن দৰ্শন-সংহিতা—জ্ঞানতত্ত্ব b^○
ছেন যে, পূৰ্ব্বতন আচাৰ্য্যদিগের তত্ত্বানু- জ্ঞাপন করিবার অভিপ্রায়ে মনোবিজ্ঞান শীলন—আগা গোড়া সমস্তই পাগলামি, ঐ দুই কথা নির্বিশেষে প্রয়োগ করিয়া কেননা নিগুঢ় তত্ত্ব মনুষ্য-বুদ্ধির অতীত থাকেন। বিষয় ভ্রন্ট আয় যে একান্ত তোমরা যাহাকে তত্ত্ব বলিতেছ তাহা ঐরূপই বটে, কিন্তু পূৰ্ব্বতন আচার্য্যেরা যাহাকে তত্ত্ব বলিয় নির্দেশ করেন তাহা অার-এক প্রকার। তাহাদের মতানুসারে, বস্তুর সেই অংশটিই তত্ত্ব-শব্দের বাচ্য মাহ৷ স্থস্পষ্ট-রূপে মনোমধ্যে ধারণা-যোগ্য ; তোমাদের নব্য মতানুসারে বস্তুর সেই অংশটিই কেবল তত্ত্বশব্দের বাচ্য, যাহার কোন ভাবই কাহারো জ্ঞানাভ্যন্তরে স্থান পাইতে পারে না । পূৰ্ব্বতন আচার্য্যদিগের শব্দের অর্থ তুমিই উটাইয়া দিয়া একটা বিপরীত কাণ্ড করিয়া তুলিতেছ— । তাহাদের পরিস্কার অালোক নিভাইয়৷ দিয়া দিক্ বিদি অন্ধকার করিয়া দিতেছ, তাবার তুমিই বলিতে ছ নে, তাহারা তম সাচ্ছন্ন বোধাতীত বিষয় সকলের অালো- : নীয় ও নহে –তাহা খুবই চিন্তনীয়। আয় যাহা কিছু জানে তাহীরই সঙ্গে আত্মজ্ঞান অবিচ্ছেদে স্ফর্তি পায়, এবং সেই আত্মজ্ঞানই আয়ার প্রকৃত তত্ত্ব ; কেন না চনায় সময় নষ্ট করিতেন। অপরাধ— তোমার ন| তাহাদের ? তাছাদের অালোচ্য বিষয় তোমার স্বকপোল-কল্পিত উলট অর্থেই তমসাচ্ছন্ন ও বোখাতীত, কিন্তু তাহাদের অভিপ্রেত সোজা অর্থে তাহা তমসাচ্ছন্নও নহে–বোধাতীত ও নহে । উণ্ট অর্থের ফল ॥ ১২ ৷ উণ্ট অর্থটিকে শুদ্ধ যদি কেবল একটা নূতন নামকরণ বলিয়া ধরা যায়, তবুও সেরূপ অর্থ-পরিবর্তন করা—কাজটা ভাল হয় নাই। একটা গোলমেলে এবং অলীক দার্শনিক মতের প্রচার ভিন্ন উহাতে করিয়৷ আর কোন ফলই লভ্য হইতে পারে না । এখনকার কালে বিষয়-ভ্রষ্ট, অবস্থা-ভ্রষ্ট, জ্ঞান-বহিভূত আত্মা, এবং আত্মার প্রকৃত তত্ত্ব, এ দুই কথা একই অর্থে পরিগৃহীত হইয়া থাকে ; আত্মার অব্যক্ত ভিত্তিমূল পক্ষেই জ্ঞান-বছিভূত এবং অচিন্তনীয়, এ বিষয়ে তার সংশয় মাত্র নাই ; যদিচ মনোবিজ্ঞানী যে কারণে তাহাকে অচি স্তনীয় বলেন, আমর! তাহাকে সে কারণে অচিন্তনীয় বলি না— আমরা তাহাকে আর এক কারণে অচিন্তনীয় বলি। মনোবিজ্ঞানী বলেন যে, আমাদের জ্ঞান অপূর্ণ— এই জন্য জ্ঞান-বহির্ভূত আত্মা আমাদের জ্ঞানে উপলব্ধি-গম্য নহে; আমরা বলি যে, জ্ঞানের নিয়মই এই যে,জ্ঞান বহিভূত আত্মা কাহারো জ্ঞানেই উপলব্ধি-গম্য নহে— কোন জ্ঞানেই উপলব্ধি-গম্য নহে; বক্র ঋজুরেখা যেমন কোন জ্ঞানেই উপলব্ধি-গম্য নহে—জ্ঞান-বহিভূত আত্মা সেইরূপ কোন জ্ঞানেই উপলব্ধি-গম্য নহে । তাত্মার প্রকৃত তত্ত্ব জ্ঞানবহিভূত ও নহে অচিন্ত আত্মজ্ঞানেই আত্মার আত্মত্ব । আত্মজ্ঞান চলিয় গেলে আত্মা ও চলিয়া যায়, আত্মজ্ঞান ফিরিয়া আসিলে আত্মা ও ফিরিয়া আসে । অতএব আত্মার প্রকৃত তত্ত্ব জ্ঞান-বহির্ভূত হওয়া দূরে থাকুক্—তাহা আত্মজ্ঞান স্বয়ং ; তাহ অচিন্তনীয় হওয়া দূরে থাকুক, তাহা চিন্তার ধ্রুব তার। বিষয়-ভ্ৰষ্ট আত্মা স্ববিরোধী ॥ ১৩ ॥ ইহ দেখিতেই পাওয়া যাইতেছে যে, সপ্তম সিদ্ধান্তে যেমন আশয়-ভ্রষ্ট জড়বস্তু, বর্তমান সিদ্ধান্তে সেইরূপ বিযয়ভ্রস্ট আত্মা—দুইই স্ববিরোধীর কোটায় নিক্ষিপ্ত হইয়াছে ; দুয়ের কোন-টিই ;
