পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রকাশ পায়। উক্ত কীট আপন ইচ্ছা মত অনায়াসে ঐ অবয়ব সঞ্চালন করিয়া কাৰ্য্য সাধন করিতে পারে। এপ্রকার অদ্ভুত কীটী কেহ কস্মিন কালে সন্দর্শন করে নাই, বস্তুতঃ উহার শরীর অতি শোভনীয়, বিচিত্র বর্ণ বর্ণিত উৎকৃষ্ট রজতময় কবচ দ্বার। আচ্ছাদিত এবং সুবর্ণ ও প্রবালাদি রত্নজড়িত পরিচ্ছদে সুশোভিত । দ্বিতীয় কটা টিকেও প্রাণীতত্ত্ব পরায়ণ পণ্ডিতের ঐ জাতীয় অনূভব করিয়াছেন কিন্তু উহার সহিত ইহার আকারের অনেক ইতর বিশেষ আছে। প্রথমটি রক্তবর্ণ এবং সুবর্ণালঙ্কত। দ্বিতীয়টির আকার কৃষ্ণ বর্ণ এবং শক্ৰ ধনুর নায় অলঙ্কর বিশিষ্ট । প্রথমটিকে প্রস্তরের নীচে হইতে পাওয়াযায় এবং দ্বিতীয়টি এক প্রকার পঙ্কের নিম্ন হইতে প্রকাশ পায়। দ্বিতীয় কীটাপুর উভয় পাশ্বে অনেক গুলি স্বত্র সদৃশ অঙ্গ আছে, উক্ত কীট ঐ সকল অঙ্গ ভঙ্গী দ্বার চঞ্চল হইয়া সৰ্ব্বদ মৃত্য করে । করুণাময় জগদীশ্বর উক্ত বঁটাপু শরীরে ঐ সকল অঙ্গ রচনা করিয়া যে কেবল উহার শোভা বৃদ্ধি করিয়াছেন এমন সংহ, ঐ অঙ্গ গুলি দ্বারা উক্ত কীটা আপনার দেহ রক্ষা ও জীবিকা লাভ করিয়া থাকে। ঐ অঙ্গ গুলি এক একটি এক একপ্রকার আশ্চর্য্য অস্ত্র স্বৰূপ । কোন অঙ্গ বল্লমের কার্য্য সম্পাদন করে, কোন অঙ্গ দ্বারা আসর কার্য্য নিৰ্ব্বহিত হয়। উহার শরীরে বড়িশবৎ এক প্রকার অস্ত্র দীর্ঘ স্থত্র সদৃশ অঙ্গ বিশেষে সংলগ্ন আছে। ঐ কীট প্রয়োজন মত ঐ রড্রিশ নিঃক্ষেপ করিয়া আপনার ভোজ্য জীব আiহরণ করতে সমর্থ হয়। উহার শরীরে প্রযোজন মত সকল অঙ্গই দেখিতে পাওয়াযায়। কি ভোজ্য অস্বাদন কি অপার সুখ সাধন কিছুরই ব্যাঘাত হয় না । ঐ উভয় জাতীয় কীটপুই জীব ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করে এবং উভয়েরই খাদ্য জীব ধৃত করিবার উপায় আছে । উহাদিগের ভোজ্য জীব ধারণ করা দেখিলে অবাক হইতে হয়। উদ্ধার বিশেষ মৃগয়াশীল পুরুষের ন্যায় কৌশল প্রকাশ করিয়াশীকার করিয়া থাকে। ११ করুণানিধান বিশ্বপিতা উহাদিগের প্রয়োজন উপযুক্ত সকল উপায়ই প্রদান করিয়াছেন । তাহার প্রসাদাৎ উহার সত্ৰ, নিবারণ করিয়া অনায়াসে দেহ রক্ষা করিতেও সমর্থ হয় এবং আপনাদিগের জীবিকা লাভ করিয়৷ জীবন ধারণ করিতেও পারে। যিনি এই সসাগর সমস্ত বিশ্বের স্বটি করিয়াছেন তিনি একটি ক্ষুদ্র কীটপুকেও বিম্মত নহেন। কলিকাত ব্রাহ্মসমাজের বক্ত ত । ৮ বৈশাখ বুধবার ১৭৮১ শক তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথাঃ । পাপকৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করিবে । সেই অনন্তশক্তি পুরুষের ইচ্চাতেই এই সমুদায় জড় ও জীব উৎপন্ন হইয়াছে এবং ক্টাহাকে অবলম্বন করিয়াই সকলে স্থিতি করিতেছে । তঁহার অপরিসীম শক্তির প্রভাবে সমুদায় পদার্থ নিজ নিজ শক্তি প্রাপ্ত হইয়াছে। তিনিই সকলের মুলকারণ--সলের মুলাধার। র্ত হার প্রকাশ দ্বারাই সমুদয় জগৎ প্রকাশ পাইতেছে। সকল স্থানই উহার আবাসস্থান—তিনি অসীম সাকাশে ওতপ্রোতভাবে স্থিতি করিতেছেন । তিনি আকাশে ব্যাপ্ত আছেন, ইহা বলিলেও মনের সকল ভাব ব্যক্ত হয় না; যে বস্তু আকাশের অতীত তাহাতেও তিনি আছেন-- তিনি আমাদের আত্মাতেও রহিয়াছেন । তিনি দূর হইতেও বহুদূর এবং আমাদের অস্তরের অন্তরাত্ম। তিনি যদি অন্য সমুদায় বস্তু অপেক্ষ আমাদের নিকটে রহিয়াছেন, তবে কেন তঁহাকে প্রত্যক্ষবৎ প্রতীতি দ্বরিতে পারি না ? তাহার পবিত্র সন্নিধাম প্রাপ্ত হওয়া যখন আমাদের সকল অপেক্ষ। সঞ্জীধক প্রার্থনীয়, তখন কেনই বা তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইতে ন পারি ? তাহার সহবাস জনিত বিশুদ্ধ আনন্দ যদি অন্য সকল अक्षांश अममा श्रेष्ज्र (अिधर्छठङ्ग ७ भङ्ख्झ, তৰে সেই সুবিমল ব্ৰহ্মানন্দ হইতে কিজন্য