পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ক্ষতিতে তেমন বিশেষ ক্ষতি বোধ হয় না। ঈশ্বরকে ৰিনি মুলধন ৰূপে সঞ্চিত করিয়া রাখিয়াছেন, বিষয় ত্যাগে তাহার ক্ষতির সম্ভাবনা নাই। যিনি সকল সম্পদের সমুদ্রকে প্রাপ্ত হইয়াছেন, বিষয় বিপদকে তাহার বিপদ বোধ হয় না। তিনি স্বখের সময় সেই সৰ্ব্বসুখদাতার প্রতি কৃতভক্ত হইয়। সেই সুখকে দ্বিগুণিত করেন, এবং বিপদের সময় তিনি সেই সূৰ্ব্বাশ্রয় পরমেশ্বরের আশ্রয়ে থাকিয়া নির্ভয়ে বিচরণ করেন। পাপই র্তাহার নিকটে অমঙ্গল; দুঃখও বাস্তবিক অমঙ্গল নহে, বিপদও বাস্তবিক অমঙ্গল নক্ষে" অক্সার কিসে আত্মপ্রসাদ থাকে—ঈশ্বর কিসে নিরস্তুর জ্ঞানচক্ষে প্রকাশিত থাকেন ; ইহাতেই তাহার প্রাণগত যত্ন—এবং তদনুৰূপ আচরণে তুঃপর থাকেন। কিসে লোকে মান্য হইব, এজন্য র্তাহাকে কষ্ট পাইতে হয় না । ঈশ্বর হইতে পাছে বিচ্যতি হয়, এই ভ- । য়েই তিনি পাপ হইতে দূরে থাকেন; লোকের পাছে মন্দ বলে, ইহারই প্রতি দৃষ্টি বাথিয়া স্টাঙ্গর কপটত। কুটিলতা ছদ্মত অভ্যাস করিতে হয় না । যাহারা ধৰ্ম্মেতে অনেক সময় বিষয় স্থখের হানি দেখিয়া ঈশ্বরের মঙ্গল-স্বৰূপে দোষারোপ করেন, র্তাহারা ধাৰ্ম্মিকদিগের বুদ্ধবয়সে যৌবন কালের বলবীৰ্য্য উদ্যমের হ্রাস দেখিয়াও তো সেই ৰূপ বলিতে পারেন ? বিষয় মুখ যদি ধর্মের যথার্থ বিষয় হইত,তবে ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তিরাই অধিক বিষয়ী হইত; তবে ধর্মের যত উপার্জন হইত,ইন্দ্ৰিয় সকল ততই বিরতদ্বার হইত, বিষয় লালসা ততই বৃদ্ধি হইত, ভোগের শক্তি ততই প্রবল হইত। কিন্তু বাস্তবিক ঠিক তাহার বিপরীত। ব্রহ্ম-রস-গ্রহ ধাৰ্মিক-বৃদ্ধ দিম দিন আপনাকে স্বীয় গম্য স্থানের নিকট জtনিয়া সৰ্ব্বদাই প্রসন্ন ও হৃষ্ট থাকেন ; বিষয় ভোগের লালস। তঁহাকে আর মুখ বা ছুঃখ দিতে পারে না । “e ধৰ্ম্মপরায়ণ সাধু ব্যক্তিরা বিষয় সুখ হইতে বিরত হয় বলিয়া ষে পাপী ব্যক্তি নিৰ্ব্বিয়ে থাকে, এমত নহে। পাপীর やが(。 যে যন্ত্রণ সে সেই পাপী জানে, আর সেই অন্তর্যামী পুরুষই জানেন। তাছাদের যদি ধন, মান, ঐশ্বৰ্য্য, অশ্ব, রথ, গজ, প৮ র্যাঙ্ক থাকে, তাহাতেই বা কি ? তাহারা নরক সমান স্বকীয় হৃদয় জ্বালাতেই সৰ্ব্বদ অস্থির, তাহদের কোন সুখ উপভোগের ক্ষমতাই থাকে না । তাহদের নিকটে এই জগৎ দাবদাহময় হয়। তথাপি করুণাসিন্ধু পরমেশ্বর তাহাদিগকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারদিগকে আপনিই দণ্ড বিধান দ্বারা বিপথ হইতে স্বপথে আহবান করেন । حسيجماجم ويس ব্রহ্মবিদ্যালয় । ..” ধষ্ঠ উপদেশ । বিষয়-সুখ এবং ব্রহ্মানন্দ । a "যে ৰৈ ভূনা তথ্যসুখং নাপে अश्वमखि ” ব্ৰাহ্ম ধৰ্ম্ম । সেই ভূমীতেই আমাদের মুখ, অপ বিষয়ে সুখ নাই। বিষয়-সুখে আমাদের আত্মা তৃপ্ত হয়ন f বিষয়-সুখ সরুলই ক্ষণ-ভঙ্গ অতীব ক্ষুদ্র- কখনে বা ধৰ্ম্মের অনুকুল, কখনো বা প্রতিকুল ; কখনো বা সেব্য, কখনো জ্যাজ্য। সেই ভূমা ঈশ্বরই আমাদের তৃপ্তির স্থল, আমাদের শান্তি-নিকেতন । ব্রহ্মানন্দই আমাদের ইহকাল ও পরকালের অবিনশ্বর সম্বল ! বিষয়-মুখের তুলনায় ব্রহ্মানন্দ কলেতে অনন্ত এবং ভী-, রেতেও অপরিমেয় | ব্রহ্মানন্দ যেমন স্থায়ী, তেমনি গভীর। মনুয্যের আত্মা অতি মহৎ ; ক্ষুদ্র পদার্থে নিরন্তর লিপ্ত থাকিয়া সে সুস্থ থাকতে পারে না । যে সকল ব্যক্তি সৌভাগ্যের অজস্র দান উপভোগ করিতেছে ; বিপুল মান, অতুল ঐশ্বৰ্য্য, মহোচ্চ পদ, অটল প্রভুত্ব ভোগেই ইহজীবনকে ব্যয় করিতেছে ; তাহদের তৃপ্তি মুখ কখনই নাই ; এই প্রকার অতৃপ্তিই সেই ভুমার প্রতি আমাদের আত্মার প্রধান আকর্ষণ। বিষয় শৃঙ্খলে বদ্ধ না থাকিয়া বিষয়ের অতীত পদার্থকে অন্বেষণ করি, ইহাই অামাদের উৎকৃষ্ট অধিকার। ধৰ্ম্মের আদেশে বিষয় স্রোতের প্র ভকুলে ইচ্ছাকে নিয়োগ