পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৬

১১২ করিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাহার সহায় হইয়া তাহাকে নিৰ্ব্বিয়ে সেখান হইতে উৰ্ত্তীর্ণ করিলেন । গ্র লাদ চরিত্রে আমারদের যেমন বিশ্বাস, এই গম্পে ইহাদেরও বোধ হয় সেই প্রকার বিশ্বাস থাকিবে । ইহাদের উপাসনা পদ্ধতিতে বাহিরের আড়রই অধিক ; কিন্তু ভক্তিভাব অপই দেখিলাম । ১৫ কাৰ্ত্তিক, সোমবার । প্রাতে মান্দ্রীঙ্গে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। এখান হইতে মান্দ্রাজের বড়ই আশ্চর্য্য শোভা ! সমুদ্র তীরে অট্টালিকাশ্রেণী বিরাজ করিতেছে । অামারদের নৌকা গোলমালের আলয় হইয়াছে। ইহার কোন স্থানে বিপণী বসিয়াছে, কোন স্থানে বাজীকরেরা ইউরোপীয় দেৰীদিগের নিকটে আপনাদের চাতুর্য প্রকাশ করেতেছে। কত মান্দ্রাজি নেীক বাষ্পপোতের কাছে আলিয়া গোলমাল করিতেছে । সমুদ্র তরঙ্গে সেই সকল নেীক। যেৰূপ আদোলিত হইতেছে, তাহাতে নামিতেই ভয় হয়। এই সকল নৌকার কাষ্ঠ প্রেকের দ্বারা বদ্ধ নহে, কিন্তু বেত্র রজ্জ তে বদ্ধ রহিয়াছে । এক একখানা ক্ষুদ্র তরী সমুদ্র কীটের ন্যায় ভাসিয়া যাইতেছে, তাহার উপরে জল উঠিতেছে, তবুও ডুবিয়া যায় না। বড় বড় দুই কাষ্ঠ বেত্রের রজতে একত্রে বাধা—সমুদ্র তরঙ্গ তাহার কিছুই করিতে পারে না । মান্দ্রাজকে এখান হইতে দেখিয়া বোধ হয় যে এমন পুরী কোথাও নাই। কিন্তু শুনিলাম, সেখানকার গলি সঙ্কীর্ণ, বসতি বিস্তর, আর লোক জনের অবস্থাও বড় ভাল নয়—আমাদের অট্টালিকাময় পুরী কলিকাত অপেক্ষ ইহা অনেক অংশে নিরুষ্ট। আমরা যে, দিনে সমুদ্রের কোল হইতে গাল । পুরার শোভা দেখি তে ছিলাম ; * লে দিনের আর আদ্যকার ; ভাব কত ভিন্ন ! সে দিনে এক এক নারিকেল বৃক্ষ যত ভাবে পূর্ণ ছিল, অদ্য সারি সারি অট্টালিকাও সে প্রকার নয় । সে দিন এক জন নাবিকের মুখ দেখিয়া মন যেৰূপ হইয়াছিল, অদ্য শত শত মান্দ্রাজীকে দেথিয়াও সেৰপ হয় না । তখন ভাবিকাল তত্ত্ববোধিনী পঞ্জিরণ সিংহলের উপরেই যেন মৃত্য করিতেছিল ; কিন্তু এক্ষণে স্বাক্ষর কলিকাতারই প্রঞ্জি यज्कि८१ बन थरियांम इहे८डटझ् । ॐींन्न ১টার সময় মাত্রাঙ্গ পরিত্যাগ করিয়াচলিলাম। আজ আমারদের কুঠরীতে দুই জন মান্দ্রাজী আসিয়া উপস্থিত । তাছাৱ আমাদের ঘরের লোক। কোন দুৰ্দ্ধান্ত সাহেব না আসিয়া যে ত;হারা জাসিয়াছে, এই আমরা ৰহু করিয়া মানিলাম । ১৬ কাৰ্ত্তিক, মঙ্গলবার। 電 সমুদ্র আবার অশান্ত ইয়াছে। অামাকেও আবার সমুদ্র-পীড়া আক্রমণ করিয়াছে । দিন আর যায় না । বাড়ি মনে পড়িলে অস্থির হইতে হয় । অভাবেই সকল বস্তুর যথার্থ গৌরব প্রকাশ পায়। সিংহলে বাড়ির সকল বিষয় এক একবার ছায়ার ন্যায় মনে হইত, কিন্তু ফিরিয়া অসিলার সময়েই বাড়ির আকর্ষণ প্রবল হইতেছে। কলিকাতার ধূলি দুৰ্গন্ধ আর মনে আসিতেছে না ; কিন্তু উহার ভাল বিষয় সকলই মনে হইতেছে । আমি বাড়ির সকলকে একে একে মনে করিলাম ; যতই এই বিষয় লইয়া আন্দোলন করা যায়, ততই যাইবার ইচ্ছা আরো প্রবল হয় । , ১৭ কীৰ্ত্তিক, বুধবার। স্থির সমুদ্র । নীলবর্ণ গিয়া সবুজবর্ণ দেখা যাইতেছে । এক একটা পক্ষাও এক একবার দেখা দিতেছে । যাইবার সময় যেমন, নীলঙ্গল দেখিবার জন্য ব্যগ্র হইতেছিলাম, এক্ষণে ঘোলা জলের জন্য সেই ৰূপ হইতেছি । আজ বঙ্গদেশের শান্ততার সমুদ্রেতেই বিরাজ করিতেছে। সমুদ্র-পড়। আমার মিকট হইতে পলায়ন করিয়াছে । বায়ু এক্ষ* ণে সুস্থতার হিঙ্গোল বহন করিতেছে। আমি যকাল অবধি সন্ধ্য পর্যন্ত মনের সাধে বায়ু খাইতেছি । এখানে বায়ুকে দুষিত করবারও কোর রন্তু মাই—ব্রালিং निंद९१शदश्ः भग्नांङि'I,७ङ्ग्लज़ बिवांनबारे माझे 1 4 ब्रांजि किन भक्लिड जमीन इनिয়াছে ; ঘন্য যে ধাৰণ কক্ষক, এ মার