পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। উপকার দর্শিয় থাকে, তাহার প্রতি একবার মনঃসংযোগ করিলে মন আপন হইতেই ঈশ্বরকে মঙ্গল পুর্ণ বলিতে ব্যগ্র হয়। জীব শরীরের সমুদায় কৌশলও অামাদিগের সুখ জনক । অস্থি, শিরা, মাংসপেশী, মস্তিষ্ক প্রভৃতি নানা প্রকার ধাতুর সংযোগে এক একটি জীবের শরীর রচিত হইয়াছে এবং হস্ত, পদ, নাসা, গ্রীবা, চক্ষু, কর্ণ প্রভৃতি নানা ইন্দ্রিয় দ্বারা জীব শরীরের সমস্ত কাৰ্য্য নির্বাহিত হইতেছে, অথচ ঐ সমুদায় ধাতু এবং সমস্ত ইন্দ্রিয় আমাদিগের অশেষ প্রকার সুখ সাধন করিতেছে । আমরা যে কোন জীবের শরীর বিষয়ক কৌশল পরীক্ষা করিয়া দেখি, তাহাতেই তাহার মুখ সাধন উপযোগিতা দেখিতে পাই, বিহঙ্গ জাতি স্বীয় অবয়ব লইয়া কেমন জুখেতে আকাশ পথে বিচরণ করে; মৎস্তও আপন শরীর লইয়া কেমন সচ্ছন্দ পুৰ্ব্বক জলেতে সন্তরণ করে। কীট পতঙ্গাদি আপনাদিগের ক্ষুদ্র আকৃতি লইয়া কেমন পরম সুখে অবস্থিতি করে, পশু গণ আপনাদিগের প্রকৃতি অনুযায়ী অরুতি প্রাপ্ত হইয়া কত প্রকার সুখই ভোগ করে। আমাদিগের এক একটি ইন্দ্রিয় দ্বারা আমরাই বা কত প্রকার অনির্যর্বচনীয় সুখে মুখী হই । আমাদিগের শরীরস্থ অন্তৰ্ব্বাস্থ্য সমস্ত কৌশলই আমাদিগকে অশেষবিধ সুখ প্রদান করে। কি অস্থি সন্ধি,কি শিরাবন্ধন,কি পাকস্থলী,কি শোণিত সঞ্চালন,কি চক্ষু কৰ্ণ,কি হস্ত পদসমুদায় শারীরিক কৌশলই আমাদিগের সুখের কারণ। আমরা প্রয়োজন মত হস্ত পদাদি সঞ্চালন করিয়া কত সুখ ভোগ করি, সমস্ত শরীরে যথাবিধি শিরা সকল বিদ্যমান থাকাতে অমরা কত প্রকার মুখ প্রাপ্ত হই। পাকস্থলীতে সমুদায় ভুক্ত দ্রব্য পরিপাক হইয়া রস রক্তাদি রূপে পরিণত হওয়াতেই বা আমরা কত সচ্ছন্দতা লাভ করি, হৃদয়স্থ রক্ত তাগুর হইতে সমস্ত শরীরে শোণিত সঞ্চালিত হওয়াতেই বা আমাদিগের কত সুখের উৎপত্তি হয় । আমরা শ্রবণেন্দ্রিয় দ্বায়া নান৷ প্রকার সুস্বর শ্রবণ করিয়া কত মনিৰ্ব্বচনীয় সুখই ভোগ করি, চক্ষু দ্বার। অশেষ প্রকার cगोमरी जन्मभम कॉर्बेब्रांई कङ छथ अॉड করি, এবং মালিকা দ্বারা মনোবিধ সৌরভ প্রাপ্ত ও রসেঙ্গিয় স্বারা বিভিন্ন প্রকার রলের স্বাদ গ্রহণ করিয়াও কত সুখে সুখী হই। বিশেষতঃ করুণাপুৰ্ণ জগদীশ্বর জীব গণের জীবিকা লাভ ৰিষয়ে যে অনুপম কেশল প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাতে তাহার 开করুণ মঙ্গল পূর্ণভাব সুস্পষ্ট প্রদীপ্ত রহিয়াছে । অ্যাংখ্য অসংখ্য প্রাণী চিরকাল আবশুক মত অন্নপান প্রাপ্ত হইয়া আসিতেছে, তথাপি তাহার অক্ষয় ভাণ্ডারের শেষ হইতেছে না। ভূমণ্ডলে কত প্রকার জীব জন্তু বিদ্যমান আছে, তাহার সংখ্যা করা কঠিন, এবং কত প্রকার জন্তুর যে কত প্রকার খাদ্য প্রয়োজন, তাহাও নির্দেশ কর সহজ নহে । যাহা এক জীবের খাদ্য, তাহা অন্য জীবের অখাদ্য, যে দ্রব্য ভক্ষণ করিলে কোন প্রাণী সুখেতে শরীর ধারণ করিতে পারে, সেই দ্রব্য ভক্ষণ করিলে কোন প্রাণীর প্রণ পর্যন্ত নষ্ট হয়। কিন্তু আশ্চর্য্য এই যে, সকল প্রকার জীবই আপন আপন উপযুক্ত ভোজন পান প্রাপ্ত হইয়। সুখেতে জীবন ধারণ করিতেছে । ষাহার যে দ্রব্যের প্রযোজন, সে তাহাই প্রাপ্ত হইতেছে। অতি ক্ষুদ্র কীটাণুও তাহার প্রয়োজন মত আহার প্রাপ্ত হইয়৷ জীবিত রহিয়াছে এবং অতিকায় মাতঙ্গ ও তিমি মৎস্য আপন আপন ভোজ্য দ্রব্য লাভ করিয়া সুখেতে জীবন ধারণ করিতেছে । তিমি মৎস্য গভীর সাগর গর্বে অবস্থিতি করিয়াও আপনার জীবিক লাভ করিতেছে, আবার কোন বিহঙ্গ উচ্চতর পর্যত শৃঙ্গে উপবেসন করিয়াও আপনার আহার প্রাপ্ত হইতেছে, যে জীব দুস্তর সাগর পরিবেষ্টিত দ্বীপে উৎপন্ন হইতেছে সেও তথা হইতে আপনার উপজীব্য প্রাপ্ত হইতেছে এবং ষে কোন জন্ত বৃক্ষ কোটর বা পৰ্ব্বত গহবরে জন্ম গ্রহণ করিতেছে, সেও তাহার জীবনোপযুক্ত জীবিকা লাভ করেতেছে। এই ৰূপ ভূমগুলের ষে স্থলে স্বত আপন আপন আৰক্ষক মত অক্ষ পাম লাভ করিয়া সুখেতে কাল হরণ করিতেছে । ক ?