পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&& সৰ্ব্বদিকসমচাপ গুণ অাছে। পূৰ্ব্বে লিথিত হইয়াছে আমরা বায়ুর যে স্তরে বাস করি, তাহার প্রতিবর্গ ইঞ্চ স্থানের উপরি ২৫ ক্রোশ উৰ্দ্ধ বায়ু স্তম্ভের চাপ প্রায় ৭le সের, অতএব বায়ু পরিবেষ্টিত বস্তু মাত্রের উৰ্দ্ধ, অধঃ ও পাশ্ব সকল দিকের প্রতি বর্গ ইঞ্চ স্থান পূৰ্ব্বোক্ত ৭lle সের বায়ু ভারে চাপিত রহিয়াছে। মনুষ্যের যৌবনাবস্থায় শরীরের বহিস্তন ॐों में २००० कृशे 冗হস্র বর্গ ইঞ্চ সুতরাং তহরদিগের শরীর ১৫৮০ সের অর্থাৎ ৩৭৫ মণ চতুর্দিকস্থ বায়ু জ্ঞারে আক্রান্ত রহিয়াছে । কিন্তু এই গুরু চাপে আমাদিগের শরীর ও শরীরস্থ কোন অংশ পেষিত ও বিনষ্ট হওয়া দূরে থাকুক, এই গুরুতরভার আমরা কিছুমাত্র অনুভবও করিতে পারি না। তাহার কারণ এই যে শরীরের বহির্দেশ যেৰূপ বায়ু দ্বারা অস্তরভিমুখে চাপিত শরীরের অভ্যন্তরাংশ সকল সেই ৰূপ বায়ু চাপে বাস্তাভিমুখে চাপিত রহিয়াছে । চাপ প্রয়োগ দ্বারা বায়ুকে যত সঙ্কচিত করা যায়, স্তভই তাহার স্থিতিস্থপক শক্তি বৃদ্ধি হইয়। উক্ত চাপের প্রতিকুলে বল প্রকাশ করে, সুতরাং চাপদ্বারা সঙ্কচিত বায়ুর স্থিতিস্থাপক শক্তি এবং উক্ত চাপের শক্তি উভয়ই তুল্য । কোন একটী পাত্রের অভ্যস্তরে যে বায়ু অবস্থিতি করে, তাকার স্থিতি স্থাপক শক্তি ও বহিঃস্থিত বায়ুর চাপশক্তি উভয়ই সমান । এই বিষয় মনে রাখলে বুঝ। যাইবেক যে এই বায়ু রাশির বিপুল ভারে কেন আমাদিগের শরীর নিপীড়িত হয় না। বায়ু যেমন বাfচর চাইতে তামারদিগের শরীরের উপর অস্তুরা তমুখে চাপিতেছে, সেই ৰূপ আমারদিগের দেহাভ্যন্তরস্থ বায়ুর স্থিতিস্থাপক শক্তি সেই চাপের প্রতিকুলে শিরান্তর্গত তরল পদার্থাদগকে বাহাভিমুখে চাপিতেছে। সুতরাং বাস্থচাপ ও অন্তরস্থ প্রতিচাপ নিয়ত সমসংস্থানে রহিয়াছে, কেহ কাছাকে অতিক্রম করিতে পারে না । এই উভয় চাপের কাহারও ব্যুনাতিরেক হইলে আমরা জীবিত থাকিতে পারি না । যদি বাছ বায়ু চাপ না থাকে, তবে দেহাভ্যস্তরস্থ বায়ুর তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা চাপে জামাদের রক্তবহ মাষ্ট্ৰী সকল বিদীর্ণ হইয়। শোণিত বহির্গত হইতে থাকে এবং অন্তরস্থ বায়ুর চাপ না থাকিলে বাহ বায়ুর ভায়ে আমাদিগের শরীর নিপীড়িত হইয়। ভয় হইয়া যায়। বাঙ্ক ও অত্যন্তর চাপ যে নিয়ত সমসংস্থানে রহিয়াছে, ভাছ সামান্য পরীক্ষণ দ্বার সপ্রমাণ হইতে পারে। একটী কাচ নির্মিত ক্ষুদ্র পাত্রে অন্প নিজল স্বরা রাখিয়া অগ্নি দ্বার। সেই স্বরা প্রজ্বলিত করিলে যখন তাহার উত্তাপে বায়ু নির্গত হইয় পাত্রটা প্রায় বায়ু শুন্য হয়, তখন সেই পাত্ৰটী বিপর্য্যস্ত করির শরীরের যে কোন অংশে হউক চাপিয়া ধরিলে সেই স্থানের বায়ুর বাস্থচাপ শূন্য স্থওয়াতে তত্ৰত্য ত্বক তৎক্ষণাৎ স্ফীত হইয়। উঠে । যাহারা কপিং (Cupping.) নামক অস্ত্রচিকিৎসা যন্ত্রের ব্যবহার দর্শন করিয়াছেন, র্তাহার এ বিষয় অনায়াসে বুঝিতে পারিবেন। আমাদিগের শরীরে বায়ুর যেৰূপ চাপ আছে, পৃথিবীন্থ অন্যান্য প্রাণী, উস্তিত্ব ও জড় পদার্থের উপরি ও সেই ৰূপ চাপ রছিয়াছে । কোন পিচকারির মুখ জলে নিমশ্ন করিয়া তাঙ্কার চাণদণ্ড উদ্ধে উত্তোলন করিলে সেই পিচকারির মধ্যে যে জল উত্থিত হয়, বায়ুর চাপই তাহার একমাত্র কারণ ; যেহেতু চাপদণ্ড উদ্ধে উত্তোলন করিলে সেই পিচকারির মধ্যস্থিত বায়ু নিৰ্গত হওয়াতে জলের যে অংশ পিচকারির মুখে রহিয়াছে, তাহার উপর কিছুমাত্র বায়ুর চাপ থাকে না, সুতরাং চতুর্দিকস্থ জলের উপরে বায়ুর চাপ থাকাতে সেই পিচফারির মধ্যে জল উঠিয়া থাকে। আবার, সেই চাপজগুটী পিচকারির মুখ হইতে খুলিয়া লইলে যখন পিচকারির মধ্যস্থ জলের উপর বায়ুর চাপ পড়ে তখন তৎক্ষণাৎ সেই জল পড়িয়া, যায়। কিন্তু এই বায়ুর চাপ সকল সময়ে, সকল স্থানে সমান নছে ; ষে স্থানে সচরাচর যত চাপ আছে, সময় বিশেষে নানা কারণ । বশতঃ তাহার হাস s इकि ड्रॅग्नो থাকে, এবং আমরা পৃথিবী হইতে মত উৰ্বে উথিত হই, ততই এই চাপের ক্রমশঃ হাম হয় । পঞ্জন্তু কি কারণে ও কি পরিমাণে স