পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনীপত্রিকা । রুদ্ধ করিলেক । পরন্তু পূৰ্ব্বোক্ত বাঙ্গালি খ্ৰীষ্টিয়ান তাহারদিগকে স্পষ্ট ৰূপে তথা হইতে প্রস্থান করিতে কহিলেক, এ প্রকার ব্যবহারে সুতরাং তাছারদিগকে সম্মত হইতে হইল। কিন্তু উমেশচন্দ্র পুনৰ্ব্বার কপাট উদঘাটন করিলেক, এবং যে পৰ্য্যন্ত তাহারা দৃষ্টির বছিভূত না হইলেন, সে পর্য্যন্ত তাহারদিগের প্রতি এক দৃষ্টিতে অবলোকন করিতে লাগিল । তাহার। সকলেরুসন্মুখে স্পষ্ট ৰূপে ব্যক্ত করিয়াছেন, যে যদি উমেশচন্দ্র কারাবদ্ধের ন্যায় বদ্ধ না । থাকিত, তবে অতি আহলাদ পূর্বক তাহার- ; দিগের সহিত আপন গৃহে প্রত্যাগমন ক | ›ማ¢ মার বহির্ভূত হইতেছে। পূৰ্ব্বাধিতাহারা কেবলকোশল জাল বিস্তার করিয়াছিল, কিন্তু এইক্ষণে তাহার সহিত প্রবল অন্যায় আচরণ সকলকে মিশ্রিত করিতেছে ।- ১৪ বৎসর বয়স্ক বালক, এবং ১১ বৎসর বয়স্ক বালিকা ধৰ্ম্ম বিষয়ে কি বিবেচনা করিতে সমর্থ হয় ? ইহারদিগকে ধৰ্ম্মচ্যুত করা কি ন্যায় যুক্ত ব্যবহার হইতে পারে । অন্য বিষয়ে কেহ উপদ্রব করিলে রাজ নিয়ম দ্বারা তাহার শাসন হয়, কিন্তু এ উপদ্রবের সম্যক শাসন নাই ! পূর্বে বালকের পিতা এবিষয়ে রাজ বিচারালয়ে আবেদন করিলে বিচtরকের ন্যায়যুক্ত বিচার করিতেন, ত রিত। কিন্তু কি দুঃখের বিষয়। রাজেন্দ্র ; জন্য অনেক বালক স্বধৰ্ম্ম ত্যাগে উদ্যোগি সরকার যে ডফ সাহেবের নিকটে এ প্রকার হইলেও রাজ নিয়ম দ্বারা রহিত হইয়াছে। মিনতি প্রকাশ করিলেন, তাহার ভ্রাতাকে ; কিন্তু এইক্ষণে উমেশচন্দ্রের দৃষ্টান্ত তাহার, যে স্থপরামর্শ দিলেন, এবং উমেশচন্দ্রের পিতা তাহার পুত্র ও পুত্রবধূর নিষ্কতি জন্য যে এত চেষ্টা করিলেন, সে সমুদয়ই বিফল হইল । উক্ত দিবসেই সন্ধ্যা হইবার পূর্বে দিব চারি ঘণ্টার সময়ে ডফ সাহেব ত্রস্ত হইয় পুৰ্ব্ব নিৰূপিত স্থান পেরেন্টেল একেডেমির পরিবর্তে আপন বাটীতেই ঐ বালক বালিকাকে অভিষিক্ত করিলেন । এইক্ষণে তাহার স্বধৰ্ম্ম হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়া মাতু কুল, পিতৃ কুল, শ্বশুর কুল, ৰান্ধব, প্রতিবাসি, দেশস্থ লোক সমুদয় হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়। সম্পূর্ণ বিপরীত দেখিতেছি। সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয় নাই, অথচ কি প্রকার নিয়ম দ্বার। পিতার শাসন হইতে বহিস্কৃত হুইল ? ইহাতে কি বিচারের অন্যথা দৃষ্ট হইতেছে না ? বিশেষতঃ রাজার অবিচার তখন অধিক স্পষ্ট ৰূপে প্রত্যক্ষ হয়,যখন স্মরণ করি,যেখ্ৰীষ্টিয়ান ধর্মের উৎসাহকারী এবং হিন্দু ধর্মের পূর্ণ বিরোধী এপ্রকার নিয়ম প্রচার হইবার উপক্রম হইতেছে, যে লোক সকল খ্ৰীষ্টিয়ান হইলেও পৈতৃক ধনের অধিকারি হইবেক । এই নিয়ম দ্বারা এ দেশের সমূহ দুৰ্ভাগ্য সৎ এবং সমুদয়কে যাতনাগ্রস্ত করিয়া ডফ সাচে- ঘটিত হইবার সম্ভাবনা! যিনি নানা ক্লেশে বের নিকেতনে অবস্থান করিতেছে । কিঞ্চিম্মাত্র ধন উপাৰ্জ্জন করিয়া পরিবার পোষণ করিতেছেন, তাহার কোন পুত্র খ্ৰীটিয়ান ধৰ্ম্মকে অবলম্বন করিলে অন্য সকল পুত্ৰ যদিও অনাহারে প্রাণ পরিত্যাগ করে, তথাপি পৃথক ৰূপে সেই বিধৰ্ম্মি কাল স্বৰূপ _ை অন্তঃপুরস্থ স্ত্রী পৰ্য্যন্ত স্বধৰ্ম্ম হইতে পারভ্ৰষ্ট হইয়। পরধৰ্ম্মকে অবলম্বন করিতে লাগিল ! এই সকল সাংঘাতিক ঘটনাকে প্রত্যক্ষ দেখিয়াও কি আমারদিগের চৈতন্য পুত্রের অণহারাচ্ছাদন রাজ বলদ্বায়1অবশ্যই হয় না । আর কত কাল আমরা অনুৎসাহ প্রদান করিতে হইবেক। সেই খ্ৰীষ্টিয়ান পুত্রের নিদ্রাতে অভিভূত থাকিব ! ধৰ্ম্ম যে এক সহিত এক গৃহে বাস করিবার ভয়ে যদি সমুকালীন নষ্ট হইল,এ দেশ যে উচ্ছিন্ন হইবার দয় পরিবার গৃহ পরিত্যাগ করিতেও বাধ্য উপক্রম হইল,এবং আমারদিগের হিন্দুনাম হয়েন, তথাপি তাহাকে সেই বাটার ভাগ যে চিরকালের মত शूख श्हेबोझ गडावना o - অবশ্য প্রদান করিতে হইবেক । ইহাতে হইল! মিশনরীদিগের দৌরাত্ম্য এপর্যন্ত কি সহিত সন্তানের বিবাদ,ভ্রাতার সহিত সন্থ হইয়াছিল,কিন্তু এইক্ষণেলছিলুতার সী পুত্বার + বিরোধ, স্ত্রীর সচিত জানি