$2 S) কারণ ও অশ্রয় হইতে জীবাত্মা বিচ্ছিন্ন হইয়া থাকিতে পারেন না । ষিনি আমার আশ্রয়, ওঁহি হইতে কেমন করিয়া দুরে থাকিতে পারি। আমরা বৃক্ষ ফল ফুল শাখা পল্লব দেখিতেছি, ইহা কি মনে করিতে পারি যে তাহার মূল নাই, যদিও সেই মুল মৃত্তিকণর মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া রচিয়াছে । আমাদের পরিমিত আত্মাও সেই মুল কারণ ব্যতীত থাকিতে পারে না । আমি যখনি আপনাকে জানিতেছি, তখনি জানিতে ছ আমি পরিমিত আশ্রিত এবং আমার উপরে এক মহা পুরুষ আছেন, #iহার আমি আণশ্রিত ! ! iপনার জ্ঞানের প্রতি দৃষ্টি কর, তাহ চতুদিকেই পরিমিত প্ত সীমাবদ্ধ ; কিন্তু ভtহাট অসীম জ্ঞানকে প্রকাশ করিতে থাকে । মাপনার ইচ্চার ভাব দেখ, তাহা স্বাধীন থচ ক্ষুদ্র ; তাছা সেই মহ ঠী ইচ্ছারই ন দেখিতে পাহবে এবং সেই অপ ত শক্তির আশ্র য়েই আপনার স্ব প্রকাশ দেখিতে পাইবে । আপনার শ্রদ্ধ। ভক্তি প্রীতি ভাৰ সকলকে রীক্ষা করিয় দথ ; সেই অনন্ত স্বৰূপে স্থাপিত ন হই কিছুতেই তাহারা তৃপ্ত হয়না । আপনার মুদয় আত্ম। ই পরমাত্মার আশ্রয়ে দেখি পাইবে । আত্মার সঙ্গে সঙ্গে তাহার মৃ ধরণ ও আশ্রয়কে দেখিতে পাইবে । ৰে , সমুদয় বস্তু অ! কাশ অবলম্বন করি যা আছে এবং অাকাশের সহিত স দয় পরমেশ্বরের অ4শ্রয়ে রহিয়াছে, জ স্মাকেই অবলম্বন , রিরা রহিয়াছে । সেই পরে অক্ষরে অ নি ’ অবিনাশী পরমাত্মাতে জীবাত্ম প্রতিষ্ঠিত আছে । যেমন রথ নাভি ও রথ নেমিতে আর সকল সমfপ ত রহিয়াছে, সেই ৰূপ এই পরমাত্মাতে সৰ্ব্ব ভুত, সকল দেবতা, সকল লোক সকল প্রজ। এই সমুদয় আত্ম সমৰ্পিত হইয় রহিয়াছে । জীবাত্ম। পরম ত্বা এত নিকট যে উচ্চাদের মধ্যে অকাশেরও ব্যবধান নাই । আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার এই প্রকার নিকট সম্বন্ধ। আমর। আশ্রিত হইয়। ৰি অঞ্জয়কে জানিব না ? ষে ব্যক্তি র্তাহীকে "ম। সে ই ৰূপ পরমা অন্তরে দেখে, সে সেই এক অদ্বিতীয় সকলের আশ্রয়কে এবং আপনার আশ্রয়-দাতাকে দেখিতে পায়। অক্সি” পরমাত্মা উভয়েই একত্র রছিয়াছেন এবং উতয়েই পরস্পরের সখা । এ দুই জন সৰ্ব্বদ। একত্রে থাকেন । এক জন অঞ্জিয়, এক জন আশ্রিত ; এক জন ফলভোগী, আর উক জন ফল দণত । অতএব তাহার সঙ্গে আমারদের কেমন নিকট সম্বন্ধ । কেহ বলেন, র্তাহার সহিত সহবাস কি প্রকারে হইতে পারে ? মনুষ্য মনুষেরই সঙ্গী হইতে পারে কিন্তু কোথায় সেই ভুম। অনাদনন্ত পুরুষ আর কোথায় আমরা এই সকল ক্ষুদ্র জীব - আমাrে "ার নান অভাব, নানা দুৰ্গতি । র্তাহার। সে ই মহাৰু পুরুষকে দেখিয়া এবং আপনাদের অতি । . ক্ষুদ্র ভাব দেখিয়া ভঁ। হার নিকটে যাইতে সঙ্কচিত হন। কিন্তু সহবাস কি ? না, একত্রে থাক। দূরের বস্তুর সঙ্গে ই সহবাস হয় না কি স্তু অস্তবতমের সঙ্গে কেন না। এ কত্রে থাক। যাইবে ? এমন যে নিকটের বস্তু, তাহার সঙ্গে সহবাস কেন ন হইবে ? আশ্রয় হইতে আশ্রিত কি দুরে থাকিতে পারে ? পূৰ্ব্বকালে মহর্ষিগণ র্তাঙ্কার সহবাস লাভ করিয়া তহিকে করতলন্যস্ত আমলকবং বলিয়। গিলছে ! আমলক ফলকে যেমন আমরা ছ স্তু দ্বারা স্পর্শ করি, র্তাহাকে সেই ৰূপ আমদার। স্পর্শ করি । তিনি আমাদের এত নিকটে আছেন যে আত্মা তাহাকে স্পর্শ করিম জানিতেছে ; হোর সঙ্গে সংস্পষ্ট হুইয়া রহিয়াছে। যখন তিনি আমাদের এত নিকটে আছেন, ভুখন তাহর সহিত সহবাস কেন ন হইৰে ? সঁচ্বাস অর বাহাকে বলে ? আমরা মুক্ত হৃদয়ে তাহার নিকটে প্রার্থনা করিতেছি, তিনি তাঙ্গ শুলিতেছেন ; তিনি আমাদিগকে জ্ঞান দিতেছেন, আমরা তঁহার অমৃত বাক্য শুনিতেছি ; একি তাহার সহিত সহবাস নয় ? আমি যখন যাহ। তাহাকে বলিতেছি, তাহ। তিনি শুনিতেছেন ; তিনি যাহা আদেশ করিতেছেন, আমি শুনিতেছি ; এ অপেক্ষ সহবাস আর কি ই
পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।