পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের । বক্ত তl l ২১ মাঘ বুধবার ১৭৮৭ শক । ঈশ্বরের উদার সদfত্ৰতে মনুষ্য যে সমস্ত সুখ অপৰ্য্যাপ্ত ৰূপে ভোগ করিতে ছেন, তাহা গণনা করিয়া শেষ করা য়ায় । না । মন্থয্যের মুখ সম্ভোগের জন্য জগদীশ্বর যে সমস্ত উপায় প্রস্তুত করিয়া রাথিয়াছেন, পশুদিগের জন্য তিনি সেৰপ করেন নাই। মনুষ্যের মুখস্ত্রতেই তাহার মহন্ত্রের চিকু সকল সুস্পষ্ট ৰূপে মুদ্রিত রচিয়াছে ! প্রত্যহ যাহাতে আমরা জীবন ধারণ করিতেছি, তাহাতেই আমারদের প্রধান প্রকাশ - পাইতেছে । আমাদের আi 1াপের জন্য ব্যক শক্তি—আহলাদ প্রকfণ করিবার জন্য হাস্ত – শ্রবণ সুখের জন্য স সতির স—রসমার তুপ্তি সাধনের জন্য বিচিত্র প্রকার রন্ধন প্রণালী – আ রক্ষণর নিমিত্তে শস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ-রোগশান্তির জন্য ঔষধ প্রস্তুত—অর্জনের জন্য বি. নিময়- জ্ঞানস্পৃহা—যশোবাসনা ; ইত্যাদি বিবিধ উপায় দ্বারা মন্ত্রীয্য—কেবল মন্তষাই আপনার অশেষ প্রয়োজন সাধন করিতেছেন এবং অশেষ প্রকার সুখ ভোগ কfরতেছেন । কিন্তু ইহাতেও মন্থষ্যের সুখের পরিসমাপ্তি হয় নাই । তিনি ইহা অপেক্ষ ও মহত্তর এবং শ্রেষ্ঠতর সুখ ভোগ অধিকারী। তিনি যদি পৃথিবীর সীমার মুখেই পূর্ণ সুখী হইতেন, তাহ হইলে কেবল ক্ষুধা, তৃষ্ণ ; আমোদ, প্রমোদ ; লজ্জা, ভয় প্রভূতি কতকগুলির মধ্যে চিরদিন বদ্ধ থাকিয়াই জীবন যাত্রা নিৰ্বাহ করতেন । কিন্তু পৃথিবীর সুখে তাহার তৃপ্তি লাভ হয় না, তাহার লক্ষ্য পৃথিবী হইতেও বহুদুর। পশুদিগের মাপনার উপর কোন আধিপত্য—কোন কর্তৃত্ব নাই । তাহার ক্ষুধা হইলেই আহার করিতে ধাবিত হয় এবং ভয় পাইলেই পলায়ন করে । মনুষ্যও যদি সেই প্রকার লোক ভয়ের অধীন হইয়াই কাৰ্য্য করো তাহার যদি কোন মহত্তর উদেশ্ব না থাকে-তিনি যদি ধর্মের প্রতি—কৰ্ত্তব্যের প্রতি দৃষ্টিপাত না করেন এবং যদি আছার বিহারকেই জীবনের সার ৰূপে অবধারণ করেন, তবে তাছার মমুয্যত্বেতে অ্যর প্রয়োক্তন কি ? মনুষ্যেরই এমন শক্তি আছে, যে তিনি পরের মজল উদ্দেশে স্বর্থ বিসর্জনে, আপন ইচ্ছাতেই অনুরক্ত হইতে পারেন, তিনি ক্ষুধায় কাতর হইলেও অন্যের জন্য স্বেদের পূরণে বিরত হইতে পারেন এবং ন্যায় পথে—সত্যের পথে-ঈশ্বরের পথে থাকিয় শতসহস্র প্রকার ভয়কে অতিক্রম করিতে পারেন। কিন্তু মনুয্য এইপ্রকার স্বাধীনত্ব এবং কর্তৃত্বভার পাইয়া যেমন উন্নতির দিকে গমন করিতেছেন, সেই ৰূপ অধোগতিও প্রাপ্ত হইতেছেন ; যে মন জ্ঞান পথে ধাবমান হইতেছেন, সেই ৰূপ মোক ও ভ্ৰমেও পতিত হইতেছেন ; যেমন পুণ্য ঠান দ্বারা আপনাকে পবিত্র করিতেছেন, সেই ৰূপ পাপাচারণ কfরয় নাম যন্ত্রণ। ভোগ করিতেছেন । মনুষ্য র্তাহার প্রকৃত্তি সকলকে আয়ত্ত করিতে পরিলে যদ্রপ সুখী হয়েন, তাহার প্রবৃfত্তর অধীন চইলে তদ্রুপ দুঃখ ভোগ করেন। সৈন্যদলের মধ্যে সুশৃঙ্খলা সংস্থাপন কর। ধোপ নিতান্ত আবশ্যক, মনোবৃত্তি সমুদায়কে সুশাসিত করাও তদ্রুপ আবখ্যক । সৈন্য দলের প্রত্যেক অঙ্গ যেমন যুদ্ধ সজ্জায় সুসজ্জিত হইয়া এবং সুনিয়মে নিয়মিত হইয়া স্ট্রেপতির অধী: নে নিযুক্ত থাকে, সেই ৰূপ আমাদের মনের প্রত্যেক বৃত্তি ধর্মের অধীনে নিযুক্ত থাকিয় যথানিয়মে নিয়মিত এবং যথাস্থানে পরিচালিত হওয়া উচিত । সুশিক্ষিত সৈন্যদল অসম্পন্ন ও অযোগ্য নিয়ন্তার অধীনে নিযুক্ত থাকিয় তাহার শাসনের অনুবস্ত্রী হইলে যেৰূপ বিষম প্রমাদ উপস্থিত হয়, এবং প্রভূত অনিষ্ট উদ্ভূত হুয়, সেই ৰূপ আমারদের স্বশিক্ষিত মন্থণ্ড ধৰ্ম্মকে অবহেলা ও অপদস্থ করিয়া স্ট্রেম এক কুaटूखिङ्ग अथौन श्रें८ल अ**** l - মাজের প্রচুর অমঙ্গল উৎপন্ন};