পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १२ कब्र, * श्टt* মুহুর্তে মুহুর্তে আমরা দূরে পড়িয়া যাই । ইহাকে চিরদিন আমাদের অধিকারে রাখিতে গেলে চিরদিন সাধনা করিয়া যাইতে হইবে। ক্রমিকই সাধনা করিয়া যাওয়া চাই, নিমেষের তরে বিরাম যেন না । হইতে অনধিকার চর্চ। জন্মায় । হয়, তবে আমরা ক্রমিকই ইহার মধুর রহস্য উপলব্ধি করিতে থাকিব । সাধনার । প্রারম্ভাবস্থায় প্রেমকে তাকে তাকে রাখিতে হইবে—প্রেমপিপাস্থ হইয়া প্রেমের । অন্বেষণে সৰ্ব্বদাই দৃষ্টি রাখিতে হইবে । । দ্বিতীয়াবস্থায় প্রেম থেকে থেকে আয়ন্ত । - রোপের প্রতি যদি দৃষ্টিপাত করি দেখিতে হইলে । তাহ ব্যবধানযুক্ত প্রেম । তৃতীয়াবস্থায় পরে প্রেমের আনন্দ উপভোগ করিতে সক্ষম হইবে । ধান বর্তমান । “সিংহাবলোকিতাপাশ্চ মওক প্রতিরেবচ। গঙ্গাস্রোত ইল পাতা আলি কার! সুয়োম তাঃ ॥" এই শ্লোক অনুযায়ী প্রারম্ভাবস্থার প্রেমাধিকারকে সিংহাপলোকিত সদৃশ, দ্বিতীয়াবস্তার প্রেমাধিকারকে মণ্ড কল্পতি সদৃশ, তৃতীয়াবস্থার প্রেমাধিকারকে গঙ্গা 6टषांडসদৃশ কহিতে পারি। এঈ গঙ্গাস্রোতসদৃশ প্রেমাধিকারে মনুষ্যের মনুষ্যত্ব ফুটিয়া ওঠে। মরুভূমির আরবের বিটুইন নামক আরব জাতি বৎসরের পর বৎসর চলিয়া গেল সেই এক ধাচে চলিতেছে । দিয়া মহা উন্নতির দিকে ধাবমান হইতেছে, অধিকারের সুন্দর রাজ্যে ধীরে ধীরে প্রবেশ করিতেছে কিন্তু মরুভূমির আরবদের সে মহোন্নতি নাই। মরুর নীরস একত্বের তুল্য তাহীদের একত্ব জাগিয়া রহিয়াছে। পূর্বকাল হইতে এখনো পৰ্য্যন্ত প্রায় সেই এক প্রকার ভাব। একরূপ হওয়াতে খুব ভালই কারণ জগ এই অনন্ত অকৃত্রিম প্রেমের আশ্রয় হইতে তাহাতে অব্যব- · পথ ক্রমশই প্রশস্ত হইতেছে। সম্পর্শে অন্য কত জাতি তালার জাকিয়া এই ৷ অবসরে কত জাতি উন্নতি অবনতির মধ্য । --- SSAS SSAS SSAS wn---or--- তের মাঝে একত্বই বিরাজ করিতেছে, এই বৈচিত্রের মধ্যে একত্বেরই ধ্বনি বিকাশিত। সে একত্ব সরস সরল। কিন্তু মরুভূমির আরবদের একত্ব প্রশংসাযোগ্য নয়, তাহা নীরস তাহ বাস্তবিক ধরিতে গেলে একত্বহীন অনেকহ । নীরস একত্ব এই নীরস একত্বময় মরুভূমির আরবেরা দস্থ্যবৃত্তি দ্বারা পথিকদিগকে আ ক্রমণ করিয়া স্বার্থ সিদ্ধ করে কিছু মাত্র ব্যথিত হয় না। ’ এ শুধু তাহাদের অধিকারের বিশুদ্ধ দিকে भूट्टैि না রাখার দরুন । আধুনিক हे छे পাই তাহারা অধুনাকালে অন্যাপেক্ষ অধিকারের প্রকৃত মৰ্ম্ম উপলব্ধি করিয়াছে । তাই তাহাদের নিকটে স্বগের তাহার উঠিবার চেন্টা করিতেছে ! আমাদের পূর্বপুরুষের অতি প্রাচীনকালে শ্রেষ্ঠ রূপে আত্মার মহান অধিকার বুঝিয়া পার্থিব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অধিকারের উপর রাজত্ব করিয়া আনন্দ লাভ করিয়াছিলেন—পরমেশ্বরকে করতলস্থিত আমলকবং লাভ করিয়া ত্যাপ্ত কাম হইয়াছিলেন । প্রেমাধিকার তাহারদের কেমন সুন্দর রূপে ঘটিয়াছিল । আমরা মহান উন্নত হইতে চাহিলে আমাদিগকে সতত প্রেমের অধিকারের দিকে দৃষ্টি স্থির রাখিতে হইবে । ইহা বিনা আমাদের অন্য গতি নাই । ইহার দ্বার সমুদয় কাৰ্য্য সম্পূর্ণ রূপে অথচ নীরবে সম্পন্ন হইয়া যায়। এই প্রেমেরই আকর্ষণে আকৃষ্ট হইয়া গ্রহের পশ্চাতে গ্রহ ঘুরিতেছে অথচ কিছু মাত্র কোলাহল বিশৃঙ্খলতা নাই ; কেমন নিঃশব্দে নীরবে কার্য্য সমাধা হইয়া যাই