পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা করিয়া বিশেষ শিপ নিপুণ পণ্ডিতেরাও বিস্ময়াপন্ন হইয়াছেন। পক্ষযুক্ত বীজ দিগের এমন স্থলে পক্ষ সংযুক্ত হইয়াছে, যে তাহাদিগের শরীরে অতি সামান্য বায়ু সংস্পর্শ হইবামাত্রেই তাহারা অনায়াসে উড়ন্ডীন হইতে পারে। ঐ বীজ যাবৎ কোষ মধ্যে অপকূবস্থায় কালযাপন করে, তাবৎ উহদিগের অঙ্গ সংলগ্ন পক্ষ পরিস্কার কপে প্রকাশ পায় না, কিন্তু উহাদিগের পকূবস্থা উপস্থিত হইলে যেন উহাদিগের শরীর হইতে আপন হইতে পক্ষ নির্গত হইতে থাকে, এবং যখন উহারা বিলক্ষণ ৰূপে সুপকু হয়, তখন উহাদিগের দেখিলে বোধ হয় যেন উহারা উড়উীন হইবার জন্য পক্ষ বিস্তার করিয়া প্রস্তুত রহিয়াছে । বিশেষতঃ জগদীশ্বর যেমন বিহঙ্গ জাতির শরীরের পশাৎ ভাগ ও পুরোভাগের ভার বিবেচনা করিয়া যথাস্থানে পক্ষ সংযোগ করিয়াছেন, উল্লিখিত বীজ শরীরে ও অবিকল তদ্রুপ বিবেচনার চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। সুক্ষ কেশরাচ্ছন্ন বঁজ দিগের কেশর সদৃশ অবয়ব গুলির দ্বারা যেমন তাহাদিগের বায়ু পথাৰ লম্বনের সুলভ উপায় সিদ্ধ হইয়াছে, সেই ৰূপ তদ্বারা উহাদিগের আশ্চর্য্য অঙ্গ শোভা ও বৃদ্ধি হইয়াছে । উহাদিগের গাত্র সংলগ্ন ঐ রোম রাজি গুলিও পকূবস্থায় প্রকাশ পায়, অপকূ কালে বীজ শরীরেই প্রচ্ছন্ন থাকে, ঐ সুকোমল সুক্ষ কেশর গুলির জন্য উল্লখিত বীজকে অত্যন্ত সুখম্পর্শ বোধ হয় অথচ উহ! দ্বারাই বীজ সকল স্থানস্তরে উপনীত হইয়া থাকে । অপকূবস্থায় উহাদিগের শরীরস্থ কেশর সকল প্রকাশিত হইলে কি জানি বায়ু সহक८द्र जैब्दीन इशेब्रा यनिं उश निश्श ७ মিরপ্পুরিত হইয় যায় এই নিমিত্ত কোন মতেই তৎকালে কেশর সকল প্রকাশ পায় না | , ষষ্ঠতা –কোন কোন উদ্ভিদের ক্ষল পকু ছটলে আপন হইতে বিদীর্ণ হইয় তাহার বীজকে বহুদূরে নিক্ষেপ করে। বীজ বিক্ষিপ্ত হইবার এই শেবোপায়ে পরমেশ্বরে.মও কৌশলের এক শেষ দেখিতে পাওয় Ն Պ যায়। পদার্থ বিদ্যাবৎ পণ্ডিতেরা পরীক্ষণ করিয়া দেখিয়াছেন, যে কেবল জড় পদার্থের স্থিতি স্থাপকতা শক্তির নিয়মানুসারে উল্লিখিত প্রকার অদ্ভুত ব্যাপার সম্পন্ন হয়। যে সকল বীজ ঐ ৰূপে কোষ বিদীর্ণ করিয়া স্থানান্তরে গমন করে, তাহাদিগের কোষ মধ্যে ঘড়ির দম বা ছিটকিনী কলের ন্যায় এক প্রকার নিক্ষেপণি শক্তি দেখিতে পাওয়া যায়,কিন্তু যাবৎনাবীক্ত স্থপকূ হয়,তাবৎ উক্ত শক্তি প্রকাশ পায় না । বিশেষ বিশেষ ফলে বিশেষ বিশেষ উপায় দ্বারা ঐ শক্তি রুদ্ধ থাকে। কোন ফলের বীজ অপকূীৰস্থায় কোষ মধ্যে তারের পেচের ন্যায় এক প্রকার কলে আটকান থাকে এবং পক্ক হইয়। বিক্ষিপ্ত হইবার অবস্থায় উপস্থিত হইলে ঐ কল আপনাপনি চুটিয়া গিয়া দুরে পতিত হয়। কোন কোন বীজ কোষ মধ্যে কবাট সদৃশ আচ্ছাদনে আবদ্ধ থাকে, পরে পক্ক হইলে ঐ কবটি আপন হইতে মুক্ত হওয়ায় বীজ দূরদেশে উপনীত হয়। কোন কোন বালু ভূমির বৃক্ষ বিশেষে এই বিষয়ের আরও আশ্চর্য্য কৌশল দেখিতে পাওয়া যায়। যে সকল বীজ পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে স্থিতি স্থাপকতা শক্তির নিয়মানুসারে কোষ হইতে দূরে নিক্ষিপ্ত হয় , প্রায় তাহারা শুস্কাবস্থাতেই কোষ মুক্ত হইয়া থাকে, কিন্তু উল্লিখিত বালুকক্ষেত্রস্থ বৃক্ষের বীজ শুষ্ক কালে নিক্ষিপ্ত না হইয়া সরস অবস্থা ও সরস কালে নিক্ষিপ্ত হইয়া থাকে। উহা শুদ্ধ অবস্থায় কোষ মুক্ত হইতে পারলে বালুক ক্ষেত্রে পতিত হইয়া এক কালে নিস্ফল ছইত, এই জন্য সরস কাল উপস্থিত না হইলে এবং সরস স্থান প্রাপ্ত না হইলে উক্ত বীজ কোষ হইতে বহির্গত হয় না। বৃক্ষচু্যত হইলেও নিরন্তর বায়ু সহকারে উড়িতে থাকে । যতক্ষণ সরস কালের সমাগম ও সরস স্থানের গ্রাপ্তি না হয়, ততক্ষণ উহার কোষ মুঞ্জিত থাকে । । r