পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৩

তত্ত্ববোধিনী গত্রিক। জোরে এক এক যা ঢাকের উপর পড়িতেছে; জাহার চামড় ছিড়িয়া যায় না, এই আশ্চর্য্য। চমৎকার বাদ্য কাণ জুড়াইয়া গেল! বাদ্য সাঙ্গ হইলে পর ভূতের নাচ আরম্ভ হইল। প্রথমে একজন ছিটের কাপড পরিয়া আর কস্তির ন্যায় দুই বৃহৎ কাণওয়ালা টুপি মাথায় দিয়া, দুই হন্তে দুই মশাল ধরিয়া নাচতে লাগিল। ঘুরিয়া ফিরিয়া হেলিয়া দুলিয়া মশাল সুরহিয়া অনেক প্রকারে মৃত্য করতে লাগিল। পরে এক ছোট বালক আর এক সঙ সাঙ্গিয় উপস্থিত। তাহার রঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়া আমরা আর হস্ত রাখিতে পারিলাম না । তাহার দুই কাধ হইতে দুই গুচ্ছ নারিকেল পত্র বলিয়া পডিয়াছে, বাদের সঙ্গে তাল রাখিবার জন্য নাচিবার সময় তাহ ব্যবহার করে । প। অবধি মস্তক পর্য্যন্ত তাহার সৰ্ব্ব শরীর অান্দোলিত হইতে লাগিল । বালকটি আপন কৰ্ম্মে বড়ই দক্ষ ও নিপুণ। এই প্রকারে প্রায় দশ বারটা ভুত আমাদের সম্মুখে একে একে আসিয়া নৃত্য করিল। কাহারও মুখ কুম্ভকর্ণের মত—কাহারও নৃসিংহ অবতারের মতা—কেহ বা কুকুটের ভূত যা জিয়া আসিয়া দেখিতে জটায়ুর মত হইয়াছে—কেহ মহাদেবের ন্যায় মস্তকে সর্প ধারণ করিয়াছে—কেহ মুখ ব্যাদান করিয়া ভয়ানক দন্ত পাটী বাহির করিতেছে--কেহ মুখের মধ্যে মশাল ধরিয়া গৰ্ব্ব প্রকাশ করিতেছে। একটি ভুত সকল অপেক্ষণ ভয়ানক তাহার বিশাল দন্তু সমুদয় বহির্গত— তাহার অৰ্দ্ধশরীর ভল্ল ক চৰ্ম্মের মত এক డ বস্ত্রে মাৱত। সে কখনো বা লম্ফ ঝম্প দিতেছে ; কখনও বা একটাকে ধরিতে যাইতেছে ; কখন মশালে ধুন নিক্ষেপ করিয়া চতুর্দিক প্ৰজলিত করিতেছে; কখনও অগ্নি খাইতেছে-এটাই প্রকৃত ভুত । মবর্বশেষে আবার বালকটি অমিয় মৃত্য আরম্ভ করল । তাহাকে দেখিয়া হাস্য ও আক্ষে‘প ছুইই উপস্থিত হয়। অক্ষেপ এই জন্য যে এই বালক ষে পরিশ্লম ও অধ্যবসায় ও একাগ্রতার সহিত ভুজের মৃত্য শিথিয়াছে ; ভাই বিদ্যা শিক্ষাতে ব্যয় করিলে মে মন 6':) কে কত উন্নত করিতে পারত ! আত্ম-শোধমে সেই ৰূপ তৎপর হইলে মনুষ্য জীবনের কতই মহত্ত্ব লাভ করিত ! কিন্তু এক্ষণে তাহার মন কি সঙ্কীর্ণ স্থানে বন্ধ রহিয়া ছে ! তাহার নৃত্য দেখিয়া লোকে এক হাস্ত করিলে সে আপনাকে কেমন কৃতা বোধ করিতেছে । ভুতের ব্যাপার সমাপ্ত হইলে আর এক প্রকার বাদ্য আরম্ভ হইল । শুনিলাম,গবর্ণর সাহেব আইলে সেই বাদ্যে র্তাহার অভ্যর্থনা হইয়া থাকে। ঢোল, ঢাক, টমটম, বাশী একত্রে গোলেমালে ৰাজিতে লাগিল । এই প্রকার কর্কশ অঙ্গাব্য গান বাজনা, ভূত প্রেতে এই ৰূপ বিশ্বাস ; এই সকল দেখিয়া শুনিয়া এখানকার সামান্য লোকের অবস্থা বড় ভাল বোধ হয় না। রাত্রি ১১টার পর ভূতের মাচ> সমাপ্ত হইল। যদিও আমরা ভূতের হস্ত হইতে রক্ষা পাইলাম ; তথাপি সন্ধর সময় যে ফারেন্ট নামক এক সাহেবের সঙ্গে অtলাপ হইয়াছিল,তাহার হস্ত হইতে উদ্ধার হইতে পারি নাই। সেই তত রাত্রিতে তিনি তামাদিগকে এক মুদলিয়ারের বাটীতে লইয়া গেলেন । মুসলিয়ারের সঙ্গেও দেখা ছইল। ইনিও খৃষ্টান ; ফরেষ্ট সাহেৰ কাসিতে হাসিতে বললেন, ইনি অৰ্দ্ধ খুষ্টান অৰ্দ্ধ বৌদ্ধ । মুদলিয়ারের নিকট হইতে অনেক কলে কৌশলে বিদায় হইয়। আইলাম । ৬ কীৰ্ত্তিক, শনিবার । , পান্থগৃহ আমাদের পক্ষে ক্লারাগুহ হইয়াছে, তার তাহীর রক্ষককে কারা-রক্ষক বোধ হইতেছে। এক দুষ্টে কলিকাতা যাষ্ট্রবার বাষ্পীয় নৌকার প্রতীক্ষা করিতেছি,কিন্তু এখনো তাতার নাম গন্ধও নাই । এগালের খোলার ঘর ; আর পান্থশালার বিস্বাদ অন্ন ; আর দিবসে নিষ্কৰ্ম্মার নায় পড়িয়া থাকা; অার চতুর্দিকে চিরুর্ণিওয়াল মাথা ; সক লই বিরক্তি জনক হইয়াছে। সকল বিষ য়েরই উপযুক্ত সময় অাছে। আমাদের এখামে থাকবার সময় উত্তীর্ণ হইয়। গিয়াছে । আজ বাষ্পীয় নৌক আইলেও হইজ ७कछे ८कांम दिञ्च बt. इश्ल्ला बांग्न मt । ****