পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-సిలి

  • २ कछ, २ ऊ:१ों

স্ববিরোধী অবয়ব, এইটিকে জয় করা, এই গহন অরণ্য প্রদেশটিকে আবাদ করিয়া অবিদ্যাকে বিদ্যায় পরিণত করা, জ্ঞানের একমাত্র কার্য্য । স্ববিরোধীকে হস্তে পাওয়ার रुन || २ ० ! এখন জিজ্ঞাস্য এই যে, স্ববিরোধীকে জ্ঞানে উত্তোলন করা কিরূপে হইতে পারে ? স্ববিরোধীর স্ববিরোধিতা কিরূপে । ঘুচানো যাইতে পারে ? অচিন্তনীয়কে স্ববিরোধীকে মুষ্টিমধ্যে পাইয়াছি ; কিন্তু কিরূপে চিন্তনীয় করিয়া তোলা যাইতে তাহার অর্থ এ নহে যে, স্ববিরোধী কখনও পারে ? ঘাহা একন্ত-পক্ষেই অবিজ্ঞেয় তাহাকে কিরূপে জ্ঞানায়ত্ত করা যাইতে পারে ? পূৰ্ব্বতন তত্ত্বজ্ঞানীদিগের নিকট তত্ত্বজ্ঞানের মামাংস্য 2 এই আকারেই i দেখা দিয়াছিল, দেখা দিয়াছিল মাত্ৰ— খুব যে স্পষ্টরূপে দেখাদিয়াছিল তাহ। নহে । তাহার সাক্ষী—প্লেটো এইরূপ বলিয়াছেন যে, তত্ত্বজ্ঞান আর কিছু নয় মানব তাত্মাকে অজ্ঞান হইতে জ্ঞানে উত্তোলন করিবার প্রক্ৰট উপায়। প্রকৃত কথা এই যে, তত্ত্বজ্ঞানী শুধু নয়—সকল মনুষ্যই ঐ স্ববিরোধী অবয়বটিকে জয় করিয়৷ অজ্ঞানকে জ্ঞানে পরিণত করিয়া । থাকে ; প্রভেদ কেবল এই যে, তত্ত্বজ্ঞানী । . حصہ তাহ। তুমি অতীব স্পষ্টরূপে ভাবিতে পার —এইরূপে তাহা তুমি ভাবিতে পার যে, তাহার প্রণালী জানিয়া তাহা করে, অপর লোকে তাহার প্রণালী না জানিয়| তাহা করে । স্ববিরোধীর বিরোধ-ভঞ্জন ঘেকোন উপায়েই হউক না কেন—প্লেটোর মতানুযায়ী মৌলিক ভাব সকলের সাহায্যেই হউক, আর, আমাদের মতানুযায়ী যে, আমরা যাহাকে স্ববিরোধী অচিন্তনীয় এবং অজ্ঞেয় বলিতেছি তাহা যে, কি বস্তু, তাহা যে পৰ্য্যন্ত না খুজিয়া পাওয়া যাই তেছে সে পৰ্য্যন্ত তাহার বিরোধ-ভঞ্জন । তত্ত্ববােধিনী পত্রিক সম্বন্ধে একটিও কথা উচ্চারণ করা কাহারে মুখে শোভা পায় না । আমরা তাহ খুজিয়া পাইয়াছি ; তাহা কি ? না স্বতন্ত্ররূপী জড়-বস্তু । তাই অজ্ঞান কিরূপে জ্ঞানে উদ্ধৃত হয়—এখন আমরা তাহ দেখাইতে পারি। . স্ববিরোধী কি ভাবে চিন্তনীয় ॥ ২১ ॥ । আমরা বলিতেছি বটে যে, আমরা কাহারো জ্ঞান-গোচর অথবা ধ্যাম-গোচর হইতে পারে। স্ববিরোধী একান্ত-পক্ষেই অচিন্তনীয়—এইরূপেই তাহা চিন্তনীয় । স্ববিরোধীর অচিন্তনীয়তা-লক্ষণের পরিচয় প্রাপ্ত হইলেই তদ্বিষয়ে আমাদের জ্ঞান চরিতার্থ হয়। স্ববিরোধীর ভাবনা এক হিসাবে খুবই সহজ । মনে ভাবে যে, পুস্তকের এই পাতাটির এ-পৃষ্ঠা আছে-- ও-পৃষ্ঠা নাই, তাহ হইলেই একটা স্ববিরোধা বিষয় তোমার ভাবনাতে আরূঢ় হইবে। পাঠক বলিবেন যে, “কোনক্রমেই তাহা অামি ভাবিতে পারি না।” সত্য, এক হিসাবে কোন-ক্রমেই তাহা তুমি ভাবিতে পার না ; কিন্তু আর-এক হিসাবে তাহা কেহই ভাবিতে পারে না ; তাহাকে তুমি একান্তই ধ্যানের অগোচর বলিয়। ভাবিতে পার। স্বতন্ত্র-রূপী জড় বস্তুর চিন্তনীয়তার দৌড় এই পর্য্যন্ত—ইহার - f ; حة تیر অহম্পদার্থের কর্তৃত্বেই হউকৃ—এটা স্থির শ' শৰে । স্বতন্ত্ররূপী জড় বস্তু একেবারেই অসৎ নহে ॥ ২২ ॥ এই অনির্বাচ্য পদার্থটির কি অস্তিত্ব আছে ? এ প্রশ্নটিকে আর একটু পাকিতে দেও—অস্তি-তত্ত্ব ইহার সমুচিত মীমাংসা