পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা উপকার প্রাপ্ত হইতেছি ; তাহারই অপার মহিমা ও গুণ গরিমা যথাশক্তি কীৰ্ত্তন করিতে এবং র্তাহাকে প্রীতি ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা সহকারে নমস্কার করিতে আমরা প্রতি সপ্তাহে এই পবিত্র ব্রাহ্মসমাজে একত্রিত হইয়। থাকি । আমরা এখানে বসিয়া তাহার গুণানুবাদ করিতে করিতে যখন র্তাহাতে চিত্ত সমর্পণ করি, তখন আমাদিগের মনে কি এক অনিৰ্ব্বচনীয় অনন উপস্থিত হয় । তখন অৰূপী পরমেশ্বরের আনন্দৰূপ সৰ্ব্বত্র প্রকাশ পাইতে থাকে ও অমর। প্রেমোজ্জল জ্ঞানৰূপ চক্ষু দ্বারা র্তাহার মঙ্গলমূৰ্ত্তি সুস্পষ্টৰূপে দেখিতে পাই। তখন প্রত্যক্ষ হয় যে র্তাহার অসীম করুণ সাগরে আমরা নিরস্তর প্রবমান রহিয়াছি, তিনি আমারদিগকে জন্মাবধি অত্যাশ্চর্যা কৌশলে রক্ষণাবেক্ষণ করিতেছেন, তিনি আমাদিগের পরম করুণাময় পিতা, তাহার ক্রোড়ে থাকিয়। আমরা নিভয়ে কাল যাপন করিতেছি। তখন র্তাহাকে আমাদিগের একমাত্র পরম গতি ও একমাত্র পরমাশ্রয় বলিয়া প্রতীতি হয় ; তখন তাহার প্রতি প্রীতি ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা চিত্ত হইতে অনবরত প্রবাহিত হইতে থাকে এবং তাহার কার্য্য সাধন করিতে আমরা জীবন ধারণ করিয়াছি, ইহাই বিলক্ষণ বোধ হহতে থাকে, তখন র্তাহীর মঙ্গল অভিপ্রায় সম্পন্ন করতে নুতন উৎসাহ ও নুতন বীর্য অনুভূত হয় ; তখন পরিত্র স্বৰূপ পরমেশ্বরের আবির্ভাবে আত্ম পবিত্র হয় ; তখন পৃথিবীর মোহ-কোলাহল আর শ্রত হয় না ; ফলতঃ তখন আমরা ঐহিক সকল সুখ হইতে এক উৎকৃষ্ট স্বৰ্গীয় অনুপম মুখ সম্ভোগ করি । কিন্তু আমির প্রতি সপ্তাহে কিছুকালের জন্য এই প্রকার পরম পরিশুদ্ধ বিমলানন্দ সম্ভোগ করিব, ইহাই এই সমাজে আসিবার একমাত্র তাৎপর্য্য নহে । আমাদিগেব উদ্দেশ্ব এই ষে আমরা এখানে ক্ষণকালের জন্য র্তাহাকে প্রীতি ও ভক্তির সহিত স্মরণ করত যে অতুল বিমল প্ৰেমানন্দ অনুভব করিয়া জীবনকে সার্থক छांन कब्रि, cगझे यांबना ८षम अभिब्रा थङि כלו নিয়ত সম্ভোগ করি, সেই আনন্দ যেন অণমাদিগের পরকালের একমাত্র উপজীব্য হয় ; আমরা এখানে পরমেশ্বরকে যে প্রকার প্রীতি ও ভক্তির সহিত স্মরণ করি, তাহার প্রতি সেই প্রকার গ্রীত ও ভক্তি যেন আমাদিগের মনের স্বাভাবিক অবস্থ হয়, যেন অমর। সৰ্ব্বদ। সৰ্ব্বাবস্থাতে ও সকল স্থানে তাহার মঙ্গলমূৰ্ত্তি সুন্দরৰপে প্রতীতি করি ও তঁহকে নিকট জানিয়া যেন অমর সংসারের ভয়াবহ তরঙ্গ মধ্যে অকুতোভয়ে বিচরণ করিতে পারি। যেন তাহার মধুময় ধৰ্ম্ম উপদেশ আমাদিগের সৰ্ব্বদ শ্রুতিগোচর হয় ও র্তাহার প্রদর্শিত পথ হইতে আমরা কোন কালে প্রচু্যত ন৷ হই । হে ত্ৰাহ্মগণ ! এই পরম প্রার্থনীয় অবস্থা প্রাপ্তির জন্য কি আমরা সাধ্যমত ঢেষ্ট ও যত্ন করিতেছি? যদি করিয়া থাকি, তবে আমাদিগের সেই চেষ্ট। কতদূর ফলোপধারিনী হইয়াছে ? জগদীশ্বরের অপর করুণার ব্যাপার চতুর্দিকে প্রত্যক্ষ করিয়া র্তাহার প্রতি প্রেম, ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা কি আমাদিগের মনে সতত উদিত হইয়। থাকে ? তাহার শ্রবণ মনন, তাহার গুণকীস্তন, তাহার প্রিয়কার্য্য সাধন কি আমর। জীবনের সার কৰ্ম্ম বলিয়। বোধ করি ? আমরা যখন যে কার্য্যে নিযুক্ত থাকি, তাহাতে আমাদিগের প্রিয়তম পরমেশ্বরের অভিপ্রায় সম্পন্ন হউক, ইহাই কি আমাদিগের লক্ষ্য থাকে ? আমরা কি তাহার ইচ্ছ। বলিয়। স্ত্রী পুত্র পরিবার প্রতিপালন করিতেছি, ধনমান অৰ্জ্জন করিতেছি, বিষয় চেষ্টায় প্রবৃত্ত রহিয়াছি ? তিনি আমাদিগকে সকলের প্রতি সমানৰূপে দয়া করিতে ও সকলের কল্যাণ সাধনে তৎপর থাকিতে যেৰূপ আদেশ করিতেছেন, আমরা কি সেই প্রকার আচরণ ও ব্যবহার করিতেছি ? যে কৰ্ম্ম তাহার অভিপ্রায়ের বিপরীত তাই হইতে কি আমরা সম্পূর্ণ ৰূপে দুরে রহিয়াছি ? তদ্বিষয়ক চিন্তা মনোমধ্যে স্থান ন পায় তাহাতে কি আমরা সচেষ্ট রহিয়াছি ? আমরা ইহকালে তাহার প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মানুগত হইয়া কৰ্ম্ম করিলে পরকালে