পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ -- isan আর এক দিকে আধ্যাত্মিক জীব । আমরা যতদূর সামাজিক ততদূর আমাদিগকে ঈশ্বরের আদেশ জানিয়া পাত্র বিশেষে শ্রদ্ধা ভক্তি দয়া মৈত্রী ভাব প্রদর্শন করিতে হইবে, অপরের সুখশান্তিকে অব্যাহত রাখিতে হইবে, তাসত্য পরদ্রোহ পরপীড়ন, চৌর্স্য নিষ্ঠুরতা ইন্দ্রিয়লেল্য, ক্রোধ প্রতিহিংসা হইতে আপনাকে রক্ষা করিতে হইলে । আবার যতদূর আধ্যাত্মিক জীব সংসারের অনিত্যতা সুস্পষ্ট অনুভব করিয়া ঈশ্বরকে গতি মুক্তির নিদানভূত জানিয়া ঐহিক পারত্রিক মঙ্গল লাভের জন্য তাহার উপর । নির্ভর করিতে হইবে, কাতর প্রাণে বিমল হৃদয়ে তাহর নিকট প্রার্থনা করিতে হইবে, , সম্পদে বিপদে স্থির থাকিয়া সেই ধ্রুবতালার উপর অনিমেষ অপাখি করিতে হইবে, তাহার সঙ্গে অক্ষয় সোগ নিপদ্ধ করিতে হইবে । জীবনকে গৃহী সন্ন্যাসীর অভিনয়ক্ষেত্র করিতে হইবে । ইহাই মনুম্যের পক্ষে যার পর নাই উচ্চ লক্ষ্য, উন্নততম অাদর্শ। এই তাদর্শ জীবনে প্রতিফলিত করিতে শারীরিক ও মানসিক বৃত্তি সকল লক্ষ্য অভাবে সহজেই উদাম হইয়া মনুস্যকে বিপদগামী করে । তাবার বিশ্বাসের সঙ্গে অনুষ্ঠানের এমনই গৃঢ়তম সম্বন্ধ যে কাৰ্য্যক্ষেত্রে বিলক্ষণ দৃঢ়তা ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে অগ্রসর হইতে না পারিলে বিপদপাতের সমধিক সম্ভাবনা । এই জন্যই ধৰ্ম্মগতপ্রাণ মহানুভব প্রভূতমনীষাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ পৃথিবীর অশেষ কল্যাণ সাধন করিয়া মনুষ্যসমাজে সুপ্রতিষ্ঠা স্থাপন করিয়াও স্বার্থপরতা ইন্দ্রিয়চাঞ্চল্য বা অযথা ক্রোধের নিকট ধৰ্ম্মকে বলিদান দিতে সময় বিশেষে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হয়েন নাই। একদিকে ঈশ্বরসাধন যেমনই না পারিলে | তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা স্থাপন । | | | | | | ! | | | | | | W | | २२ कब्र, २ छा" কঠোর, নীতিসাধন তেমনই দৃঢ়ত তিতিক্ষ ও স্থৈৰ্য্যসাপেক্ষ । সংক্ষেপতঃ নৈতিক উন্নতিই ব্রহ্মজ্ঞানের ভিত্তি, এবং ইহাই আধ্যাত্মিক বললাভের পরিচায়ক । চরিত্র সংগঠনের উপরেই ঈশ্বরলাভের আশা ভরসা নির্ভর করিতেছে । ন্যায় অন্যায় জ্ঞান মনুয্যের সহজ জ্ঞান স্তৃত হইলেও কাল ও দেশ বিশেষে কেন যে কোন এক গৰ্হিত কৰ্ম্ম আদরের চক্ষে পরিলক্ষিত হয়, আবার কোন এক শুভকার্য্যের অনুষ্ঠান স্ত্রণার সহিত সমালোচিত হয়, এই বিষয় অালোচনায় প্রবৃত্ত হইলে অনেক রহস্য প্রকাশিত হইতে পারে ; নীতির মূলমন্ত্র সকলে সমান ভাবে দীক্ষিত হইয়া ও কেন যে বিসদৃশ ভাবের পরিচয় দেয়, ইহার রহস্য উদ্ভেদ বর্তমান প্রস্তাবের উদেশ্য । তা{সারদের বিবেচ্য তিন ভাগে বিভক্ত করিলে হইবার সম্ভাবনা (১) নীতিজ্ঞানের কোথায় (২) সকল জাতির নীতি-জ্ঞান সম্বন্ধে কতদূর ঐক্য আছে (৩) কাম্য ক্ষেত্রে ন্যায় অন্যায় বিবেচনার বিভিন্নত। কোথা হইতে আইসে । ১ । নীতি জ্ঞানের মূল কোথায় । সদসৎ জ্ঞান মনুষ্য মাত্রেরই সহজ জ্ঞান হইতে উদ্ভূত। লোকে কোনটি ন্যায় কোনটি অন্যায় আপনা হইতেই বুঝিতে পারেন । ন্যায় অন্যায় বুঝিতে কোনরূপ শিক্ষার অবশ্যক করে না । বালকের জ্ঞান সঞ্চারের সঙ্গে সঙ্গে সে কার্য্যের হিতাহিতত্ব বুঝিতে থাকে। বিনা কারণে পিতামাত। কর্তৃক তাড়িত হইলে বা অন্যায় কাৰ্য্য করিতে আদিষ্ট হইলে আমনি তাহার অসন্তোষের কারণ উপস্থিত হয় । অন্যায় রূপে প্রহার করিলে অমনি সে বিরক্তি প্রকাশ করিতে থাকে । মিথ্যা কখন তানে কট। দিমদ l