পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●i立7 為b" ● নীতি ぬN) o তাহার প্রকৃতি বিরুদ্ধ । সরলতা পবিত্রত। তাঙ্গর প্রকৃতির মাধুর্ঘ্য । নরহত্যা, বিশ্বাসঘাতকতা চৌর্য্য অপহরণ প্রবঞ্চনা এই সকল কাৰ্য্য চিরকালই ঘুণার চক্ষে পরিলক্ষিত হয় । নীতিবিরোধী কাৰ্য্য সকলের অনুষ্ঠানে তাহার চিরঘুণ । তবে যে স্থলবিশেষে তাদৃশ স্ত্রণ উৎপাদিত হয় না তাঙ্গর নে অন্য কারণ আছে তাল । পরে দর্শিত হইলে । কাল হইতে কাগকে শিথাইতে পাকি নে চৌর্ঘ্য প্রবঞ্চনা বিশ্বাসঘাতকত দস্যবৃত্তি বাস্তবিক হিতকর, তার দরিদ্রকে দান, অসহ্যমকে সাহায্যকরণ, যারপর নাই নীতিবিরুদ্ধ, তবে এরূপ শিক্ষা কোন রূপেই তান্তরের ভিতর হইতে সায় প্রাপ্ত য় না । মলুঘ্য এরূপ শিক্ষায় কখনই আপনাকে নিয়মিত করিতে পারেন না । ठू (r + এরূপ শিক্ষায় ন; তিনি ভিতরের অনু মো দিন পানি, ন। বহিজগতের সহানুভূতি পান । প্রতি অস্থিতাচরণে তাহাকে নাত সহ্য করিতে হইবেই হইবে । অনুতাপের প্লানি সেই নরকাগ্নি হইতে কোন মতেই তাহার পরিত্রাণ নাই । এই প্রভুর নাম হিতাহিত জ্ঞান, ইহাই জড় প্রকৃতির রাজা ; হস্তপদাদি ইহার সৈন্যদল, কম্মেন্দ্রিয়গণ ইহার একান্ত সেবক ও অধীন। এই হিতাহিত জ্ঞানই মনুষ্যহৃদয়ে সারবান ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবি । ইহার অস্তিত্বে বিশ্বাস যার পর নাই ধৰ্ম্মানুগত ও ঈশ্বরানুগত বিশ্বাস । উপরে যেমন হিতাহিত জ্ঞানের স্বাভাবিকত্ব প্রতিপন্ন হইল কিন্তু ইহাই যে একমাত্র অবিসম্বাদী মত তাহা নহে। ন্যায় অন্যায় জ্ঞানবিরোধী দলের মতে সহজ স্বাভাবিক আশৈশব ঈশ্বরদত্ত কোন এক তামরা যদি বাল্য । মানসিক ক্ষমতা প্রসূত নহে। তাহারদের মতে এরূপ কোন রূঢ় বৃত্তি নাই ; ছিতাহিত জ্ঞান কয়েকটি মানসিক ভাবের সংঘাতে উৎপন্ন। কেহ বলেন ঈদৃশ জ্ঞানের ভিত্তিমূলে মনুম্যের ভয়, কুসংস্কার, দেশীয় প্রচলিত রীতি, ইত্যাদি বিদ্যমান রহিয়াছে। কেহ বলেন ইহা ভবিষ্যদ্বछछेि, প্রচলিত মত সাত ৫: রাজদণ্ড দ্বারা ভূতি ও অন্যান্য ভাবের সংযোগে উ ৎপন্ন হইয়াছে । কেহ বলেন সাধারণের সুখবৃদ্ধির ইচ্ছা ও মানসিক বের উত্তেজনায় মনুষ্য ন্যান্য কৰ্ম্মে অগ্রসর হয় । কেহ বা বলেন যাহ। সুখ বৃদ্ধি করে তাহাই নীতি তাহার বিপ কোম 石开 でラ 冗 ব র 5 রাত দুর্নীতি, কেহ বা আর এক পদ অগ্র সর হইয়া বলেন মহা অামার পক্ষে সুখ কর তাহা ও ন্যায্য নহে বাহা তোমার সুখকর তাহা ও ন্যান্য নহে, কিন্তু যাহা বহু সংখ্যক লোকের বহু কল্যাণপ্রদ তাহাই নীতি তদ্বিরাত দুনীতি। এক হিতাহিত জ্ঞানাত্মক স্বতন্ত্র মানসিক বৃত্তির সত্ত্বা অস্বাকার করিতে গিয়া এরূপ নানা মতের প্রচলন দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু যতই কেন যৌগিক উপাদানে ইহার কলেবর গঠিত করিবার প্রয়াস পাওয়া হউক না, প্রভূতমনীষাসম্পন্ন ব্যক্তিগণের তর্কতরঙ্গের মধ্যে র্তাহারদের যুক্তিতেও প্রকৃত বিষয়ে এরূপ অনৈক্য দৃষ্ট হয় যে তাহাতে ইহার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার ভিন্ন অর গত্যন্তর নাই । শেষোক্ত মতের এক একটিকে হইয়া তাহার খণ্ডনে প্রবৃত্ত হওয়া বড় সহজ ব্যাপার নহে। তবে তাহারদের বিরুদ্ধে এই বলিলেই যথেষ্ট হইবে, যে উপরিউক্ত মতের কোনটিই মনুষ্যের দায়িত্ব ও বাধ্যতা প্রমাণ করিতে পারে না। যদি ন্যায় অন্যায় বিবেচনা ।