পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰূপে জানি, এবং তদনুসারে করিব ” । তদনন্তর রাজেন্দ্র তাহার ভ্রাতার সহিত কথোপকথন করিবার জন্য প্রার্থনা করিলেন, তা তে অনুমতি প্রাপ্ত হইয় তাহার সচিত সাক্ষাৎ করিলেন, এবং খ্ৰীষ্টিয়ান ধৰ্ম্ম বিষয়ে তাহার যে অভিপ্রায় তাহ উমে যে 4 তুমি সপ্তাহের জন্য অন্য কাহারও | | AAAAAA AAAA HHS HHHHH HeekHHAMMMHHtttCMMATMMAAAS {ыкчмөхжржwwwм мцтцеллюлгачилаг-гч-------т –т তত্ত্ববোধিনী লেন, যে “ আমার কৰ্ম্ম অামি আপনি উত্তম । পত্রিকা। মন করিলেন । সেই দিবসেই তাহার পিতা উক্ত স্থানে গমন পূৰ্ব্বক তাহার পুত্র বধূকে দশন করিবার প্রার্থনা করিলেন, তাহাতে সে স্থানে কয়জন এদেশস্থ খ্ৰীষ্টিয়ান ছিল, | | তাহারা অনেক সংশয়ের পরে সেই বালি কাকে উপস্থিত করিলেক ; কিন্তু স্মরণ ক রিতে হৃদয় ব্যাকুল হয়, যে সেই স্ত্রী তাহার শের নিকটে ব্যক্ত করিলেন, এবং কছিলেন, . নিকটে অবস্তিতি কর, যিনি ধৰ্ম্ম বিষয়ে । তোমাকে যথার্থ উপদেশ প্রদান করিতে আপন বাটীতে ফিরিয়া আইসে । পারেন । যে পৰ্য্যন্ত তুমি এবিষয়ের চর্চা । করিবে সে পৰ্যন্ত তুমি ভিন্ন স্থানে থাক, আমি তোমার ব্যয়ের আনুকূল্য করিব।” উমেশচন্দ্র ইহাতে সন্মত হইলেন, এবং কহিলেন, যে “আমি অতি বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছি, আমি যে কি করিব কিছুই স্থির করিতে পারি না, যে কৰ্ম্ম করিয়াছি তাহার জন্য অতিশয় শোকাকুল হইতেছি, এবং শ্বশুরকে দর্শন মাত্র চীৎকার ধুনিতে ক্ৰন্দন করিতে লাগিল, এবং তাহার ভাব দ্বারা স্পষ্ট বোধ হইল, য়ে তাহার শ্বশুরের সহিত কিন্তু তত্রস্থ পাষাণ চিত্ত খ্ৰীষ্টিয়ানেরা উমেশের পিতাকে তাহার পুত্রবধূ ত্যাগ করিয়া বা টীতে গমন করিতে কহিলেক, সুতরাং তিনি দুঃখে মগ্ন হইয়া গৃহে পুনরাগমন করিলেন। অনন্তর খ্ৰীষ্টিয়ান ধৰ্ম্মে উমেশচন্দ্রের কি পর্যন্ত বিশ্বাস হইয়াছে, ইহা জানিবার জন্য রাজেন্দ্র সরকার তাহার দুই জন বন্ধুকে এ প্রযুক্ত গত সমস্ত রাত্রি ক্রন্দন করি- “ মাছি । ডফ সাহেবের অভিপ্রায় অাছে, যে অদ্য সন্ধ্যার সময়ে পেরেন্টেল একেডেমি নামক বিদ্যালয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অভিষিক্ত করবেন ; যদিও তিনি অদ্য খ্ৰীষ্টিয়ান হইবার জন্য সামাকে আদেশ করেন, তথাপি আমি তাস্বীকার করিল ৷ ” এই প্রকার কথোপকথন নিস্তর স্থির হইল, যে পর দিবস রাজেন্দ সরকার এক জন উকীলের সমভিব্যtহারে ডফ সাহেবের বাটীতে আসিবেন, এবং উকলি যখন উমেশকে লইবার জন্য আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করিপেন, তখন তিনি সন্মত হইয়া তাহার সঙ্গে বাটা হইতে বাহির হইয়া আসিবেন । উমেশচন্দ্র তা উমেশের নিকটে প্রেরণ করেন । তালরা উক্ত দিবসে দিব। দুই প্রহর দুই ঘণ্টার সময়ে তথায় গমন করিলেন । প্রথমতঃ তাহার। স্বারে প্রবিষ্ট হইতে নিবারিত হইলেন, তথাপি অনেক ক্লেশে প্রবিষ্ট হইয়া উমেশচন্দ্রকে গৃহ মধ্যে দৃষ্টি করিলেন, এবং হার ভ্রাতার সহিত নুনাধিক অৰ্দ্ধ দণ্ড আ । লাপ করিয়াছিলেন, ইতিমধ্যে প্রায় ছয় বার ডফ সাহেব তাঙ্গারদিগের নিকটস্থ হয়েন, এবং শীঘ্ৰ কৰ্ম্ম সমাধা করিয়া তথা হইতে প্রস্থান করিবার জন্য রাজেন্দ্র সরকারকে পুনঃ পুনঃ ব্যগ্রতার সহিত কহিতে লাগিলেন, ইহাতে স্থতরাং তিনি সে স্থান পরিত্যাগ কুরিয়া আপন বাটীতে আগ দেখিলেন, যে তিনি অতি মলিন, স্ফূৰ্ত্তি রহিত, নিরানন্দ, এবং দুঃখে মগ্ন রহিয়াছেন। উমেশচন্দ্র তাঙ্গারদিগকে দর্শন করি বার জন্য অতি ব্যগ্র, এবং তাহারদিগের সচিত কথোপকথন করিতেও অভিলাষী হইয়াছিলেন । সে স্থানে অন্য এক জন বাঙ্গলি খ্ৰীষ্টিয়ান ছিল, সে পুনঃ পুনঃ বারণ করিতে লাগিল । তাহারা সেখানে পাচ মি . নিট কাল মাত্র ছিলেন, ইহাতে ডফ সাহেব তিন বার সেখানে আসিয়া তাঙ্কারদিগকে বাট পরিত্যাগ করাইবার জন্য পুনঃ পুনঃ উক্ত খ্ৰীষ্টানকে অনুমতি করিতে লাগিলেন। উমেশচন্দ্র তাহার ভ্রাতার প্রেরিত বান্ধবদিগের সহিত আলাপ করিবার জন্য বারস্বার প্রার্থনা করিলেক, তথাপি ডফ সাহেবের মন্ত্রণ ক্রমে তাহার লোক সন্মত হইলেক না, বরঞ্চ উমেশের সম্মুখের কপাট