পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. و د «د eraه করিয়া তদ্বিরুদ্ধে সাংঘাতিক অভিলাষ সঞ্চালন করিতে সক্ষম হয় না—দিন দিন কপট বিকট হইয়। উঠে । তাহাদের চক্ষে অধিকারের সরল জ্যোতি কিরূপে পড়িবে ? অধিকারের বিশুদ্ধ মৰ্ম্ম গ্রাহী তাহারা কিরূপে হইবে ? যাহার। মৃত্যুর বক্রভাব বুঝিয়া তাহ হইতে দূরে থাকিতে চাহে; যাহারা অনন্তের মধ্যে জীলন্ত ভাবে বিচরণ করিতে চাহে তাহাদিগকেই প্রেম আসিয়া জাগ্রতরূপে অধিকার করে । তাহারাই অধিকারের সৌন্দর্য্যটুকু গ্রহণ করিতে সমর্থ হয় । চরাচরের প্রতি প্রগাড় অনুরাগ তাহাদিগেরই জন্মে । একটা সুন্দর পদার্থ কখনই তাহার সোঁনদর্ঘ্য-বিরহিত হইবে না যদি ও অন্যে তাহা grー কে মলিন অসুন্দর করিয়া দেখে । অনতি z = 空 \すエァプTっr子。 པས་ཡས་པ་ o দূরস্থ কোন বাড়ার সৌন্দর্য্য যখনি আমরা , ইহার মধুময় আভাস না দেখিয়া সকলে উন্মুক্তভাবে নিজ ঘরের মধ্যে বসিয়া দেখি তখনি সেই সৌন্দর্য্যের প্রকৃত অবয়ব তা মরা দেখিতে পাই । কিন্তু ঘরের সারসি বন্ধ করিয়া তাহার মাঝখান দিয়া দেখিলে সারসির অন্তরস্থ গতি অনুসারে সেই সৌন্দর্য্যকে দেখিতে পাইব । সারসির কাচের অন্তরটা যদি অণকা বাক৷ ঢেউ খেলানো হয় তবে সম্মুখস্থ বাড়ীর সরল রেখাগুলি তন্মধ্য দিয়া দৃষ্টি করিলে অীকাবাক ঢেউখেলানোই দেখিতে পাইব । সেইরূপ তামরা আমাদের নিজের স্বচ্ছ বিমল স্বরূপের মধ্য না দিয়া মোহমলিনতার বক্র তাবরণের ভিতর দিয়া অধিকারের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে তাহার সরল বিমল আকৃতি কিরূপে বুঝিতে পারিব ? জড়বৎ হইয়া শিরানাড়ির মধ্যে অষ্টপ্রহর মরণ-সম্বন্ধ রচনা করিতেছি, কিরূপে অধিকারের নিগুঢ় তত্ত্ব ধ্যান করিতে সমর্থ হইব ? একমাত্র প্রাণই অধিকার b-Φ অধিকারের নিয়ামক । আবার এই প্রাণ প্রেমের তাশ্রয়েই লাভ করা যায়। আtমরা যদি প্রেমের বলে বলীয়ান হইয়া তাছার প্রতি আসঙ্কোচে নিৰ্ব্বিবাদে লক্ষ্য স্থির রাখিতে পারি তাহা হইলে তামাদিগের তান্তঃকরণ হইতে “অনধিকার চর্চা” এ কথাটী উঠিয়! যাইবে । তাহার স্থানে অধিকার বিমল ঘূ - ধারণ করিয়া বিরাজ করিতে থাকিবে, তখন ইহার সেীগন্ধে কেনা মোহিত হইবে ? এই প্রেমোমূখী অধিকারের রাজ্যে যদি সকলে বাস করি তবে আমাদের চতুদিকে এই যে কলহ বিবাদ দেখা যায় ইহা কি তিষ্ঠিতে পারে ? অকৃত্রিম প্রেমের সহজভাবে ডুবিতে পারলে যে কতখানি প্রাণ পাওয়া যায় তাহ ব্যক্ত করা যায় না । কলুমিত হস্তে ইহার কাছে আসে—পূজা করে । সে পূজাতে। ভাল নয় ক্রমে তাহ। অপূজাতে গিয়া দাড়ায়। যতটা সাধ্য ইহার স্ত্যময় পূজা দূর করিতে হইবে তাহা হইলে এমনি শক্তি লাভ হয় যে তদ্বারা দুঃখ শোক সমুদয় তিরোহিত হইয়। যায় । এই বিচিত্র বিশ্বের মধ্যে ইহার সুন্দর ছবি জ্বলন্ত রূপে প্রকাশ পাইতেছে বুঝিয়া লইতে পারিলেই হয় । ইহার আনন্দ কল্পনা করিতে গিয়া কবি উথলিয়া ওঠেন, প্রতিকটাক্ষে অভ্রান্তির সুখময় হাস্য উপলব্ধি করিয়া পরম উপকৃত হয়েন— উপকারে ব্যস্ত হইয়া যান । ঔৎকর্ষ্য উৎসাহ আসিয়া তাহাকে সত্বর ঘিরিয়া ফেলে । যে জাতি যতখানি প্রেমের আশ্রয়ে থাকিয়া অধিকারের বিশুদ্ধ বাণী শ্রবণ করিতে পারিয়াছে ততখানি সেই জাতির , উন্নতির পথ পরিষ্কার হইয়া গিয়াছে ।