পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৰবোধিনী পত্রিকা SSAS SSAS SSAS SSAS C MAAA AAAASLLLAAAASAAAA - জীপনার কৰ্ম্ম ভুলে না –মিশা শুভ্ৰময়ী জোৎস্নাবতী হইয়া শোভা পাইতেছে । সাহেব বিবির নৃত্য আরম্ভ করিলেন। তাছাদের যেমন গান তেমনি নৃত্য—আমার উছার কিছুই ভাল বোধ হয় না। ১৮ কাৰ্ত্তিক, বৃহস্পতিবার। সাহেৰের আমোদ প্রমোদে এক প্রকার করিয়া কালক্ষেপ করে । কৰ্ম্মের সময় তাহারা যেমন মনকে গুৰুভারে প্রপীড়িত করে ; কৰ্ম্ম না থাকিলে আমোদের দিকেই তেমনিই ধাবমান হয়। ইউরোপীয় ভদ্রলোক মাত্রই নাচ গানে দক্ষ—নাচিতে না জানিলে তাহারা ভদ্র নামের যোগই হয় না। গল্পের পুস্তক আমোদের আর এক অঙ্গ। গ্রন্থের সক্ষে আমোদ আমারদের তাস পাশা অপেক্ষ শত সহস্র গুণে ভাল বলিতে হইবে । সভ্যতা বিস্তর বৃদ্ধি না পাইলে আর সাধারণে এমন পাঠ-তৎপর হয় না। বিশ্রাম সময়ে সামান্য ভূতেরও হস্তে এক এক খানা পুস্তক দেখা যায়। এখানকার কৰ্ম্মচারীরা আমাদের কৰ্ম্মচারী চাইতে ষে কত উৎকৃষ্ট, বলা যায় না। আমাদের ভূত্যের নিদ্রাদিতে পারিলে তার কিছু চায় না। এখানকার ৭,৮ জনে শতাধিক লোকের কৰ্ম্ম করিতেছে, আরো তাহীদের হস্তে অন্যান্য কত কৰ্শ্ব রহিয়াছে। যাহারা সকালে জুতা পরিষ্কার করতেছে, তাহারাদগকে আবার দেখি রাত্রিতে বাদ্যকর ক্ষইয়। বিবি সাহেবদের মৃত্য সাধন করিতেছে —সমুত্রে যাহা দেখিবার সকলই দেখা হইল। কেবল ভাহাতে প্রবল ঝঞ্জা প্রভৃতি বিপদ দেখা হইল না। সমুদ্রের একই প্রকার ভাব জার কিছুতেই ষায় না। আজ আমরা কলিকাতার অতি নিকটে আসিয়াছি । আমাদের বাঙ্গপোত এক আড়কাট ধরিবার জন্য বড়ই ব্যগ্র হইতেছে। এর সহায়তা ভিন্ন এই সঙ্কট স্থানে এক পদও চলিবার জো নাই। সকলেরই সঙ্গে পারা যায়, কিন্তু আজাপহারী চেীরের সঙ্গে আর পারা যায় না। সীগুৰেড নামক স্থান হইতে চোর বালির জীরভ—এমন সকল বড় জাহাজের বড়ই नोवैधांभ इई८ड इझे । श्रीङ नर्शाः प्रदर्थि অলিয়ছে । কতকক্ষণ পরে $'ృNరి | সকলেই জাড়কাটের জন্য চাহিয়া রহি য়াছে। দূর হইতে কোন মালোক দেখিৰামাত্র সকলেই তাহ নিরীক্ষণ করিয়া দে খিতেছে । রাত্রি ৯টার পর চির প্রাথিত ক র্ণধার পাইলাম, গঙ্গাসাগরের মুখে বাষ্পীয় নেীক নোঙ্গর করিয়া রহিল । ১৯ কাৰ্ত্তিক, শুক্রবার। हेङ्गो প্রাতে জলের বর্ণ উপের মত হইয়া ছোট ছোট পানসী নৌকা সকল দেখা যাইতেছে । ক লিকাতার ‘ওবরলগু মেল’ লইয়া ষাইবার জন্য আর এক ক্ষুদ্র বাঙ্গপোত আসিয়া উপস্থিত। সে শীঘ্র আপন কৃত্য সমাপন করিয়া চলিয়া গেল। বেল ৯টার পর খিজরী হইতে ডাকের নৌক অনেক চিঠি বহন করিয়া অগনির দিল। তাঙ্গতে গাল হইণ্ডে কালীকমল বাবর পত্র পাইবার প্রত্যশ্য ছিল ; কিন্তু কিছুই পাইলাম না। অামরা সকলেই তাহার জন্য চিন্তিত রহিয়া ছি । আজ আমারদের সাবধানে সাবধানে জোয়ার ভাট দেখিয়া চলিতে হইতেছে । কয়খালিতে দুইঘণ্টা কাল অপেক্ষা করিলাম। বেল ছুই প্রহরের পর জোয়ারের সময় আমাদের ইষ্টমার ছাড়িয়া দিল । গঙ্গার দুই পারই দেখা যাইতেছে। গঙ্গ স্বীয় শুভ্র বসন পরিধান করিয়াছেন । এক স্থানে আদিয়া দেখি, আমাদের কুঠরীর জালনা বদ্ধ করিতেছে । শুনিলাম, এই স্থানে এই সকল গবাক্ষ হইতে জল উঠিয়া বস্তু এক জাহাজ ডুবিয়া গিয়াছে। বৈকালে কলাগেছে ছাড়াইয়। গেলাম ! স্বৰ্য্য গাছপালার অন্তরালে অস্ত গেলেন; সমুদ্রের মধ্যে নয়। চতুর্দিক হইতে দেশের গন্ধ অসিতেছে। সেই গঙ্গা, সেই ৰূপ দৃশ্ব, সমুদ্র-বায়ু আর নাই, তীক্ত শীতল বায়ু বহিতেছে-এখন এই ৰাপপোত ছাড়িয়া এক নৌকায় উঠিলেই ঠিক হয় –সন্ধ্যার সময় কলিকাতা হইতে হাত পাঁচ ছয় অস্তর আছিপুরে নোঙ্গর করিয়া রছিলাম। * o কাৰ্ত্তিক, শনিবার | অদ্য গঙ্গণস্নান করিয়া শরীর শীতল স্থইল । সমূদ্র জলে স্নানকে স্নানই ৰোধ হয়