পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রতীকার করে ; সেই প্রকার পুনঃ পুনঃ মোহপাশে পতিত হইলে পরিশুদ্ধ অপাপবিদ্ধ পরমেশ্বরের উজ্জ্বল সন্নিধান প্রথমে অসহ বোধ হয় বটে,কিন্তু র্তাহার স্নিগ্ধদৃষ্টি—র্তাহর প্রসন্ন মুৰ্ত্তিই আমাদের অসহ মনঃপীড়ার মহৌষধ, তাহার উৎসাহকর আননই আtমাদের নিজীব ভাবকে সতেজ করিতে এবং আমাদের নিবীৰ্য্য মনকে উৎসাহানলে প্রজ্বলিত করিতে পারে। আমর। যেখানে থাকি, যে অবস্থায় থাকি, আমরা তাহারই । আমরা আমাদের যথার্থ ধাম পরিত্যাগ করিয়া অরণ্যে অরণ্যে কতকাল ভ্রমণ করিতে পারি ? তাহার হস্ত আমাদিগের জন্য জন্ম - ক্ত রহিয়াছে, তিনি মুহূৰ্ত্ত কালের নিমিত্তে অমাদিগকে বিস্মৃত নহেন । তিনি সৰ্ব্বদাই আমাদের নিকটে রহিয়াছেন। অচেতন চন্দ্র সুর্য ওষধি বনস্পতি যদি তাহার আবাস স্থান হইল, তবে বিশুদ্ধ মন সেই পবিত্র স্বৰূপের কেমন উপযুক্ত আসন । কিন্তু আমাদের মনই কুটিল—আমরা প্রার্থনা করিনা-আমাদের ইচ্ছা নাই-আশা নাই, এই জন্যই তাহার অত্যুজ্জল প্রেমরত্ন লাভ করিতে পারি না । তিনি জ্যোতির জ্যোতিঃ র্তাহার নিকটে গেলেই তিনি আমাদের মনের অন্ধকার হরণ করেন । তিনিই ফলদাতা সিদ্ধিদাত মুক্তিদাতা--আমর তাহার নিকটে প্রখন। ভিন্ন আর কি করিতে পারি? আমাদের প্রার্থনা জনিত অশ্ৰুনদী এবং সেই অমৃত পুরুষের শীতল আশ্রয়, উভয়ই আমাদের পরিমান হৃদয় কুসুমকে বিকশিত করে। আমাদের পরিশুষ্ক সতৃষ্ণ তাত্মাতে তাহার বিশুদ্ধ প্রেম বারির বিন্দুমাত্রও পতিত হইলে সকল সন্তাপ দুর হইয়। ষায় । “স্বল্পমপ্যস্ত ধৰ্ম্মস্ত ত্রায়তে মহতোভয়াৎ ।” * ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং Ե- Ջ কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের বক্তৃত । ১ই জ্যৈষ্ঠ বুধবার ১৭৮১ শক এই অন্ধকার সংসারের পরপর সেই জ্যোতিৰ্ম্ময় ব্রহ্মধামই আমাদের আরামস্থান। মনুষ্যের আত্মা এই তিমিরাবৃত সঙ্কীর্ণ সংসার মধ্যে বন্ধ থাকিয় কোন মতেই প্রকৃত সুস্থত লাভ করিতে পারে না ; ক্ষুদ্র বিষয় লীলায় ব্যস্ত থাকিয় চিরদিন তৃপ্ত থাকিতে পারে না । মনুষ্যের জ্ঞান যত উজ্জ্বল ক্ষয়-ধৰ্ম্ম যত উন্নত হয়-প্রীতি যত প্রশস্ত হয়,তাহার আত্ম। অপ বিষয়েই তুষ্ট ন হইয়। আপনার প্রকৃত তৃপ্তি ও শন্তির স্থান আশ্রয় করিতে ততই ব্যগ্র হয়। সংসারের বিবিধ বাহ্য শোভা সকলেরই মনঃপ্ৰহলাদিনী, কিন্তু আমাদের আত্মার শাস্তি কোথায় ? সংসারের সহিত প্রণয় বন্ধন করিয়। আমাদের আত্ম কখনই পরিতৃপ্ত হয় না | বিষয় বিভব—কৃতি বাহুল্য-—কীৰ্ত্তি কলাপ, এ সমুদায় আমাদের মনকেষ্ট আকর্ষণ করিতে পারে, কিন্তু সেই তিমিরতীত শান্তি নিকেতনই আমাদের আত্মার অণরামস্থান । ঈশ্বরের মঙ্গল অভিপ্রোয় যাহতে সম্পন্ন হয়- তাহার মহতী ইচ্ছ। যাহাতে পূর্ণ হয়- আমাদের মনুষ্য জন্ম যাহাতে সম্পূর্ণ সার্থক হয় তাহার একই বিষয় এই যে আমরা জ্ঞান ধৰ্ম্ম উপার্জন করিয়। তাহার সন্নিধান প্রাপ্ত হই-তাঙ্কার সহবাস লাভ করি । বিষয় সুখই কি অমাদের মঙ্গল এবং সাংসারিক দুঃখই কি আমাদের অমঙ্গলের হেতু ? সুখ দুঃখই কি ঈশ্বরের মঙ্গল স্বৰূপের পরিমাপক, কখনই না । সুখ দুঃখ অবিশ্রান্ত বিচরণ করিতেছে—াম্পদ বিপদ স্ব স্ব অবসর অনবরত প্রতীক্ষা করিতেছে-কাল ও মৃত্যু নিরন্তর খড়গ্রহন্ত রহিয়াছে ; কিন্তু এই অসীম জগতের সমস্ত ঘটনার মধ্যেই ঈশ্ব