পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tyNు কাশ করে এবং কোন কোন বীজ ঐ ৰূপে সম্বৎসরের পথেও উপনীত হইয়। দ্বীপ বিশেষে অঙ্কুরিত হয় ; এত কালেও তাঙ্কার উৎপাদিকা শক্তি নষ্ট হয় না । কোন কোন উদ্ভদের বীজকে সাগর তরঙ্গের মধ্যেই অন্ধরিত হইতে দেখা যায়। উক্ত বীজের অন্ধুবর মূলের চতুদিকে এক প্রকার নির্যাস মৃকিত থাকে, উক্ত নির্যাগ কোন মতেই শীঘ্র জলেতে দ্রবীভূত হয় না এবং কোন প্রকারে কোন স্থল পদার্থে সংলগ্ন হইলে & তৎক্ষণাৎ তার সহিত সংযুক্ত হয় । উ ইলো নামক বৃক্ষ প্রায় অধিকাংশ নদীতীরেই জন্মায় ; এই জন্য পরমেশ্বর উচ্চার दैोক্তের উপর কার্পাসের ন্যায় এক প্রকার পদার্গের স্বষ্টি করিয়াছেন,ঐ বীজ নদী তোতে ভাসমান হইলে ঐ কাপাস সদৃশ পদার্থ নৌকীর পালের ন্যায় কার্য্য সাধন করে । উহাতে বায়ু সংলগ্ন হইলে বীজ দ্রুত বেগে জলেতে ভাসিয়া যায় এবং বীজ কৃচৎ স্থল ভাগে পতিত হইলেও উহার গাত্রাবরণ রোম রাজীতে বাতাস লাগিয়া উহাকে খুন। পথে উড়ডীন করে। তৃতী তঃ —অনেকানেক উদ্ভিদের বীজ পশু পক্ষির শরীরে সংলগ্ন হুইয়া স্থানান্তরে বিক্ষিপ্ত হয় । বীজ বিক্ষিপ্ত হইবার এই উপায়টিকে আপাততঃ কিছু অসঙ্গত বলিয় বোধ হইয় থাকে। কিন্তু করুণানিধান পরমেশ্বর এই ৰূপে বীজ বিক্ষিপ্ত হইবার ও মাশ্চর্য কৌশল সংস্থাপন করিয়া রাখিয়াছেন । যেসমস্ত বীজ উল্লিখিত প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়, তাহাদিগের আকৃতিতে পরমাস্তুত কৌ পল দেখিতে পাওয়া যায়। তক্ষপে কেন কোন বীজের শরীরে কুটী ও বড় বৎ আকৃতি দেখতে পাওয়া যায়, এবং কোন কোন বীজের চতুদিকে এক প্রকরে নির্বাস থাকে পশ্বাদি যখন কোন বনমধ্যে শয়ন বা বিচরণু করে, তৎকালে ঐ বড় শাস্ত্র ও নির্যাস দ্বারা বীজ সকল তাহাদিগের শরীরে লাগিয়া থাকে এবং তাহার। যখন স্থানান্তরে গাত্ৰস্পন্দনাদি কার্য্য সাধন করে, তৎকালে ঐ সকল বীজ তাহাদিগের শরীর হইতে জ্বলিত হইয়। ঐ সকল বীজের জাঙ্কুতি কৌশল তত্ত্ববোধিনী পঞ্জিকা ভূমিতলে পতিত হয় বম ও গ্রাস্তুর মধ্যে ভ্রমণ করতে করিতে দেখগিয়াছে, ৰে কোন কোন উদ্ভিদের"ধীজি বস্ত্র বা শরীর স্পর্শ হইবামাত্র তাছারা যেন আপন৷ হইতে তাহাতে আসিয়া আকৃষ্ট হয় । চোর কাট ও অপমার্গাদির ক্ষেত্রে ভ্রমণ করিলে অতি সহজেই তাহার ফল বস্ত্র ও শরীর লাগিয়া যায় এবং অনেক লতিকার নির্যাসময় ফল ও ঐ ৰূপে বস্ত্রাদিতে সংলগ্ন হইতে দেখা যায় । চতুর্থতঃ –পশ্বাদির ভোজন ক্রিয় উপলক্ষেও অনেক উদ্ভিদের বীজ নানা স্থানে বিক্ষিপ্ত হইয়া থাকে । ইহাও সামান্য অণশ্চর্যের বিষয় নহে। পশুদিগের যে জঠরাগ্নিতে তাহাদিগের ভুক্ত ফল শস্ত্যাদির সমুদায় ভাগ জীৰ্ণ হইয়া যায়, সেই উৎকট জঠরানল বীজকে জীর্ণ করিতে পারে না । বীজের উৎপাদিকা শক্তি যেমন তেমনিই থাকে। উচ্চার সংজীবনী শক্তি জীব শরীরের রাসায়নী শক্তিকে অতিক্রম করে । খত্নশীল কৃষকেরা যেমন চেষ্টা পূর্বক ভুমি কর্ষণ করিয়া শস্যবীজ বপন করে, কাকের। অজ্ঞানতঃ তদ্রুপ করিয়া অনেক স্থানে অনেক প্রকার বীজ বপন করিয়া থাকে ৷ উহারা বহুদূর হইতে স্বপকু ফলাদ আনয়ন করিয়া সঞ্চয়ার্থে চঞ্চ দ্বারা ভূমি খনন করিয়া তন্মধ্যে প্রোথিত করিয়৷ তদুপরি অপর মৃত্তিক চাপাদিয়া রাখে এবং অতি অপকাল পরেই তাহ বিস্মৃত হইয়া যায় । । সেই অযত্ন রক্ষিত মৃত্তিকাচ্ছন্ন বীজ কালেতে অঞ্জুরিত হইয়া বৃহৎ বৃক্ষে পরিণত হয় এবং প্রচুর ফল ধারণ করিয়া অসংখ্য জীবের জীবিক নির্বাহ করে। * পঞ্চমতঃ –কোন কোন বীজ শরীরে জগদীশ্বর পক্ষী জাতির পক্ষের ম্যায় অবয়ব রচনা করিয়াছেন এবং কোন কোন বীজকে g | লযুক্তর ও छ्निज्ठंझ। ज- * রাম দ্বারান্ধাচ্ছাদিত করিয়া রাখিরাছেন। বায়ু সহকারে ঐ সকল বীজ ত্বরিত গতি বিহঙ্গ অপেক্ষাও সত্বর বেগে উ 'ു.