পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৬

যে কোন একটা প্রাণ পূৰ্ব্ববর্তী. প্রাণ इह--| ফান্স দেশে Madame Gyonमान्नै এক গভীর তেই উৎপন্ন হইতে পারে। পূৰ্ব্বে বিজ্ঞান বলিতেন যে প্রাণ আপন আপনি সস্তুত হইতে পারে, কিন্তু বৈজ্ঞানিকগণ কর্তৃক এক্ষণে সে সংস্কার পরিত্যক্ত হইয়াছে। যে দিন হইতে বিজ্ঞান প্রাণ হইতেই প্রাণের উৎপত্তি হইতে পারে স্বীকার করিয়াছেন সেই দিন হইতেই উস্থা একটী আদি প্রাণের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন বলিতে হইবে । এইরূপে যতই বিজ্ঞান উন্নতি লাভ করিবে ততই উহা ধর্মের সত্য গুলি প্রমাণ করিবে, তাছাদের সত্যত সুম্পষ্ট রূপে দেখাইয়৷ দিলে, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । আধ্যাত্মিক নিয়ম লক্ষয় ধৰ্ম্মের স্বঃি, আর ভৌতিক নিয়ম লইয়া বিজ্ঞানের সৃষ্টি । দুই প্রকার নিয়মই ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠিত, ল এর বিজ্ঞানে যখন আর অসভ্যতা থাকিবে না, খস উচ্চ সকল সত্য ভৌতিক নিয়ম আবিষ্কার ক{ " পারিলে তখন আধ্যাত্মিক নিয়মের সমষ্ট্রি থে ধৰ্ম্ম তাহার সহিত বিজ্ঞানের কোন রূপ বিরোধিতা থাক! ধে ন রূপেই সম্ভব হইবে ন। তখন ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠিত ভৌতিক নিষম এবং তাছার প্রতিষ্ঠিত আধ্যাত্মিক নিয়মের অর্থাৎ ধৰ্ম্ম ও বিজ্ঞানের একত بهبه বাসনা নিবৃত্তি । বাসনা নিবৃত্তিই ধৰ্ম্মের উচ্চতম অবস্থা, এই বিশ্বাস খুব প্রচলিত। বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম এই যত প্রচার করেন । হিন্দু ধৰ্ম্মাবলম্বাদিগের মধ্যে কোন কোন সম্প্রদায়ের ও ঐ মত । ইয়োরোপের Perimist নামক সম্প্রদায়ের ও ঐ মত। আবার কোন কোন খ্ৰীঃ ধৰ্ম্মাবলম্বীগণও ঐ রূপ মত প্রকাশ করেন । ঈশ্বরপ্রেমিক মহিলা ছিলেন । তিনি Quietism নামক ধৰ্ম্ম মতের প্রবর্তন করেন । făfi aş grs afrigits.R Erom our wish ing and desiring our unhappiness proceeds” অর্থাৎ আমাদের স্বাসনা চইতেই আমাদের অমুখের উৎপত্তি, অতএব বাসন পরি ত্যজ্য । বাসনা নিবৃত্তির মত অতি ভ্ৰমাত্মক । নীচ বামন, অপবিত্র বাসন অল শ্যই পরিতাজা, কেন না তাহ হইতে আমাদের ঘোর অবনতি, এবং সৰ্ব্বনাশ হষ্টতে পারে। কিন্তু পবিত্র বাসনা, উচ্চ বাসন, সাধু বাসন যদি আমরা পরিত্যাগ করি তাই। হইলে আমাদিগের উন্নতির পথ দ্ধ হইয়। মায়, জীবণের উদ্দেশ্য সাধিত হয় না, ঈশ্বরের ইচ্ছ। সম্পন্ন করা হয় না । ঈশ্বর অামাদিগকে যে সকল বৃত্তি দিয়াছেন, তস্থার প্রত্যেকট নানা বাসনার আকর। সেই মাক লালমার মধ্যে যে গুলি পবিত্র নীতিসঙ্গত ও ধৰ্ম্মসঙ্গত ও যাহার অনুসারে কার্য্য করিলে সেই সকল বৃত্তিগুলি পবিত্র ও উন্নত হয়, সে সকল বাসন চরিতাৰ্থ করা আমাদিগের কর্তব্য । সকল স্বাসনার নিবৃত্তি সাধন শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক মৃত্যু ভিন্ন আর কিছুই মহে । আমর বাসনা"ন্য হইব অষ্টার তাহ। কখনই ইচ্ছা নহে, তাছা হইলে তিনি আমা রু দিগকে বাসনাপূর্ণ করিতেন না। বাসন৷ সকল নিয়মিত ও স্থপরিচালিত করাতেই আমাদের মঠ ও তাহার উপরই আমাদিগের ভবিষ্যৎ মঙ্গল নির্ভর করে, বসন৷ নিরক্তিতে আমাদিগের মহত্ত্ব নাই ও তাছা আমাদিগের অমঙ্গলসাধক । ঈশ্বর আমাদিগকে নানা পবিত্র বাসনা দিয়াছেন, মে সকলের চরিতার্থতা আমাদিগের সুখ ও উন্নতির কারণ, সে সকলের নিবৃত্তিতে প্রকৃত্ব