পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* *. § d * * , I | هي ঈশ্বরের মহিম। জ্যোতিষ । * * পরম কৌশলকারী পরমেশ্বর গ্রন্থ {नক্ষত্রাদি পদার্থের যে প্রকার অংকুতি রচনা করিয়াছেন, তদ্বারা কেবল তাহার মঙ্গল:ভিপ্রায়ই প্রকাশ পাইতেছে। সুৰ্য্য চন্দ্র ও গ্রহাদি যাবতীয় পদার্থই গোলাকার । জ্যোতিৰ্ব্বিং পণ্ডিতের দূরবীক্ষণ যন্ত্র দ্বার। ষে সকল গ্ৰহাদির স্পষ্ট আকৃতি দেখিতে পাইয়াছেল, তৎসমুদায়কেই গোলাকার দেখিয়াছেন, এবং তাহার। জ্যোতির্বিদ্য দ্বারা ইহাও স্থির করিয়াছেন, যে ঐ সমস্ত আকাশস্থ পদার্থের উক্ত প্রকার গোলারুতি হওয়াই নিতান্ত আবশ্বক । জগদীশ্বর যদি গ্রহtiদকে গোলাকার না করিতেন, তাহা হইলে তা হাদিগের গতিক্রিয়ার পক্ষে বিশেষ ব্যাঘাত উপস্থিত হইত। গ্ৰহাদি গোলাকার ম৷ হইলে এক্ষণকর ন্যায় নিfৰ্ব্বয়ে স্ব স্ব অক্ষে পরিও ভ্রমণ কfরতে ণ ifরত না এবং অপেন কক্ষ তেও চলিতে সমর্থ হহত না, সুতরাং তাহাদিগের অfচ ক ও বার্ষিক উভয় গতিরই ৰাঘাত জমির ব্রহ্মাণ্ডের বিষম বিশৃঙ্খল উপস্থিত ল্প ইত 1 বিশেষতঃ উহাদিগের গোলাকার ন হইলে ঐ সমস্ত লোকে আলোক বিধানের ও অব্যবস্থা ঘটিত । গ্রহাদির মায় গোল পদার্থে যেমন উৎকৃষ্ট ৰূপে আলো: ক বিস্তত হইতে পারে, চতুষ্কোণাদি অপর অীকৃতি বিশিষ্ট বস্তুতে তদ্রুপ হইতে পারে না । কোন কোন পণ্ডিত অমাদিগের এই পৃথিবীর বিষয় পরীক্ষা করিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, পৃথিবীর ন্যায় গোলাকার বস্তু জীব জন্তর বসতির পক্ষে যেমন জখদায়ক ও উপকারক হয়, অপর কোন প্রকার আকারের বস্তু তেমন হইতে পারে না । অতএব জগদীশ্বর যদি চন্দ্রাদি অথর কোন লোককে পৃথিবীর ন্যায় জীব লোক করিয়া থাকেন, তবে তাহাদিগের মঙ্গলবিধানের জন্য গ্রহtfদর গোলাকার হওয়া মতান্ত প্রয়োজনীয় বলিয়াই প্রতি*न কেহ কেহ এই নক্ষত্রাদির S' গতিকে উহাদিগের আকৃতির কারণ বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন,কিন্তু যিনি যে কোন প্রকার ব্যাপারকে গ্রহাfদর আকৃতির কীরণ ৰলিয়। উক্ত করুন বিশ্বকৰ্ত্ত জগদীশ্বর যে তৎসমুদণয়ের মুল কারণ তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । তিমি বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ডস্তর্গত দৃশুদৃশ্য যাবতীয় পদার্থেরই রচন। কৰ্ত্ত এবং সমস্ত নিয়মের নিয়ন্তা, ব্ৰহ্মাণ্ডের যে কোন স্থানে যে কোন কারণ বশতঃ ষে কিছু কাৰ্য্য সম্পন্ন হউক, তিনি তৎসমুদায়েরই মুলাধার। গ্রহাfদর স্থান নিৰূপণ বিষয়ক ব্যবস্থার প্রভি দৃষ্টিপাত করিলেও জগদীশ্বরের অপার মহিম! দেখিতে পাওয়া যায় । যে গ্রককে যে স্থানে নিয়োজিত করিলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কোন মনিষ্ট উদ্ভব হইতে ন পারে, অনন্ত জ্ঞানময় আদিপুরুষ তাহাকে সেই স্থানে নিযোগ করিয়া অ}পনার অপার করুণা প্রকাশ করিয়াছেন । আমর! যদি সমুদয় ত্রক্ষীণ্ডের ব্যবস্থা সুন্দর ৰূপে জ্ঞাত হইতে ন পারি,তথাপি কেবল একমাত্র এই সেীর জগতের শৃঙ্খলা দেখিলেও তাহার সম্পূর্ণ শুভ ভি প্রায় জ্ঞাত হইতে সমর্থ হই । আমাদিগের এই সৌর জগতের মধ্য স্থানে সুর্য বিদ্যমান রহিয়াছে এবং পৃথিব্যাদি কতিপয় গ্রহ ও উপগ্রহ স্ব স্ব পথে ভ্রমণ করত ত ই কে প্রদক্ষিণ করিতেছে । এই সমুদায় গ্রহ ও উপগ্রচাদির মধ্যে সুর্য্য একমাত্র আলোক ও উত্ত্বাপের উৎস স্বৰূ প। স্থৰ্য্য হইতে যেমন আমরা আলোক ও উত্তাপ প্রাপ্ত হই; সেই ৰূপ সৌর জগদ । স্তুগত অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ ও প্রাপ্ত ইয় থাকে । এই সৌর জগতের মধ্যে সকল গ্রহ ও উপগ্রহ আছে, স্তু র্য্য তাছার সকল অপেক্ষই বড় । স্বৰ্য্য হইতে যে অমর। অশেষবিধ উপকার প্রাপ্ত হই, তাম্লাভে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। যদি সৌর জগতের মধ্যে স্থৰ্য্য না থাকিত, তাহা হইলে কোন মতেই আমরা জীবন ধারণ করিতে পরিভূম না। স্বৰ্য না থাকলে আমরা জ:লোক ও উত্তাপ প্রাপ্ত হইতাম না এবং ভূমণ্ডলে আলোক এবং উত্তাপের অভাব