পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৮

సిరి আমার উপর নির্ভর করে তবে কেন ন্যায়ের ব্যভিচারে ভিতরের তাড়না সহ্য করিতে হয় । পিতামাতাকে ভক্তি করিতে তুমি বাধ্য, আৰ্ত্তকে বিপদ হইতে উদ্ধার করিতে তুমি বাধা, সময় বিশেষে আপনার জীবনের উপর কিছুমাত্র লক্ষ্য না রাখিয়া অপরকে রক্ষা করিবার জন্য ভিতর হইতে ঘে দুৰ্দ্দম্য বল আইসে, কই আমরাত ইচ্ছ। করিয়া তাছা হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইতে পারি না । অন্যায় কার্য্য করিলে কোথা হইতে বা অনুতাপ আইসে ? (খ) যদি সুখ ন্যায় কার্য্যের নিয়ামক করিতে পারে, তামাদিগকে বধ্য করিতে পারে না, আমাদিগকে শাসন করিতে পারে না । সুখ আমাদিগকে কেন ন্যান্য কৰ্ম্মে প্রবৃত্তি করে ইহার ও কঠিন । বিশেষতঃ সুখ ও নানা প্রকারের, কতকগুলি বা উচ্চ অঙ্গের কতকগুলি বা নিম্ন অঙ্গের । কাৰ্য্যক্ষেত্রে কোন প্রকার সৃখ কখন বা গ্রাহ্য কখন বা ত্যজ্য তাচ কে নির্ণয় করিয়া দিবে। আবার স্তখের মূল অন্বেষণ করিলে দেখিতে পাই যে কতকগুলি সুখ মনুয্যের সচেষ্ট অবস্থার কতকগুলি নিশ্চেন্ট অবস্থার । শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতার পরিচালনায় নে ল্লখ উৎপন্ন হয় তাহা সচেষ্ট অবস্থার সুখ । , স্নিগ্ধ বায়ু সেবন মূল্যবান পদার্থ ও ধন ঐশ্বৰ্য্যের উপভোগে যে সুখ হয় তাহা অ|বার অন্য এক শ্রেণীর অন্তর্গত। এইরূপে প্রতীয়মান হইতেছে যে সুখ মাত্রেই অামারদের ন্যায় কার্য্যের নিয়ামক হইতে পারে না। প্রত্যুত তাহারা শারীরিক ও মানসিক শক্তির চালনা হইতে উৎপন্ন হয় । তাহারা শক্তি পরিচালনার অগ্ৰে অগ্রে পথ দেখাইয়া যায় না, কিন্তু সহ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক গাঢ়ত শত গুণ বৰ্দ্ধিত হইবে । হয়, তাহা হইলে সুখ আমাকে তাকর্ষণ । २६ य झ. २ १,१ी -- or so চর অনুচর হইয়া সঙ্গে সঙ্গে যাইতে থাকে । , (গ) মনে কর সুখই যেন ন্যায্য কৰ্ম্মের নিয়ামক হইল, কিন্তু আমি ত সংসার জীব, আমি কাহার সুখ দেখিব, আমার না পরের। কখন বা তামার স্থখ দেখিব কখন বা পরের সুখ দেখিব এ সন্ধান আমাকে কে বলিয়া দিবে। যদি বহুল অংশ লোকের বহুল পরিমাণে সুখ দীপশলাকা হতুে আমার পুরোবন্তী হয়, তবে অন্ধকার বিদ্ধস্ত না হইয়া বরং তাহার কার্য্যক্ষেত্রে প্রতিকৰ্ম্মের প্রারম্ভে কৰ্ম্মেন্দ্রিয় গণকে নিয়োজিত করিবার পূর্বে “বহুল সংখ্যক লোকের বহুল পরিমাণে সুখ” তর্ক শাস্ত্রের এ জটিলতম প্রশ্নের কে মী ভর পাওয়া । করিবার সময় স্বতঃসিদ্ধ সত্যের ন্যায় আ মাংসা করিয়া দিবে। আমরা ত কার্য্য শৈশব ন্যায় অন্যায় আপন হইতে রুবি তেছি ; বাল্যে ন্যায় অন্যায় সম্বন্ধে নে বিশ্বাস হৃদয়ে স্থান পাইয়াছিল, যৌবনে তৰ্কশাস্ত্রের সমূহ আলোচনার পর ত আপনাকে ভ্রান্ত বুঝিতেছি না । ইন্দ্রিয়গণ আমাদিগকে নীতিমার্গ হইতে ভ্ৰষ্ট করিতে পারে করুক, কিন্তু সদসৎ জ্ঞান যে জ্বলন্ত অক্ষরে অামারদের অন্তরে চিহ্নিত রহিয়াছে, কখনই তাহার ক্ষয় দেখিতেছি না । (ঘ) আমরা দেখিতেছি নীতি-অনুমোদিত কাৰ্য্য সকলেরই অনুষ্ঠানে হৃদয়ে অভূতপূর্ব ভাবের সঞ্চার হয় ; কিন্তু যাহাতে সুখ হয় তাহাই স্যায্য নহে। সুতরাং স্থখ ও ন্যায় পরস্পরের প্রকাশক নহে । সুখের ক্ষেত্র ন্যায়ের অপেক্ষা প্রশস্ততর, সুতরাং সুখ ন্যায় কৰ্ম্মের পরিমাপক হইতে পারে না । সুখের কষ্টি