পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbسb বড়ই সন্দেহ । দশম সিদ্ধান্ত পার হইয়া একাদশ সিদ্ধান্তে দেখিতে পাওয়া যাইবে যে, ওরূপ জ্ঞান-বহিভূত বস্তু জ্ঞানের যে মন অগোচর, ধ্যানেরও তেমনি অগোচর। অধিকার । আজকাল বড় একটা অনধিকার চর্চার প্রাচুর্ভাব হইয়াছে। ইহার গতিবিধির আকর্ষণে দেশ আজকাল এমনি আকৃষ্ট হইয়া আছে যে, যেমন সপদষ্ট ব্যক্তির ক্ষতস্থানে বিষশোষক প্রস্তর প্রযুক্ত হইলে তাহ সমুদয় বিষ টুকু টনিয়া লইয়। পড়িয়া যায় সেইরূপ এই দেশ অনধিকারচর্চারূপ হলাহল টানিয়া টানিয়া বিচ্ছেদ পতনোন্মুখী হইতেছে । বা স্তবিক অনধিকার চর্চ। কিছুই নাই। তবে ইহা বলি কেন ? শুদ্ধ বোধের তারতম্য অনুসারে । অধিকারট। কি ! অধিকারের মূলস্থান কোথায় ? ইত্যাদিরূপ, অধিকারের মৰ্ম্মের মধ্যে প্রবিষ্ট না হইয়া অধিকারের চর্চা করাই অনধিকারচর্চা। কোন বিষয়ে কাহার না অধিকার আছে সকল বিষয়েই সকলের সমান অধি কার । বো:বা অতি অল্প জন । এই বোঝা না বোঝার দরুণ অধিকারের তারতম্য ঘটিয়া থাকে—বৈষম্য জাগিয়া ওঠে । এই বৈষম্য হইতে কত শত ক্ষুদ্রভাব চতুৰ্দ্দিকে বিকীর্ণ হইয়া মনুষ্যকে তাহার চতুস্পার্শ্বে স্বকীয় ক্ষুদ্রায়তন কৃত্রিম অধিকার নিৰ্ম্মাণ করিবার জন্য মত্ত করিয়া তুলিতেছে। মহান অধিকারের মাঝে মগ্ন হইতে দেয় না—কত কুটিলতা কত মলিনতা কত বাধাই হয় তাহার সম্মুখে জড় করে। এই কৃত্রিমতার স্পর্শে অধি কিন্তু থাকিলে কি হইবে ? তাহা । তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা । i | | | i | | . S २ देिछ २ छ17 কারের মাধুর্ঘ্য নষ্ট হইয়া যায়। অকৃত্রিম অন্তরের মধ্যে অধিকার শোভা পায় । পাশব শক্তির অধিকার বেশী না প্রেমের অধিকার বেশী ? প্রেমের মত অকৃত্রিম আর কি আছে ? ইহার অধিকারে কেমন জীবন্ত ভাব কেমন ব্যাপকতা জাণে। ইহার সম্মুখে সহস্র বাধা উপস্থিত হউক ইহার সহজ ভাব অবাধে গতি । চৈতন্য যখন প্রথমে মহান প্রেমে উন্মত্ত হইয়া সমুদয় জগতকে আপনার বলিয়। ভাবিয়া- . ছিলেন তখন অনেকে তাহার নিন্দাবাদ । র্তাহাকে বিদ্রুপদি করিতে ক্রটি করে নাই, কিন্তু তিনি প্রেমের শান্তি অনুভব করিয়াছিলেন তাহার বিশুদ্ধ অধিকারের মধ্যে বাস করিতেন। উপহাস নিন্দাবাদ দির জন্য কিছুমাত্র ক্ষুব্ধ ন হইয়। কেমন প্রশান্তভাবে পরিমলপুর্ণচিত্তে কহিতেন “পরিবদ তু যথা তথায়ং নমু মুখরো নবয়ং বিচার

    • ן : הגזול যথায় তথায় লোকে পরিবাদ দিউক মুখর বলিয়া আমরা তাহাদের বিচার করি না । প্রেমের অধিকারে দ্বেষ হিংসা সমুদয় বি

লুপ্ত হইয়া যায় । ইহারি স্পর্শে তামা দের পবিত্রত। জন্মে । ইহাই আমাদের বাস্তবিক অধিকার । এই প্রেম হইতে আমরা যতটা দূরে পড়িব ততটা আমাদের অন্ধতা ততটা আমাদের দারিদ্র্য বিপত্তি । ইহার বাতাস যখনি হৃদয়ে আসিয়া লাগে তখনি আমরা কেমন সহজ প্রাণে ‘‘ওঁ শান্তিঃ” এই বাক্য উচ্চারণ করিতে পারি ? এই প্রেমের অধিকার ঠিক্‌ বুঝিতে না পারিয়া শত আত্মা ভ্রমপ্রমাদে অন্ধীতৃত—মৃতকল্প—অশাসনে দিকভ্ৰষ্ট তরণীর ন্যায় ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িতেছে মৃত্যুকে প্রধান সম্বল করিতে প্রস্তুত । তাহারা মৃত্যুর কুটিল গতি পৰ্য্যবেক্ষণ না