পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৮ দুই ইন্দ্রিয়কে সৃষ্টি করিয়াছেন । ঘ্ৰাণ ৰিন৷ *टबन्न मांभ कि भरनाइज़ रुझेउ ? त्रातू বিনা আমু ফল কি এই ৰূপ আহলাদের কারণ হইত ? এবং উদ্যানের স্মরণে চিত্তে কি এই প্রকার প্রফুল্লতার উদয় হইত । বিশেষতঃ এই সকল সুগন্ধি ও স্বস্বাদু দ্রব্য এক প্রকার নহে – শত প্রকারও নহে ; দেশ বিশেষে, স্থান বিশেষে বিচিত্র রচনা দ্বারা অগণ্য প্রকার সুখ সেব্য বস্তুতে জগদীশ্বর পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করিয়াছেন । বসন্তু কালের নানা বিধ কুসম সৌরভ, এবং ! গ্রীষ্ম শরদাদি কালের বিচিত্রস্বাদ সস্য ফলোৎপত্তি স্মরণ করিলে পরমেশ্বরের অ পার দয়া কাহার না হৃদয়ঙ্গম হয় ? ইহ সত্য যে এ পৃথিবীতে দুৰ্গন্ধ ও বিস্বাদু বস্তুও আছে, কিন্তু তাহাতেও ঈশ্বরের করুণারই প্রকাশ দেখিতেছি। অপরিস্কৃত দ্রব্য লিপ্ত বায়ু সেবন দ্বারা পীড়ার সম্ভাবনা l হয়, অতএব কৃপাবান পরমেশ্বর সেই দ্র ব্যকে দুৰ্গন্ধ যুক্ত করিয়াছেন, যে আমরা । তদ্বারা সাবধান হইয়। সেই পীড়াদায়ক বস্তু পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক সুস্থ থাকি ! গলিত দ্রব্যের ভক্ষণ দ্বারাও রোগোৎপত্তি হয়, তএব তিনি তাহাতে বিস্বাদু প্রদান করি য়াছেন, যে তৎ প্রযুক্ত তাহণকে ত্যাগ করিয়া আমরা শরীরের স্বচ্ছন্দত। রক্ষা করি । অতএব ঈশ্বরের সৃষ্টিতে কোন দ্রব্য কি অহিতকারী আছে ! জগদীশ্বর কি সূক্ষৰূপে---কি আশ্চৰ্য্য ৰূপে এই উভয় ইন্দ্রিয়ের শক্তিকে পরিমাণ করিয়াছেন । যদি ঘাণেন্দ্রিয় এইক্ষণকার অপেক্ষা সহস্র গুণ অধিক বল ধারণ করিত, ' তবে যে সকল দুৰ্গন্ধ দ্রব্য দূরস্থ প্রযুক্ত তাহার অপমাত্র পরমাণু নাসিকাতে লগ্ন হওয়াতে এইক্ষণকার অল্প স্বাণ শক্তি দ্বারা পরমাণুই সৰ্ব্বদা দুৰ্গন্ধ দায়ক হইত এবং যে সকল অল্প দুৰ্গন্ধ লোকালয়ের সকল স্থান হইতে পরিত্যাগ করা অসাধ্য, তাহাও সহস্র গুণ হইয়া সৰ্ব্বক্ষণ মহা ৰিয়ক্তির কী তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । রণ হইত। এই ৰূপ স্বাণ শক্তি যদি সহক্স গুণ অল্প হইত, তবে যে সকল নিকটস্থ দুর্গন্ধি বস্তু মিশ্রিত বায়ু সেবন দ্বারাসহসা পীড়ার উৎপত্তি হইতে পারে, তাহার দুর্গন্ধ অনুভূত হইত না,সুতরাং অসাবধান প্রযুক্ত সেই পীড়া দায়ক দ্রব্যের অণু সকল দেহ মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া অবিলম্বে শরীরের অক্ষস্থত জন্মাইত ; এবং যে সকল দ্রব্যের মনোহর সৌরভ দ্বারা যথেষ্ট ৰূপে চিত্ত আমোদিত হইতেছে, স্বাণ শক্তির হ্রাসত প্রযুক্ত এইক্ষণকার ন্যায় তাহার প্রচুর স্বগন্ধ অনুভব করিতে অসমর্থ হইলে পৃথিবীর কত মুখ হইতে বঞ্চি থাকিতাম । এই প্রকার রসেন্দ্রিয়ের শক্তিও অন্যথা হইলে মহা দুঃখের কারণ - ইত যে সকল উপকারি বস্তুর স্বাদু এইক্ষণে কিঞ্চিৎ কটু বোধ হয়, আমারদিগের রস গ্রহণ শক্তি শত গুণ বৃদ্ধি হইয় তাহা শত গুণ কটু হইলে রসনাতে কি স্পর্শ করিতে পারিতাম ? অনেক বিধ ভক্ষ্য পেয় বস্তুতে কিয়ৎ পরিমাণে লবণ মিশ্রিত হইলে তদ্বারা সুস্থত জন্মে, কিন্তু রসেন্দ্রিয়ের অতিরিক্ত বল দ্বারা লবণ রসের অত্যন্ত তীক্ষুতা হইলে তাহাকে জিহাতে সংলগ্ন করিতেও অশক্ত হইতাম, সুতরাং তাহাতে শরীরের স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইতে পারিত। এইৰূপ স্বাদুশক্তি হ্রাস হইলেও অনেক অমঙ্গলের সংঘটন কইত ; বিস্বাদু প্রযুক্ত যে সকল পীড়া জনক গলিত দ্রব্য এইক্ষণে ভক্ষণ না করি, স্বাদু শক্তি শত গুণ অলপ হইলে তাঙ্কার বিস্বাদু সম্যক ৰূপে অনুভূত হইত না, স্বতরাং তাহা ভক্ষণ করিয়া পীড়াগ্রস্ত হইতাম ; এবং যে সকল স্বস্বাদু দ্রব্যের আস্বাদ দ্বারা এইক্ষণে প্রচুর রূপে পরিতোষ প্রাপ্ত হইতেছি, তা চারদিগেরও উপযুক্ত স্বাদু গ্রহণে অসমর্থ - ইয়াকত আস্বাদন মুখে বঞ্চিত থাকিতাম । তাহার গন্ধ অনুভূত হইতেছে না, ঘুণে । শক্তি অত্যন্ত বৃদ্ধি হইলে তাহার সেই অল্প । অতএব যে পুরুষ এই উভয় ইন্দ্রিয়ের সৃষ্টি করিয়া আমারদিগের প্রতি প্রচুর অানন্দ বিতরণ করিতেছেন, এবং যিনি ইহারদিগের পরিমাণ মাত্রে এ প্রকার অপার করুণ প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাকে যেন নিমেষের নিমিত্তেও বিস্মৃত ন হই । ,