পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ছেন ; কিন্তু তাহারদের নিকট হইতে গ্ৰীতি পুনর্বর চাহেন না। মনুষ্যকে প্রীতি করি তেছেন যে পুনর্বার সে তাঁহাকে প্রীতি করিবে । তিনি ঠাহীকে প্রীতি দান করিতেছেন এবং তাহা হইতে গ্ৰীতি গ্রহণ করতেছেন । মনুষ্য কেবল এই জগৎ সংসারকে প্রীতি করিয়াই নিরস্ত নহেন ; কিন্তু বিশ্বকন্তু যে পরমেশ্বর, তাহাকেও প্রীতি করি, লচেন এই জনা : o স্বাধীন করিয়া ुर्धर्वश्। थाख श्हेब्रु ,盛*"A、 তেছেন । তিনি মনুম্ভ্রে" দিয়াছেন--তিনি স্ট্রে ছেন, যাচাতে তাহার"ীতি করিঞ্চর মাধ্য হইতে পারে। মনুষ্যকে ফwিই প্রকার স্বাধীন ভাল না দিতেন, তবে তিনি তাহার নিকট চাইতে প্রীড়ি চাহিতে পারতেন না । যাহারণ প্রকৃতিরই অধীন, তাহদের নিকটে তিনি প্রীতি চাহেন না । যাহার। স্বাধীন, ষাহারণ অপেন ইচ্ছাতে প্রীতি দান করিতে পারে, ও ছাদের নিকট হইতে তিনি প্রীতি চাহেন—তাহারাষ্ট মনুষ্য । আমারদের ইচ্ছ চাই তাকে প্রীতি করি, চাই না করি— চাই তার ধৰ্ম্ম পালন করি, চাই না করি । যদি এই প্রকার স্বাধীনতা না দিতেন, তবে কি অমর ত৷হীকে প্রাতি করিতে পারিতাম ? যদি ও পারিতাম, তথাপি সে প্রীতি, প্রীতি নামের যোগ্য হইত না । গ্ৰীতি কি বাধ্যভার অধীন না অনুরোধের অধীন ? প্রীতি কি মুদ্র দ্বারা ক্রয় করা যায় ? দুর্ভাগ্য ক্রীত দাসকে কি কশাঘাত করিয়া প্ৰভু তাহার এাতি আকর্ষণ করিতে পারেন ? স্বাধীনতা প্রীতির আশ্রয় ভূমি ! ঈশ্বরের ইচ্ছা, মনুষ্য তাহাকে প্রীতি করুক ; এই জন্য তিনি মনুষ্যকে স্বাধীন করিয়া দিলেন। তিনি আর আর সমুদয় বস্তুকে, সমুদয় জন্তুকে,একৃতির অখণ্ড নিয়মে বদ্ধ করিয়া মনুষ্যকে ধর্মের নিয়ম দিলেন। তিনি আমারদিগকে প্রীতি | | | | | | | పిరి করিতে বাধ্য করেন না। যে আত্মা ধৰ্ম্মেতে উন্নত হইয়াছে, যে আত্মা স্বাধীন, যে আত্মা মুক্ত, যে আত্মা মঙ্গল-ভাবে সম্পন্ন হই য়াছে ; তাহার নিকট হইতেই তিনি প্রীতি চাকেন। যে আত্ম পরাধীন, স্বীয় প্রবৃত্তিরই অধীন—যে আত্ম বিষয় জালে বদ্ধ হইয়। অবসন্ন হইয়াছে ; যাহার এত টুকুও বল নাই, এত টুকুও স্বাধীনতা নাই যে আপনার এক টুকু প্রবৃত্তির প্রতিকূলে গিয় ধৰ্ম্মের মহান আদেশ পালন করে ; তাহার নিকট হইতে তিনি প্রীতি পাইতে পারেন না । আমরা তাহীর প্রীতি, তা চার পবিত্রতা, ত}হণর মঙ্গল-ভাব দেখিয় আপন) হইতে যে প্রীতি র্ত্যহাতে দান করি, সেই প্রীতিই তিনি গ্রহণ করেন ; তদ্ভিন্ন আর কিছুই গ্রহণ করেন না । ধৰ্ম্মের আবার এই প্রকার ভাব ষে যখন আমরা ধৰ্ম্মেতে উন্নত হই, ধৰ্ম্মের সৌন্দর্য্য ও রমণীয় ভাবসকল গ্রহণ করি ; তখন প্রীতি তাপন হইতেই সেই মঙ্গল স্বৰূপ পরমেশ্বরে যায় । কখন গায় না ? যখন পশুবৎ মাচরণ করিয়৷ হৃদ য়ের মঙ্গল-ভাব নিৰ্ব্বাণ করি। আর যে আত্ম যথার্থ মুক্ত--- ষে বিষয়ের কুটিল মন্ত্রণা-সকল অনায়াসে অতিক্রম করিতে পারে—যে আত্ম ধৰ্ম্মেতে, মঙ্গল-ভাবে, উন্নত হইয়াছে ; ঈশ্বর-প্রীতি ভিন্ন কি অণর কোন স্বাদু তাহার মিষ্ট লাগে ? সে র্তাহার প্রীতির জন্য সহস্ৰ সহস্ৰ বিষয়-সুখ অনায়াসে পরিত্যাগ করিতে পারে, সহস্র হস্র বিস্ত্র বিপত্তি অমা য়াসে কতিক্রম করিতে পারে। হুর্য্যোদয়ে যেমন রজনীর অন্ধকার আর প্রাতঃকালের কুজৰাটিকা দূর হয় ; প্রীতির আগমনে তাহার সকল প্রকার ভয় ও ব্যাকুলতার শাস্তি হয়। সেই ধৰ্ম্মাত্মা সাধু পুরুষের চিত্ত-ভূমিতে আত্ম-প্ৰসাদের বিশদ জ্যোৎ