পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՖԵ" পারে না। র্তাহারা সেই মহান পুরু প্রাপ্ত হইয়। কি মহত্ত্বই প্রাপ্ত হইয়াছেন ; র্তাহারা সেই সকল সম্পদের সম্পদকে পাইয়া সুসম্পন্ন হইয়াছেন । বিষয় সুখেই যদি আমরা প্ৰমত্ত থাকি— সংসার ভিন্ন যদি আমাদের নিকটে আর সকলই আসার চয় ; তবে আমরা আমাদের মহত্তর শ্রেষ্ঠতর অধিকার হইতে প্রচু্যত হই। ঈশ্বরের সহিত আমাদের যে সকল সম্বন্ধ, তাহ অননুভুত থাকে ধৰ্ম্মের যে সকল মচান ভাব, তাহ অব্যক্ত ৰূপে স্থিতি করে। সুখই যাঙ্গদের ধৰ্ম্ম এবং দুঃখই পাপ, নিঃস্বর্থ ভাব যে কি, তাহ। তাহারণ কি প্রকারে বুঝিবে ? : ব্রহ্মপরায়ণ ব্যক্তি যে ধৰ্ম্মের জন্য অনায়াসে প্রাণ দান করিতে উদ্যত, তাহাদিগের নিকটে সে কেবল ভ্রান্তি মাত্র । ঈশ্বর-প্রীতি যে মনুষ্যকে দেবত্বপদে স্থাপিত করে,সে কল্পনামাত্র । সেই পণ্ডিতস্মন্য ব্যক্তিগণ অশেষ শাস্ত্রসিন্ধু মন্থন করিয়া এই স্থির করেন, যে মনুষের সকল কৰ্ম্মের সমুদয় ধৰ্ম্মের লক্ষ্য কেবল স্বার্থপরতা । তাহার। মনুষোর মহদ্ভাব সকলকে পশু ভাবের তুল্য করিতে চাহে এবং তাহার জ্ঞান-ধৰ্ম্ম-বুদ্ধি-সম্পন্ন আত্মাকে জড় করিতে চাহে । তাহার। মনুষ্যের আশা, ভরশা, জ্ঞান ধৰ্ম্ম, সকলই এই সঙ্গীর্ণস্থান ও সস্ট্রীর্ণ কালেই বদ্ধ করিতে চাহে এবং মৃত্যুর সঙ্গে ই তাঙ্কর আত্মার ধংশ ও বিনাশ ঘোষণা করে । সাবধান যেন তাহদের উপদেশ-গরল কেহ প্ৰমাদগ্ৰস্ত হইয়া ভক্ষণ না করেনা | র্যাঙ্গর ধৰ্ম্মের পথে দণ্ডায়মান আছেন এবং পুণ্য পদবীতে আরোহণ করিতেছেন, তার উক্ত প্রকার ভ্রমজালে কদাপি পতিত হয়েম ন । পুণ্যের যে কি মনোহর মূৰ্ত্তি— ঈশ্বর-প্রীতি যে কি রমণীয় পদার্থ–ব্রহ্মানন্দ যে কি মহান আনন্দ—ঈশ্বরের সহিত যে কি প্রকার চির-দম্বন্ধ ; তাহারা ইহা পরীক্ষাতেই জানিতেছেন, বৃথা যুক্তিতে র্তাহার ভুলিবার নহেন। একেতে আমাদের দেশ অধৰ্ম্মের অালয় হইয়াছে, তাহাতে বিজ্ঞানশাস্ত্র ও যদি নীচ হীন পাপ কলঙ্কিত རྣ་རྟ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকণ উপদেষ্টাও যদি সেই ৰূপ হয়,গৃহীতাও যদি বিনীত ভাবে সেই সকল উপদেশ গ্রহণ করেন ; তবে এদেশের মঙ্গল কোথায় ? যাহার এই প্রকার বিষম বিষয়ের উপদেশ প্রদান করেন, র্তাহার বোধ হয় আপনাদের স্বভাবের প্রতি দৃষ্টি করিয়াই এই ৰূপ উপদেশ দিয়া থাকেন । অনন্ত কালের নিমিত্তে অামাদের আত্মার সহিত পরমাত্মার যে সম্বন্ধ আছে, তাহ তাহারা বিনাশ করিতে চাহেন। র্তাহাদিগকে এক প্রকার আত্মঘাতী বলিলেও বলা যায়। একবার পরীক্ষা করিয়া দেখ ধর্মের কি পবিত্র, প্রশান্ত ভাব-ভূম। ঈশ্বরেতে আমাদের কেমন আরাম-ব্রহ্মানন্দ কি সুগভীর, কি স্থায়ী ; তবে আর ভ্রমপথের পথিক হইতে হইবে না। আমর। জ্ঞানালাপেতেই যেন তৃপ্ত না থাকি । ঈশ্বরেতে আমাদের কতদূর প্রীতি জন্মিয়ছে, তাহ{ তাহার কার্য্য করিবার সময়ই পরীক্ষা হয়। ভাঙ্গকে প্রীতিকর এবং আনন্দের সহিত র্তাহার প্রিয়কার্য সাধন কর । ইহাতেই মঙ্গল, ইহাতেই মুক্তি। চুচড়। ব্রাহ্মসমাজ । গত ৫ বৈশাখ রবিবাব চাঁচড়া নগরে বৰ্দ্ধমানাধিপতি শ্ৰীমন্মহারাজাধিরাজ এক ব্রাহ্মসমাজ সংস্থাপন করিয়াছেন । তাঙ্কার সমুদয় ব্যয় রাজ-কোষ হইতেই নিৰ্ব্বাহ হইতেছে। সকল ব্রাহ্মের তজ্জন্য র্তাহার নিকটে অত্যন্ত উপকৃত হইয়াছেন, এবং মনের সহিত র্তাহাকে ধন্যবাদ দিতেছেন। চুচড়তে সমাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে উপাসনা কালে তথাকার শ্রদ্ধাবান ব্রহ্ম-পরায়ণ জন গণ দ্বার সমাজ-গৃহ পরিপুর্ণ হইয়া থাকে । ঈশ্বর প্রসাদাৎ তথাকার লোকের হৃদয়ে ব্রাহ্মধৰ্ম্মবীজ অঙ্ক রত হইবার শীঘ্রই সম্ভাবন । এই সমাজে প্রতি রবিবার অপরাহ্নে উপাসন। কার্য্য সম্পন্ন হয় । সমাজ সংস্থাপনের দিবসৰে সকল বক্তত হইয়াছিল, তাহার মধ্যে একটা বক্তৃতার কিয়দংশ নিম্নে উদ্ধত হইল । e - “বোধ করি ইহা সকলেই জ্ঞাত আছেন, যখন আমাদের মনে অত্যন্ত আনন্দ রসের