তত্ত্বৰোধিনী পত্রিকা ১২১ CMSMSMSMSMSACSuSTSAALLL AA মৃত্যুতে আর ভয় থাকিবে না—আপনার ক্ষুদ্রত্ব যদিও মনে হইবে, কিন্তু সেই পরম পিতার প্রেম লাভের প্রতি কদাপি নিরাশ रुइँदद मो । ” سرحیم||(م!وعی۔ কলিকাত ব্রাহ্মসমাজের বক্তৃত । • ২৩ আষাঢ় বুধবার ১৮১ শক ঈ শাবস্যমিদং সৰ্বং যৎকিঞ্চি জগত্যং জগৎ । এই ব্ৰহ্মাণ্ডের অন্তর্গত যে কিছু পদার্থ, সমুদ- | যই পরমেশ্বরের দ্বার ব্যাপী রহিয়াছে { পরমেশ্বর সত্য-স্বৰূপ জ্ঞান-স্বরূপ মহান আত্ম।। তঁহার সত্য-জ্ঞান-জ্যোতিঃ অসীম জগতে ব্যাপ্ত হইয়া দীপ্ত রহিয়াছে, এবং আমাদের আত্মাতেও সৰ্ব্বক্ষণ প্রকাশ পা ইতেছে। তাহার মন মাই, তিনি অপরিমিত । জ্ঞান স্বপাপ | তাহার জ্ঞান-জ্যোতিঃ জড় ও জীব ৰূপ সমূদয় আবরণ ভেদ করিয়া প্র কাশ পাইতেছে । জগতের সকল কৌশ- ! লে তঁছার জ্ঞান ক্রিয়ার নিদর্শন রহিয়াছে । র্তাহার সেই অচিন্ত জ্ঞান-ক্রিয়। স্বভাব-সিদ্ধ ; তাহার চক্ষু নাই তিনি সকল দেখিতেছেন, কর্ণ নাই তিনি সকল শুনিতেছেন ; র্ত হার মন নাই অথচ তিনি সকল জানিতে ছেন । যিনি আমাদিগকে জ্ঞান দিয়াছেন, । তিমি কি জানিতেছেন না ? যিনি এই জগৎ কৌশলের রচনা কৰ্ত্তীর্তাহার কি জ্ঞান নাই ? তাহার অবশ্ব জ্ঞান আছে, কিন্তু র্তাহার জ্ঞান আমাদের মানসিক জ্ঞানের ন্যায় পরি ও তিনি জানেন এবং যাহ। কখন জানিতে পারি না, তাছাও তিনি জানিতেছেন। উাহার অনন্ত জ্ঞানকে আমরা ক্ষুদ্র বুদ্ধির আয়ত্ত করিষ্ঠে পারি না । সেই সত্য পুরুষের পূর্ণ জ্ঞামে মগ্ন হইয়া তাহার তলস্পর্শ করিতে পারা যায় না । যিনি ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান সকল কালের সকল ঘটনা পাঠ করিতেছেন-যিনি আমাদের মনের প্রত্যেক চিন্তা, এতোক কামন, প্রত্যেক ভাব অ | p | বগত হইতেছেন, তাহার জ্ঞানকে পরিমা করিয়া কি প্রকারে শেষ করব ? ঈশ্বরের মঙ্গল ভাবও সৰ্ব্বস্থান হইতে প্রকাশ পাইতে ছে | ঈশ্বরকে জ্ঞান স্বৰূপ বলিলে যেমন ইহাও বলা হইল যে তিনি সৰ্ব্বদশী, তিনি বিশ্বশ্ৰবা, তিনি সৰ্ব্ববিৎ সেই ৰূপ ৰ্তাহার মঙ্গল-ভগব জানিলে তাহার অপার করুণ! --তাহার অসীম স্নেহ-- তাহঃ গম্ভীর প্রেম যে তাঙ্গর অন্তভুত হইয়। র কিয়াছে, তাহ স্পষ্ট ৰূপে অবগত হওয় গেল । তাহার স্নেহ, করুণা, ক্ষম, প্রীতি, তা. হার মঙ্গল-স্বৰূপ হইতে বহমান হইতেছে । অ}মর সন্তানের প্রতি পিতা মাতার মনের ভাবকে স্নেহ বলি ; ভ্রাতার প্রতি ভ্রাতার ভাবকে সৌহার্দ বলি ; মনুষ্যের প্রতি মনুষের ভাবকে প্রণয় বলি ; স্ত্রী পুরুষের পরস্পর ভাবকে প্রীতি বলি ; অনাথের প্রতি সাধু ভাবকে করুণ বলি ; কিন্তু সেই স্নেহ, প্রেম, সৌহার্ক, দমা, সকলই একটী সস্তাব-একটা মঙ্গল-ভাবের অন্তর্গত । ঈ শ্বর আমাদের পিতা মাত ও সুহৃৎ । তিনি | যখন র্তাজার অপরাধী অসৎ পুত্রকে ভাহার পাপ পরিহারের উপযুক্ত দণ্ড বিধান করেন, তখনও তিনি তাহার পরম পিত; ৰূপে বর্তমান রহিয়াছেন ; এবং যখন তিনি সাধু ব্যক্তিকে তঁহার শীতল আশ্রয় প্রদান করেন, তখনও তাহার অতুল পিতৃ স্নেহুই প্রকাশ পাইতে থাকে। র্তাহার দুরবগাছ মঙ্গল-ভাবে বুদ্ধি নিবেশ করতে পারি না। র্তাহার জ্ঞানের —মঙ্গল ভাবের আদি কোথায়-অন্ত কোথায় ; আরম্ভ কোথায়— শেষ কোথায়--তাহার পরিমাণ কত ; ইহা দেখিমিত নহে । আমরা যাহা জানিতেছি, তাহা- ৷ তে গিয়াই তাঙ্গকে বুঝা যায় “যতোবাচোনিবৰ্ত্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ ’ । কিন্তু তাহার পূর্ণভাব পরিমিত বুদ্ধিতে পরিমিত বস্তুর ন্যায় ধারণ করিতে পারি না বলিয়া যে র্তাহাকে একেবারে জমিতে পারি না,তাহ মহে। মনুষ্যের পক্ষে ৰেমন জল বায়ুর প্রয়োজন, তাহার আত্মার পক্ষেও ঈশ্বর-জ্ঞান তদ্রুপ প্রয়োজন । যেমন বৃষ্টি স্বৰ্য্য সকলেরই জন্য, সেই ৰূপ তিনি মুখ পণ্ডিত সকলেরই ধন। ঈশ্বরের পূর্ণ
পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।