পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯyჯ) করিস্তে পারি,এই আমাদের আশ্চর্য্য শক্তি। র্যাঙ্কণর আত্মা ধৰ্ম্ম-বলে সবল হইয়াছে— পুণ্য-জ্যোতিতে জোতিয়ান হইয়াছে, বিষয়-সুখ যে কি ক্ষুদ্র তাহা তিনিই বুঝিয়াছেন । আমরা সংসায়ের সহিত সংগ্রাম করিয়া-কুপ্রবৃত্তিকে বল পূর্বক নিরস্ত করিয়া বহু আয়াসে বঙ্গ দিবসে যে ধৰ্ম্মরত্ব উপার্জন করি, কোন পার্থিব ধন কি তাহার বিনিময়ে গ্রহণ করা যাইতে পারে ? কখনই না। ধর্মের শেষ পুরস্কার ঈশ্বর। ঈশ্বরই অামাদের যথার্থ লক্ষ্য স্থান । তাছা হইতে বিচ্যুত হইয়া অন্য যে দিকে গমন করি, সেই দিকই তিমিরাবৃত শূন্য। দিগদর্শনের শলাকা যেমন স্বাভাবিক অবস্থায় উত্তর দক্ষিণ মুখীন হইয়া থাকে এবং বাহির হইতে বিত্ন পাইলেই সেই শলাক বিপরীত দিকে চালিত হয়, আমাদের অাত্মাও সেই প্রকার। আত্মার স্বাভাবিক অবস্থাতে সে ঈশ্বরের দিকেই দৃষ্টি করে। কিন্তু যদি বিষয়াকর্ষণ প্রবল হয়—যদি কুদৃষ্টান্ত বা কুসংসর্গের জাল বিস্তত হয়, তবেই সে অন্য দিকে গমন করে। আত্মার সুস্থাবস্থাতে ঈশ্বরই তাকার উপজীবিকা, ধৰ্ম্মই তাহার মন্ত্রী। পাপই বিকৃতি । ঈশ্বর হইতে বিচ্যুতিই অস্বাভাবিক। বালক কাল অবধিই ঈশ্বরের ভৰি এবং ধৰ্ম্মের ভাব অল্প অলপ পরিস্ফুটিত হইতে থাকে । বিষয়-জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে বালকের মনে ঈশ্বর-জ্ঞান আরম্ভ হয় এবং বিষয়বুদ্ধির সহিত তাহার ধৰ্ম্ম-বুদ্ধির উদ্বোধ হইতে থাকে । সেই স্বাভাবিক ঈশ্বরের ভাব এবং সেই স্বাভাৰিক ধৰ্ম্ম-বুদ্ধির উদ্দীপন করিয়া দিবার জন্য প্রথম হইতেই তাচার ধৰ্ম্ম-প্রদর্শকের সহায় আবশ্বক । স্ত্য কথা বলাই বালকদিগের স্বাভাবিক ভাব ; তাহার কুটিলতা শিক্ষা না করিলে আর তাছাদের মিথ্য বলিতে প্রবৃত্তি হয় ন । পিতা মাতার প্রতি বালকদিগের যে .একটি নির্ভরের ভাব—একটি অটল নিষ্ঠ আছে; বয়োবৃদ্ধি সহকারে সেই সকল ভাৰ ঈশ্বরেতেই পরিচালিত হওয়াই স্বাভাবিক ; কিন্তু সেই সকলের উদ্দীপন হয় ন ব লিয়া এক্ষণে নিৰ্ব্বাণপ্রায় দেখা যাইতেছে। যখন তাহার দেখে, তাছাদের পিতা মাতা ८कदव्नई दिषरज्ञ अध , कोंटझ्म, क्रेश्वरब्रव्र ऊंপাসনাতে কাহারে মন মাই ; তখন কিৰপে তাহদের ঈশ্বরের ভাব সমুজ্জ্বলিত হইতে পারে ? এই হেতু পরিবারের মধ্যে এক জন সৎ আচার্ষ্য থাকা অত্যন্ত আবশুক । এই ব্রহ্মবিদ্যালয়ের কেবল এই উদ্দেশু, বাহাতে ধৰ্ম্মের ভাৰ এবং ঈশ্বরের ভৰি সকলের আত্মাডে জাগ্রত হয়। ধৰ্ম্মের ভাব, কৰ্ত্তৰ জ্ঞান, ইশ্বর স্পৃহা সকলেরই আছে; কিন্তু তাহা উদ্বোধন করাই ইহার উদেশ্ব। আমরা দুৰ্ব্বলতা প্রযুক্ত যেমন জড়ীভূত হইতেছি, অজ্ঞান বশতঃ সে ৰূপ নয়। আমরা যাহা যাহা কৰ্ত্তব্য বলিয়। জানি-ঈশ্বরের আদেশ বলিয়া মান্য করি, তাহা যদি অনুষ্ঠানে পরিণত করিতে পারি ; তবে অtমাদের সৌভাগ্যের সীমা কি থাকে ? ধর্মের আদেশ আমাদের বুদ্ধি ভূমিতে স্বর্ণক্ষরে লিখিত আছে—ধৰ্ম্মের তীব্রতর ভৎসনাতে কুপ্রবৃত্তি সকল অনেক সময়ে সস্কচিত হইতেছে ; কিন্তু সেই ধর্মের বলকে আরো বলবান করা আমাদের প্রয়োজন । আমরা যদি আমাদের ঈশ্বরের ভাব কেবল স্বভাবের হস্তে অর্পণ করিয়াই ক্ষান্ত থাকি, তবে তাহাতে কোন ফলই দর্শে না। যদি শৰ দেখিয়া আমাদের বৈরাগ্য উপস্থিত হয়—যদি বিপদে পড়িয়াই ঈশ্বরকে মনে হয়—তবে তাছাতে কি হইতে পারে ? আমরা সকল সমবেতেই যে র্তাহার আশ্রিত এবং তিনি আমাদের একমাত্র অাশ্রয়, এই ভাব নিরস্তর মনে রাখা কৰ্ত্তব্য । আমরা যেমন বন্ধুর সহিত এক প্রকার সম্বন্ধ নিবন্ধ করি, সেই ৰূপ ঈশ্বরের সহিত সম্বন্ধ নিবন্ধ না করিলে উঠাহীকে জানার কোন ফল নাই। আমরা জানিলাম, ঈশ্বর মামদিগের পরম পিতা, আমরা তু প্তাহার

কিন্তু পুল্পের ন্যায় যদি জাহাৰে । 3. 可协 ੋਂ ন্যায় ৫াহাতে মির্ভর না করি ; তবে সে জান থাকা না থাকা

সৰ্ব্বব্যাপী ; কিন্তু অপজ্ঞ ক্ষমুৰ্যকে যে ৰূপ