পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যয় দৃীিভূত হয় না। অস্থায়ী বিষয় লালসত্তে নিরন্তর বিক্ষিপ্ত থাকিলে অনন্তকালের প্রতি একবারও দৃষ্টিপাত হয় না। র্যাহার সহিত আমাদের চির সম্বন্ধ –যিনি অামাদের ইহকাল ও পরকালের একমাত্র উপজীব্য ; তঁহকে এখানেই লাভ করিলে পরকালের বিষয়ে আর সংশয় থাকিতে পারে না। তাহা হইলে আমাদের এই অটল বিশ্বাস হয় যে তঁাছার আশ্রয় হইতে অমরা কোন কলেই বঞ্চিত হইব না -র্তাহার সহিত সম্বন্ধ কখনই ভঙ্গ হইবে ন— তিনি আমাদের জ্ঞান-নেত্র হইতে অণর কখনই অন্তরত হইবেন না । তিনি অনন্তকাল পর্য স্তু আমাদের স্পৃক্ষাকে তৃপ্ত করিবেন--আগাকে পূর্ণ করিবেন - আত্মাকে শীতল করবেন এবং স্বয়ং আপনাকে প্ৰ গন করিয়া অমাদিগকে পরিপোষণ করিবেন । এই অটল বিশ্বাসই পরকীলের দেদীপ্যমান প্রমাণ । حجت |�!ھتس۔ বীজ বিক্রিপ্ত হইবার অদ্ভূত উপায় । কত প্রকারে যে দ্বীজ বিক্ষিপ্ত হইয়। ভূমগুলের নানা স্থানে নানা জাতীয় উদ্ভদের উৎপত্তি হয়, তাহ সম্যক ৰূপে নিশ্চয় করা এত কঠিন যে এক প্র করি আ দস্তুব বলিলেও বলা যাইতে পারে ; তথাপি উদ্ভদ তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতের অসাধারণ পরিশ্রম স্বীকার পূর্বক তদ্বিষয়ক তত্ত্ব নিৰূপণ করতে ক্রুটি করেন মই। তাহার। বীজ বিক্ষিপ্ত হইবার যে ছয়ট প্রধান এবং সাধারণ উপায় নিৰ্দ্ধারিত করিয়াছেন, তৎ সমুদায় আলোচনা করিলে মন এক কালে জগদীশ্বরের মহিমা সাগরে ब्रिभध इद्देश शांझ । প্রথমতঃ । —অনেক উদ্ভিদের বীজ উদ্ধত শীশের অগ্রভাগ হইতে বায়ু সহকারে উउंडीम इशेशी मूह मूत्वांख्८झ विक्रिख रुझ । বীজ ৰিক্ষিপ্ত হইবার,এই প্রথম উপায়টি এমন সাধারণ, যে প্রায় কোন ব্যক্তিই ইহার জশ র্য কৌশলের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না। কিন্তু বিৰেচম পুৰ্ব্বক দৃষ্টিপাত করলে bré ইহার মধ্যে পরমাস্তুত কৌশল দেখিতে পাওয়া যায়। তৃণাদি যে সকল উদ্ভিদের বীজ বায়ু দ্বারা উড়ডীন হইয়া স্থানস্তরে পতিত হয়, তাহাদিগেরই দীর্ঘ দীর্ঘ শীশ হইয় থাকে এবং ঐ শীশের তাগ্রভাগে বীজ পরিপকৃ হইলে উক্ত বীজ স্বীয় কোষ হইতে আপনাপনি পৃথক হইয়। থাকে, যৎকিঞ্চিৎ বায়ুর আশ্রয় পাইলেই আপন হইতে স্থানান্তরে ধাবিত হয়। কেবল বায়ু সহকারে বীজ উভডীন হইবার তাৎপর্য্যে অনেক প্রকার শৈবালকের সুকোমল সরল উচ্চ শীশের অগ্রভাগে বীজ-কোষের উৎপত্তি হয়। উদ্ভিদ তত্ত্বদশী পণ্ডিতগণ শৈবালকের সরল শীশ উৎপত্তি হুইবার অপর কেন কারণই নির্দেশ করিতে পারেন নাই। অন্যান্য উদ্ভদের যে স্থলে পুষ্প হয়, প্রায় সেই স্থলে বীজোৎপন্ন হইয়া পকুণবস্থায় পরিণত হয় ; কিন্তু কোন কোনশৈবালকে এই সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম দেখিতে পাওয়া যায়। উহার পুষ্প উৎপত্তি স্থানের অনেক উচ্চ দেশে এক সরল শীশ উত্থিত হয়, এবং সেই স্থলে বীজ কোষ মধ্যে বীজের পকৃত সম্পন্ন হইয় থাকে। দ্বিতীয়তঃ ! — কোন কোন উদ্ভ:দর বীজ জলের স্রোতে ভাসমান হইয়া দেশদেশান্তরে বিক্ষিপ্ত হয় । ইহাতেও জগদীশ্বরের অনেক অপূৰ্ব্ব কৌশল দেখিতে পাওয়া যায়। এই অ সাধারণ উপায় দ্বারাই প্রবস্তীর্ণ সাগর পরিবেষ্টিত অনেকানেক দ্বীপ ও উপদ্বীপ শস্যশালী হয় । বীজ বিক্ষিপ্ত হইবার এই অসাধারণ উপায় বিদ্যমান থাকতে দুস্তর পাসিফিক মহাসাগরের মধ্যস্থিত শুনা প্রধাল দ্বীপ সকলে পশু পক্ষী প্রভৃতি জীব জন্তু স্বচ্ছন্দ পূর্বক বাস করতে সমর্থ হইতেছে। নারিকেলাদি কোন কোন বীজের তরণশীলতা ও জলেতে তাহাদিগের উৎপাদিক শক্তি রক্ষা পাওয়া ইত্যাদি অস্তুত বিষয় সকল ভাবিয়া দেখিলে কাকার মনে না অ!-- শ্চর্য্য রসের সঞ্চার হয় । কোন কোন বীজ মাসান্তে কোন সাগরের তটে লয় হইয়। অঙ্গুরিত হইতে আরম্ভ করে, কোন বীজ ছয় মাসের পথও ভাসিয়া গিয়া অজুর &{