পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাক্ষাৎ দেখি, তাহাকে যদি তস্কপ করিয়াও না দেখি ; সামান্য লোকের অমুরোধে কোন অসৎকৰ্ম্ম হইতে যেমন নিবৃত্ত হই, তাহার অনুরোধ ততটুকুও রক্ষ ৰুরিয় ন চলি, তবে সে জ্ঞান বৃথা । আমরা যদি কর্মের সময় ঈশ্বরকে বিস্মৃত হইয়। থাকি এবং কেবল উপাসনার সময়ই র্তাগকে মনে করি, তবে এখনে। তাহার সহিত সে প্রকার সম্বন্ধ নিবন্ধ হয় নাই। কর্মের সময়ই আপনার কৰ্ম্ম—উপাসনার সময়ই র্তাহার কার্য, এমত নহে। ধৰ্ম্ম কাৰ্য্য যাচ কিছু করি ; সকলই তাহার কার্য্য—তাকার প্রিয় কার্য্য ;. স্বার্থপরতার কুমন্ত্রণাতে যে কিছু ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ কাৰ্য্য করি, তাছাই র্তাহার কার্য্য নহে ; তাহাই পরিহার করা আমারদিগের প্রাণ পণে কৰ্ত্তব্য। যখন তিনি আমাদের নয়বান রাজ আর আমরা সকলেই তাহার প্রজা ; তখন উহার অদেশ পালন না করা কি বিগছিত কৰ্ম্ম । যখন তিনি আমাদের এ তু, আর অমর তাহার আজ্ঞাধীন ভৃত্য ; তখন তঁহার কার্য্যে অবহেলা কর। কি অকৃতজ্ঞতার কৰ্ম্ম । ঈশ্বরের সহিত সম্বন্ধ নিবদ্ধ করা ইহকালেই আবশ্বক; নতুব। আমাদের মহতী বিs মষ্টি । কি কৰ্ম্মক্ষেত্রে কি ব্রাহ্মসমাজে সকল সময়েই অমরা যেন তাহার কার্য্যে এবং তাহার উপাসনাতে নিযুক্ত থাকি। উহার উপাসনাতেই আমাদের দেবত্ব হয় । সংসার তুর্বিসের ঝঞ্চ শিলাপাত হইতে পরিত্রাণ পাইবার জন্য ব্ৰহ্মৰূপ নিকেতন আমাদের હી; খানেই আবশ্বক। আমরা যে অবস্থায় থাকি F কেহই তাহা হইতে আমাদিগকে বিচ্ছিন্ন করিতে পারে মা ! সম্পদ এবং সলুপদের অনুচরেরাও যদি আমাদিগকে পরিত্যাগ করে—বন্ধুগণ , যদিও বিচ্ছিন্ন হয় ; তথাপি ঈশ্নর হইতে আমরা বিচ্ছিন্ন নৃছি। আমরা নির্জনেও একাকী মছি—ৰিপদের সময়ও নিরশ্রিত মহি; কিন্তু ঈশ্নর জুমাদের সহিত সৰ্ব্বদাই আছেন এবং তিনি উহার শীতল আশ্রয়ের ছায় সৰ্ব্বদাই বিস্তার করিতেছেন এই বিস্তীর্ণ জগৎ স্মশান তুল্য

ईमा मद्ररु क्डि हेंश ७६मद-श्रृं★cनद-प्रगिज़ । ৩৭ যে ব্যক্তি ঈশ্বর হইতে পরিচত, তাহার কিছুতেই শান্তি নাই। সাংসারিক সম্পদই তাহার জীবন সৰ্ব্বস্ব-সাংসারিক বিপদই তাহার মৃত্যু তুল্য। বিষয় লোলুপ ব্যক্তি যে বিষয় লইয়া সুখী থাকিতে পারে তাহও নহে। বিষয় পাইবার পূৰ্ব্বে যেৰূপ উদোগ থাকে, যেৰূপ উদ্যম থাকে, তাহ। পাইলে আর সেন্ধপ থাকে না পুনৰ্ব্বার মু-- তন বি য়ের পশ্চাতে মন ধাবমান হয়, বিষয় লাভে তুপ্তি-সুখ কখনই হয় না । এথমতঃ বিনয় পাইবার জন্য কেমন ব্যগ্রত ' ও,কি কষ্ট । দ্বিতীয়তঃ না পাইলে কেমন Aঅসুখ । তৃতীয়তঃ বিষয় পাইলেও তাহাতে অতৃপ্তি ! চতুর্থত: পাইরার পর নষ্ট হইলে কেমন যন্ত্রণ এই সকল যন্ত্রণ ও বিড়ম্বনার মধ্য দিয়াই ঘোর বিষয়ী ব্যক্তির অহনিশ বিচরণু করতে হয়। কোথায় যে সে শান্তি পাইবে, এমন স্থান নাই । তাহার অমৃতের পুত্র হইয়া সংসার চক্রেই আবৰ্ত্তিত হইতে থাকে, কোথাও শান্তি পায় না । তাহারা সুখ মরীচিকায় প্রতিবার অাশ্বাসিত এবং প্রতিবার প্রবঞ্চিত হইয়। কেবল ঘূর্ণায়মান হয় এবং পরিশেষে হয় তো সংসারের প্রতি মনুষ্যের প্রতি বিরক্ত হইয়া ঈশ্বরের মঙ্গল-স্বৰূপেও দোষারোপ করিতে প্রবৃত্ত হয়। * সেই সকল ব্যক্তির ইহা অবগত নহে, যে ক্ষুদ্র বিষয় লইয়া মনুষ্য কখনই তৃপ্ত থাকিতে পারে না। যাহারা ভুম ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাহারাই সৰ্ব্বতোভাবেই পরিতৃপ্ত থাকেন । ঈশ্বরকে যাহার মূলধন ৰূপে সঞ্চিত করিয়া রাখিয়াছেন ; পার্থিব ৰিষন্নাভাবে তাহারা মুমূর্ষ হয়েন না । বিষয় জনিত হর্ষ, শোক ; সংসারের ৰিপদ যাম্পদ ; তাহাদিগকে অধিকার করিতে পারে না । সকল অৰস্থাতে তাহার। কৰ্ত্তৰ কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিরাই মুখী থাকেন । ধন পাইলেও তাহদের এক প্রকার কৰ্ত্তব্য; দরিদ্রাবস্থাতেওঁঞ্জহাদের জন্যৰূপ কাৰ্য। উiহার যে কোন কর্ণ করেন, তাহ। ঈশ্বরেভেই সমর্পণ করেন ; উছার প্রিয়ক্ষার্থ হইণ্ডে কেহই উীহাদিগকে আকৃষ্ট করিক্তে,