পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫১

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্র-তাহার প্রিয়কার্য কি প্রকারে সাধন হয়? উ—র্তাহার মঙ্গল অভিপ্রায় সিদ্ধির নিমিত্তে তৎপর হইলেই তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন झ्झ ! প্র—যাহারা স্বার্থপরতা চরিতার্থ করিতেই তৎপর থাকে, তাহারা শ্রেয়কে অবলম্বন করিতে পারে কি না ? উ-না। তাহারদিগের প্রেয়কেই অবলম্বন করা হয় । ঐ-—ঈশ্বরের মঙ্গল অভিপ্রায় কি প্রকারে জানা যায় ? উ—ধৰ্ম্ম বুদ্ধি দ্বারা -বুদ্ধি দ্বারা যে কৰ্ম্ম কপ্তব্য বোধ হয়,তাহাই তাহার মঙ্গল অতি প্রায়, আর যে কৰ্ম্ম অকৰ্ত্তব্য বোধ হয়,তাহাঈ তাহার অভিপ্রায়ের বিপরীত । ব্রাহ্মধৰ্ম্মে ধৰ্ম্ম-বুদ্ধিকে শুভ বুদ্ধি ठ्ठा ! প্র–আত্মার প্রসন্নতা কিসে হয় ? উ—ধৰ্ম্ম বৃদ্ধির উপরে নির্ভর করিয়া ঈশ্বরের মঙ্গল অভিপ্রায় সিদ্ধির নিমিত্তে যিনি তৎপর থাকেন, তিনিই আত্মপ্রসাদ লাভ করেন । প্র-ব্রাহ্মধৰ্ম্মে আছে “ যে ক্ৰোধং ক্লিয়া ন শোচতি * —“ক্রোধ পরিত্যাগ করিয়া শোক করেন না।” ইহার তাৎপৰ্য্য কি ? উ—ক্রোধের অতিশষ্য হইলে ইন্দ্রিয় সকল ধৰ্ম্ম-বুদ্ধির উপদেশ অবহেলন পূৰ্ব্বক ক্রোধ পরবশ হইয়া অনিষ্ট উৎপাদন করে, পরে ক্রোধের শমত হইলে ধৰ্ম্মবুদ্ধি যখন তিরস্কার করতে থাকে তখন মাত্মা শোক করিতে থাকে এবং তাহার আত্মগ্লানি উপস্থিত হয়। অতএব ক্রোধের অধীন না হইয়া ক্রোধকে ধ--বুদ্ধির অধীনে রাখতে সৰ্ব্ব প্রযত্নে চেষ্টা করবে। প্র-কে আমাদিগের আত্মাতে ধৰ্ম্ম-বুদ্ধি প্রে রণ করিতেছেন ? উ-পরমেশ্বর। আমাদিগের বুদ্ধিতে কৰ্ত্তব্য বলিয়। যাহ। প্রকাশ পায়, তাহাই ঈ-. শ্বরের আদেশ ; আর অকৰ্ত্তব্য, বলিয়া যাহা জানা যায়,তাহাই স্তাহার নিষেধ। প্র-ঈশ্বরের আদেশ লঙ্ঘন করিলে আত্মা @ፃ তে যে পাপস্পর্শ হয়,তাহা কি প্রকারে জানা যায় ? উ-আত্মগ্লানি দ্বারা । প্র-সে পাপ হইতে কি প্রকারে আমরা মুক্ত হইতে পারি ? উ—অকৃত্রিম অনুশোচনা দ্বারা। মোহবশতঃ পাপাচরণ করিয়া যদি অকৃত্রিম অনুশোচনা করি, তাহা হইলে জগদীশ্বর পাপভার প্রপীড়িত আত্মাকে ঐ পাপ হইতে মুক্ত করিয়া তাঙ্গতে পুনৰ্ব্বার আত্ম প্রসন্নত বিতরণ করেন । —or পরামন্দ । “ পরনিন্দ পরপীড়া এবুদ্ধি কেন ভ্যঞ্জন ৷ ” ব্রহ্ম সঙ্গীত । এমাত্র উদ্যানে গিয়; কি কি প্রসঙ্গ শ্রবণ করিলে? —নান। প্রসঙ্গ শুনিলাম,তন্মধ্যে পরনিন্দই প্রধান প্রসঙ্গ । প্রায় পরনিন্দ ; চর্চাতেই দুই দিন গত হইল। পূৰ্ব্বাহ্নে স্নান ভোজনাদি সাঙ্গ হইয়া বন্ধু বান্ধব সকলে পুনর্বার একত্রিভ হইলে পর প্রত্যেকেই স্ব স্ব ইচ্ছামত উপায় অবলম্বন করিয়া অবশিষ্ট বেল! ক্ষেপণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । কেহ কেহ তাশ ক্রীড়াদিতে মগ্ন হইলেন, কেহ কেহ কাব্যাদি গ্রন্থ পাঠে রত হইলেন, কেহ বা দেশের আচার ব্যবহার ও উন্নতি অবনতির বিষয় লইয়া কথা উপস্থিত করিলেন, এবং কেহ কেহ সম নয় পরিত্যাগ করিয়। নিদ্র। যাইবার উ, গৈ শযণতে লুণ্ঠমান হইতে লাগিলেন । কিন্তু কোন বিষয়তেই কাহারও বিশেষ সন্তোষ বোধ হইতেছিল না । কি প্রকারে এই দিবটুকু গত হইবে, ইহা লইয়া সকলেই চিন্ত৷ করিতেছিলেন । ইভি মধ্যে রথারোহণে আর এক জন বিজ্ঞতম বন্ধু আদিয়া উপস্থিত হওয়ায় সকলে ব্যস্ত সমস্ত হইয়া ভঁহাকে অভ্যর্থনা করিলেন এবং তিনিও প্রত্যেককে যথাযোগ্য সম্ভাষণ করিয়া কছিলেন, তোমরা আদ্যকার অমুক সম্বাদ পত্র পাঠ করিয়াছ ? ঐ পত্রে একটি বড় আশ্চর্য্য সম্বাদ অাছে, তাহী পাঠ করিয়া বিশায়াপ