পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘નર્માન У by У e সমাজের বিষম সমস্যা (? o E ج -سیاسیجیح না । সারথী অশ্বকে পীড়ন করিলে, অশ্ব ক্ষেপিয়া উঠিয়া সারথীকে ভূতলে নিক্ষেপ করিতে পারে বটে, কিন্তু তাহ বলিয়া অশ্ব কখনই সারথী হইতে পারে না। অধিকাংশের মত কেবল একটা কথার কথা মাত্র, একজন বিচক্ষণ ব্যক্তির মত শত কোটি যে সে ব্যক্তির মত অপেক্ষ শত গুণে মূল্যবান। অতএব সমাজের যত কিছু উন্নতি সমস্তই উচ্চ-শ্রেণীদিগের হস্তে নির্ভর si : z শীলদিগের কৰ্ত্তব্য এই যে, তাহারা সমাজের স্থিতির কোন প্রকার ব্যাঘাত না করিয়। সাবধানে গম পথে অগ্রসর হন । ভাঙন এবং গড়ন এ দুয়ের সন্ধিস্থলে পৃথিবীতে মহৎ ব্যক্তিগণের আবির্ভাব হয় । সেই সকল মহৎ ব্যক্তি দ্বারা সমাজের গঠন করিতেছে । উচ্চ শ্রেণী অর্থাৎ কুলে শীলে । বিদ্যাতে বুদ্ধিতে যাহারা উচচ । সঁহারা সমাজের শিরস্থানীয় তাহারা কাজে কাজেই স্থিতি-শীলতার পক্ষপাতী ; কেননা সমাজে ভাঙন ধরিলে তাহাদের তাহাতে ক্ষতি ভিন্ন লাভ নাই । যখন স্থিতিশীলতার অত্যন্ত বাড়াবাড়ি হয় তখন কষ্ঠ হাসি,কাষ্ঠ-কান্না কাষ্ঠ-লেীকিকত, কাষ্ঠ-সভ্যতা, এমন কি কাষ্ঠ ধৰ্ম্ম এই সকলের প্রাদুর্ভাবে সমাজ নিতান্তই কাষ্ঠ বনিয়া যায় । এরূপ সমাজের স্বপক্ষে এক কার্যের মুল প্রতিষ্ঠিত হয় ; তাহার পরে যাহার লাইসেন ৮ারা উহাদেরই প্রদর্শিত পথের অনুগাম হ’ন,—ই হাদের বীজ মন্ত্র এই ,স, “মহাজনে যেন গতঃ স পস্থা;” ই হারাই প্রকৃত প্রস্তাবে স্থিতিশীল; পূৰ্ব্বোক্ত মহদ্ব্যক্তির সৃষ্টি-শীল নামেরই যোগ্য । যাহার সৃষ্টি-শীল তা হারা ভাঙন এবং গড়ন দুয়েরই মৰ্ম্মজ্ঞ । সমাজে । স্বষ্টি-শীল ব্যক্তি ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে-শ্রদ্ধাভক্তিপূর্ণ সরল শুভবুদ্ধিকে—সহায় করিয়া এমন একটি মধ্য-ভূমিতে দণ্ডায়মান হ’ন – যেখানে বিবাদ-বিসম্বাদ তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে যা বলিলার অাছে তাহ শুদ্ধ কেবল এই ৷ যে, অসভ্যতা অপেক্ষা কাষ্ঠ সভ্যতা ভাল— অধৰ্ম্ম অপেক্ষ। কাষ্ঠ ধৰ্ম্ম ভাল—ইত্যাদি ; কিন্তু এরূপ কথায় কাহারে মন ভুলিতে পারে না । অতএব সমাজের স্থিতি-রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে গতির দ্বার উন্মুক্ত করিয়া রাখা স্থিতি-শীলদিগের নিতান্তই কর্তব্য । মনি আবার, যাহার। সমাজের পদস্থানীয় র্তাহার কাজে কাজেই গতি-শীলতার পক্ষপাতী ; কেননা সমাজে ভাঙন ধরিলে তাহার। স্ব স্ব অবস্থার উন্নতি-সাধন করিতে সুযোগ পান । সমাজে গতি-শীলতার আত্যন্তিক বাড়াবাড়ি হইলে সমাজ একেবারেই আগুণ মূর্তি ধারণ করে ; কিন্তু সে আগুণ খড়ের আগুণ – দেখিতে দেখিতে ধূমে পরিণত হইয়া যায়। অতএব গতি CS না ; তিনি সমস্ত বিবাদ-বিসম্বাদকে প্রেমাগ্নিতে গালাইয়। নূতন এক উপাদানে পরিণত করেন। তিনি ব্রাহ্মণকেও শূদ্রের পদানত করিতে যানন-শৃদকেও ব্রাহ্মণের পদানত করিতে যান না,—পরন্তু ব্রাহ্মণ যাহাতে সদব্ৰাহ্মণ হয় ও শূদ্ৰ যাহাতে সংশূদ্র হয়—তাছাই তাহার লক্ষ্য। ব্রাহ্মণ সৎ হইলে স্বভাবতই সদ্ধাহ্মণ হয়—শূদ্ৰ সৎ হইলে স্বভাবতই সংশূদ্র হয় ; পতি সৎ হইলে স্বভাবতই সংপতি হয়, পত্নী সং হইলে স্বভাবতই সৎপত্নী হয় । এইরূপ যখন ব্রাহ্মণ শূদ্র – পতী পত্নী—ধনী দরিদ্র —সবল দুৰ্ব্বল—সমস্তের মধ্য হইতে সদ্ভাপ উদগীরিত হইয়া উঠে-যখন দ্বন্দ বিবাদ তিরোহিত হইয়া যায়, তখনই সমাজ নিম্ন সোপান হইতে উচ্চ সোপানে পদ-নিক্ষেপ করে। এরূপ ঘটনা যখন তখন ঘটিতে পারে ন৷ — ইহা সময়ের পরিপক্কতাকে