পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহংগৰ্ভ নহে ; ঘট-জ্ঞান পটগৰ্ত্ত नरह हेंश যেমন স্বনিশ্চিত, ঘট-জ্ঞান অহংগৰ্ত্ত নহে } ইহাও তেমনি সুনিশ্চিত । অহংজ্ঞান বলিয়া আমাদের বিশেষ একটি জ্ঞান আছে— তাহাই কেবল অহংগৰ্ভ, তদ্ভিন্ন আর কোন জ্ঞানই অহংগৰ্ভ নছে ; আমাদের সকল জ্ঞান নিৰ্ব্বিশেষে অহংগৰ্ত্ত নহে। প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্ত লৌকিক চিন্তার দুমাত্মক মত ব্যক্ত করিতেছে ॥ ২৫ ॥ আত্ম-জ্ঞান-সম্বন্ধে প্রতিপক্ষ সিদ্ধান্ত লৌকিক চিস্তার ভ্ৰমাত্মক মতটি যেমন স্পষ্টাক্ষরে ব্যক্ত করিতেছে—ইতিপূৰ্ব্বে অরি কৈছ সে রূপ করে নাই । প্রতিপক্ষ বলিতেছেন যে, আমাদের বিশেষ একটি দুঃনষ্ট অহংস -- আমাদের সকল জ্ঞান অহং* নহে । আমরা তাহাকে জিজ্ঞাসা করি যে, আমাদের সকল জ্ঞান যদি অহংগ না হল, তবে আমরা যে, আমাদের এক স্তানের সহিত আর এক জ্ঞানের সাজাত্য উপলদ্ধি করি।--তাছা কি সুত্রে উপলব্ধি i ،منهيه ! هيr;" ੇ করি ? এ বিষয়ে তিনি নিরুত্তর ; তবে দি তিনি এইরূপ উত্তর দেন যে, সকল জ্ঞানই জ্ঞান -এই সূত্রে, সে তাছার উত্তর উত্তরই নছে । হস্তী-সকলের মধ্যে কি সুত্রে সাজাত্যের উপলব্ধি হয়-এ প্রশ্নের দুইরূপ উত্তর হইতে পারে ; এক উত্তর এই যে, তাহার। সকলেই হস্তী—এই সুত্রে ; এ উত্তর উত্তরই নছে ; আর-এক উত্তর এই যে তাছারা সকলেই শূণ্ডধারী—এই সূত্রে ; এই উত্তরই প্রকৃত উত্তর । তেমনি, জ্ঞানসকলের মধ্যে কি সুত্রে সাজাত্যের উপলন্ধি হয়—এ প্রশ্নের অসদুত্তর (অথবা যাহ। আরো ঠিক, অনুত্তর) এই যে,তাহার। সকলেই জ্ঞান-এই সুত্রে ; সদুত্তর এই যে, তাহার সকলেই অহংগৰ্ত্ত—এই সূত্রে। প্রতিপক্ষ তাহার আপনার কথায় আপনি বাধা পড়িয়া

  • দৰ্শন-সংহিতা—জ্ঞানতত্ত্ব ।

১৩৭ প্রদানে একান্তই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটির সদুত্তর প্রদানে এ অসমর্থ। প্রতিপক্ষ সিদ্ধাম্ভের মর্শ কথাটি যে কি তাছা নিম্নলিখিত नागामा ख्झाइब्रपब्रि n প্রতি দৃষ্টি করিলেই সহজে হৃদয়ঙ্গম হইতে পরিবে ;–আমি একটি ঘট জানিতেছি— লৌকিক চিন্তার মতে আমার এই ঘট-জ্ঞান একটি অনন্য-সাপেক্ষ সৰ্ব্বঙ্গীন জ্ঞান। আমি একটি পট জানিতেছি—আমার এই পটজ্ঞানও লৌকিক চিন্তার মতে একটি অনন্যসাপেক্ষ সৰ্ব্বাঙ্গীন জ্ঞান , এবং উপরি-উক্ত ঘট-জ্ঞান হইতে ইহা সম্পূর্ণরূপে বিবিক্ত । পুনশ্চ, আমি আপনাকে জানিতেছি—আমার এই আত্মজ্ঞানও লৌকিক চিন্তার মতে ७कछि অনন্য-সাপেক্ষ সৰ্ব্বাঙ্গীন জ্ঞান এবং উপরি উল্ল জ্ঞান-দ্বয় হইতে ইহ সম্পূর্ণরূপে বিবিজ্ঞ । এইরূপ পদ্ধতিই সে, আত্মজ্ঞান নিরূপণের প্রচলিত পদ্ধতি, এ বিষয়ে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । সৈম-সংশোধন { ২৬ { কিন্তু এরূপ পদ্ধতি প্রত্যক্ষ এবং আলুমান উভয় বিরুদ্ধ । ইহা স্ববিরোধী । ইহাতে এইরূপ দাড়ায় যে, সামান্য জ্ঞান ব্যতিরেকে বিশেষ জ্ঞান সম্ভবে--আত্মজ্ঞান বাতিরেকে বস্তু-জ্ঞান সম্ভবে । সত্যসত্যই এরূপ কোথাও ঘটে না—“যেন ঘটে” এইরূপ মনে হয় মাত্র । বাস্তবিক যাহা ঘটে তাহ। এই ;–ঘট এবং আমি আপনি দুয়ে মিলিয়। একটি সৰ্ব্বাঙ্গীন জ্ঞান ; পট এবং আমি আপনি দুয়ে মিলিয়। একটি সৰ্ব্বাঙ্গীন জ্ঞান ; এক কথায়-যে কোন বস্তু হউক না কেন তাহা এবং আমি আপনি দুয়ে মিলিয়া তদ্বিষয়ক জ্ঞান স্বনিম্পন্ন ছয় । জ্ঞান-মাত্রই যখন এই রূপ দ্বৈত-গর্ভ, তখন-আবু তাহাকে শুদ্ধ কেবল বিশেষাত্মক বলা সাজে না— তাহা বিশেষ (কোন-না-কোন বস্তু অথবা ভাব) এবং সামান্য (অস্থম্পদাৰ্থ) এই দুয়ের