পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NJ9 লোকের বিষয় নহে । সংসারের প্রতি লক্ষ্য করিয়। যাহার। ধৰ্ম্ম উপার্জন করে, ধৰ্ম্ম তাকাদের উপরের শ্রেণীতে থাকে , ঈশ্বরের প্রতি যাহাদের লক্ষ্য থাকে, ধৰ্ম্ম তাহদের আশ্রয় ভূমি স্বৰূপ । ধৰ্ম্মের প্রথম পুরস্কার ঈশ্বরে অনুরাগ সঞ্চার হওয়া ; তাহার শেষ পুরস্কার ঈশ্বরকে লাভ কর । ঈশ্বরের প্রতি অনুরাগ হইলে ধৰ্ম্মের পথ আপনা কক্টতেই সহজ হইয়া যায় । যাহাদিগের পবিত্র হৃদয়ে সেই বিশুদ্ধ অনুরাগ প্রথমেই প্রদীপ্ত হইয়াছে, ধৰ্ম্ম শিক্ষা যে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষা, তাহা তাহদের সহজেই সম্পন্ন হয় । কিন্তু যাহাঁদের প্রথমেই ঈশ্বরে অনুরাগ অনুভব না হয়, ধৰ্ম্মই ক্রমে তাহাদের মনে সেই অনুরাগ উদ্দীপন করেন। স্বর্থপরতার বিপরীত ভাব ঈশ্বরের অমুরগ—ধৰ্ম্ম মধ্যবৰ্ত্তী শিক্ষণ-গুরু ! ধৰ্ম্মেতে যাহাদিগের শ্রদ্ধ জন্মিয়াছে ; ধৰ্ম্মের নৈসর্গিক সোনদর্য্য ও পাপের স্বাভাবিক মলিনত্ব র্যাহার প্রতীতি করিয়াছেন ; তাহার। যে ঈশ্বরের পথেরই অfভমুখী, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । বিষয় ত্যাগ, বিষয় বিসর্জন, প্রথমে ধৰ্ম্মের উপদেশে এসকলের শিক্ষা হয় । ধৰ্ম্মের অনুরোধে যতটুকু ত্যাগ স্বীকার করিতে পারি—বিষয়ের যত প্রতিকুলগামী হই—ঈশ্বরের পথে ততই অগ্রসর হইতে থাকি;ঈশ্বরের নিকটে যাইবার জন্য ততই বল পাই। বিষয় হইতে মন যত আকৃষ্ট হয়,বিষয়ের অতীত পদার্থের প্রতি ততই ধাবমান হয় । এদিকে যে পরিমাণে বিরাগ উপস্থিত হয়, ঈশ্বরের অনুরাগ সেই পরিমাণে উজ্জল হইতে থাকে। ঈশ্বরের অনুরাগ যেমন প্রবল হইতে থাকে, তেমনি ধৰ্ম্মবল আরো বৃদ্ধি চয, বিষয়াকর্ষণ আরো ক্ষীণ হয়। অতএব প্রথমে যাহার ধৰ্ম্মের প্রতি, কৰ্ত্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা হয়, ইহা নিশ্চয় যে ঈশ্বর তাহার অনুরাগ শীঘ্রই তাহীর মনে উদ্দীপন করেন। ঈশ্বর তে সৰ্ব্বত্রই তাহার ক্রোভূ প্রসারিত করিয়। রাখিয়াছেন, এবং প্রতিক্ষণেই আমারদিগকে আহ্বান করিতেছেন; আমরা তাহার সন্নিধানের উপযুক্ত হ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। ইলেই তিনি অমাদিগকে গ্রহণ করেন। উাহার নিকটে লইয়। যাইবার জন্য ধৰ্ম্মই প্রথমে আমাদের সহায় হয়েন । 鳥 বিষয় সুখ যদি ধর্মের লক্ষ্য হয়; তবে সে বিপরীত লক্ষা, সে লক্ষ্য সিদ্ধিতেও বিস্তর ব্যাঘাত । বিষয়-সুখ বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত হইয়াই ধৰ্ম্ম পথে গমন করিতে হয় ; অনুসঙ্গিক যদি বিষয় সুখ রক্ষা পায়, তবে ভালই। ধৰ্ম্ম কিছু বিষয় সুখের অনুচর নহে-কিন্তু ধর্মের অনুচর যদি বিষয় সুখ হয়, তবে তাহ আবশ্ব সেব্য । আমরা আত্মসুখের জন্য ধৰ্ম্মকে প্রার্থনা করিলে সে কেবল স্বার্থপরতা মাত্র । স্বর্গের লোভে বা নরকের ভয়ে নিরণহারে দিন যাপন করাতে ধৰ্ম্ম হয় না। ধৰ্ম্মের ভাব নিঃস্বার্থ ভগব । বিষয় মুখ যে ধর্মের অব্যর্থ পুরস্কার তাহ নহে ; কিন্তু সুবিমল আত্ম প্রসাদই ধৰ্ম্মের পুরস্কার, ঈশ্বরই ধর্মের শেষ পুরস্কার । ধৰ্ম্মের স্বগীয় জ্যোতির নিকটে স্বণ রৌপ্য হীরকের পার্থিব জ্যোতি কোথায় থাকে ? কেবল এক লক্ষের দোষে ধৰ্ম্মকেও দুষিত মনে হয় । বিধয় সুখই যাঙ্কার লক্ষ্য থাকে, সে পৃথিবীতে ধৰ্ম্মের হীনাবস্থা ও পাপের স্ফীতভাব দেখিয়া ঈশ্বরের তথ গু মঙ্গল স্বৰূপেতেও দেযারোপ করিতে প্রস্তুত্ত হয় । মে হয়তো এই মনে করে যে আমি সত্যের পথে ধর্মের পথে থাকিয় কেবল লোকের নিকট হইতে নিষ্ঠুর আঘাত সহ করিতেছি; আর পাপী ব্যক্তি ধন মান প্রভুত্ব বৰ্দ্ধন করিয়া কেমন সুখে কাল যাপন করিতেছে ; অতএব ঈশ্বরের রাজ্যে কিছুই বিচার নাই। ধৰ্ম্মকে যাহার সুখের উপায় স্বৰূপ জ্ঞান করে, তাঞ্জার মুখ হইতে এই ৰূপ অক্ষেপেক্তি":নেপ সময় শ্রবণ করা যায় | ধৰ্ম্ম যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়া ঈশ্বরের পথে অগ্রসর হইতে হইলে ত্যাগ তো স্বীকার করিতেই হইবে—বিষয় সুখ হইতে তে অনেক সময় পরিচ্যুত হইতেই হইবে—কুপ্রবৃত্তির বিপরীত পথে তো অনেকবার গমন করিতেই হইবে। আমাদের যদি মুলধন সঞ্চিত থাকে, তবে অতিরিক্ত ধনের