পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বিতীয় কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থিবী প্রথমে পুর্ণ সুখের স্থান ছিল, পরে হার নিয়ম শুঙ্খলার ব্যতিক্রম হইয়াছে, } ভাষার & কখনই উচিত কায নহে । যখন ত তার এক্ষণে তাহার আর পরিশোধন হইবার উপায় নাই । ইহা হইলে বিজ্ঞান শাস্ত্রের ঘত উন্নতি হউক, ও তস্থার বিশ্বের নিয়ম স্বত্ত অৰগত হওয়া যাউক, কিছুতেই মনু ষ্যের উন্নতি হইবার সম্ভাবনা থাকে না । ইউরোপের তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতদিগের মধ্যে এইমত ক্রমশ অশ্রদ্ধিত হইয়া আলিতেছে । তাহার। বিজ্ঞান শাস্ত্রের অনুশীলন করিয়া নিশ্চয় জানিতেছেন যে যৎ পরিমাণে জগভের নিয়ম প্রকাশ হইবে ও লোকে তদনুযায়ী কাৰ্য্য করিতে সমর্থ হইৰে, তৎপরিমাণে তাহারদিগের সুখের বৃদ্ধি, এবং অবস্থা ও স্বৰূপের উন্নতি হইবেক । তাহারা জবিজ্ঞ খ্রীষ্টানদিগের ন্যায় পরমেশ্বরকে ৰিশ্ব-চেন্টার সাক্ষাৎ কারণ বলিয়া স্বীকার করেন না, অর্থাৎ পরমেশ্বর কাহারও প্রতি তুষ্ট বা রুষ্ট হইয়া সাক্ষাৎ ঐশী শক্তি প্ৰ চার করিয়া কোন সাংসারিক ব্যাপার সম্পন্ন করেন, | | s I | ! } ! এবং তাহাতে ৰিশে’ব ৰিশেষ । সঙ্কম্প করিয়া বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির সুখ । ছুঃখ নিয়োজন করেন, ইহা অঙ্গীকার করেন না। প্রতুত তাহারা এপ্রকার ৰিশ্বাস করেন যে জগদীশ্বর নিৰূপিত নিয়ম সংস্থাপন করিয়া বিশ্বপালন করিতেছেন-ফলাফল বিধান করিতেছেন—সুখ দুঃখ বিতরণ করিতেছেন । তিনি কাহারও স্তক্ষেত্তে বা প্রার্থনাতে কদাপি নিয়মের অতিক্রম করেন না । তিনি জগতের পদার্থ সকল কিয়ৎ পরিমাণে আমারদিগের ইচ্ছার আয়ত্ত করিয়াছেন, এবং যাহাতে আমরা সেই সমত্ত ৰঞ্জর বিষয় আলোচনা করিয়া অগপনারদিগের জ্ঞান ও সুখের উন্নতি করতে পারি, তাৰায়দিগের জজপ ৰ্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন । অতএৰ মূখন পরমেশ্বর চেত্তনচেতনভাৰৰ বস্তুর উপর সাধারণ নিয়ম প্রচারণ করি সংসার সাক্ষর করখেছেন, ७ च्द्द्र भीडाङ्गदर्भग्रं कर्तुझकडचा | l "বিধয়ে জাপন জক্তিপ্রায় প্রকাশ করতেন ছেন, তখন আঁrহার সেই সকল লিয়ম লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য অবশ্যই দু থোৎপত্তি ছয় । যে কার্য্য তাহার নিয়মাধীন না হয়, ভt : নিয়ম অবগত হইলাম, তখন তাঙ্কাজে শ্রদ্ধ করা,অন্যকে জাহার উপদেশ দেওয়া, ও সংসারে যাহাতে তদনুযায়ী ব্যবহার প্রচলিত হয় তাহার উপায় করা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য । পরমেশ্বরের নিয়মের উপদেশ করা ধৰ্ম্মেপদেশেরই অঙ্গ । চতু ম্পাঠীর পাঠ্য গ্রন্থের সংখ্য মধ্যে তদ্বিষ য়ক গ্রন্থ নিয়োজিত করা উচিত কয় । এদেশে কোন বিজ্ঞান শাস্ত্রেরই বিশেষ প্রচার নাই, অতএৰ চতুষ্পাঠীতে ধৰ্ম্মোপদেশ করা সম্ভাবিত নহে। কিন্তু বিজ্ঞানশাস্ত্ৰ-সমুজ্জলিত ইউরোপখণ্ডের গ্রীষ্টান পণ্ডিতেরাই বা কোন আপনারদিগের বিদ্যালয়ে এবিষয়ের উপদেশ করিয়া থাকেন? বরঞ্চ কেহ অনুরোধ করিলে তাঙ্কার প্রতি খড়্গ-হস্ত হইয়৷ কটুক্তি করেন, ও নাস্তিকতা অপবাদ প্রদান ক রয়া থাকেন । বস্তুতঃ যৎকালে ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রকাশ হইয়াছিল, তখন মনের নিয়ম ও ভৌতিক জগঙ্গের নিয়ম বিশিষ্ট ৰূপে আলোচিত হয় নাই ; ইহ লোকে কি নিয়মে সংসারের কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ হইতেছে,ভোগাভোগের ৰিধান হইতেছে, সুখ দুঃখের পরিবর্তন হইতেছে, এসমস্ত তৎকালের লোকের জ্ঞানগোচর হয় নাই। সুতরাং পরমেশ্বর ম্বেৰূপ নিয়মে সংসার পালন করিতেছেন, শাস্ত্রকা রেরা তাহার সহিত স্বপ্রকাশিত শাস্ত্রের ঐক্য রাখিতে সমর্থ হয়েন নাই । দেখ যত মুক্তন নূতন বিদ্যার সৃষ্টি হইতেছে, ঙ্কতই বাইবেল শাস্ত্রের পুর্বপুৰ্ব্ব ব্যাখ্যা পরি বর্তন করিয়া মুক্তন মুক্তন সিন্ধান্ত প্রতিপন্ন করিতে হইতেছে । অনেকানেক প্রাচীন । তৃত্ত্বেবেত্তা ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রবেত্ত্ব। সুস্থারের স্থখ ছুঃখ বিষয়ক সুনিয়ম গ্রন্দর্শৰে অধিকারী হইতে না পারিয়া এককালে এমন্ত মীমাংস