পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । নক্ষত্রের গণনা হইবার সম্ভাবনাও নাই, যেহেতু যে পরিমাণে দৃষ্টি যন্ত্র উৎকৃষ্ট ও পরিষ্কত হইতেছে, সেই পরিমাণে নক্ষত্রের সংখ্যাও ক্রমশঃ বৃদ্ধি হইয়া আসিতেছে । বিশেষতঃ তাহারদিগের দূর স্মরণ করিলে বিস্ময়াপন্ন হইতে হয় । যদিও তাহ নির্ণয় করিবার কোন উপায় নাই; তথাপি সিদ্ধান্ত দ্বারা ইহা নিশ্চয় হইয়াছে যে অতি । নিকটস্থ নক্ষত্র ৮৬১০৮••••••••••• অষ্টঅস্ত ছয় সাগর এক শস্থ অষ্ট নিখৰ্ব্ব যোজন অপেক্ষাও অধিক দূরে আছে,এবং সকল নক্ষত্র পরস্পর ইহা অপেক্ষাও অধিকতর দূরদেশে স্থাপিত আছে । ইহাতে যখন চিন্তা করি, যে এই অপরিমেয় আকাশ ব্যাপি অগণ্য নক্ষত্র সকল প্রত্যেকে এক এক প্রকাণ্ড সূৰ্য্য, কেবল অত্যন্ত দূর প্রযুক্ত এপ্রকার ক্ষুদ্র ৰূপে দৃষ্ট হয়, এবং আমারদিগের এই সূর্যের ন্যায় তাহারা বৃহৎ বৃহৎ গ্রহ শ্রেণী দ্বারা বে ষ্টিত রহিয়াছে, যে সকল গ্রহ সম্ভবতঃ জন্তুদিগের অাবাস এবং বিচিত্র দ্রব্যের আধার হইয়াছে, তখন ব্রহ্মাণ্ডের সীমা ও মহত্ত্ব কি প্রকারে পরিমাণ করিবার সম্ভাবনা থাকে । বিবেচনা কর, যে যে পুরুষের স্বারা এই অসীম প্রায় ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হইয়াছে, যাহার দ্বারা এই বৃহৎ পৃথিবী মও লাদি মহা প্রবল বেগে ভ্ৰাম্যমান হইতেছে, তাহার শক্তি কি বিচিত্র এবং श्रडू उ ! সেই অচিন্ত্য শক্তিকে ভাবনা কবিতে চিত্ত বিস্মিত ও বিভ্রান্ত হইতেছে — আশ্চয্য সাগরে মগ্ন হইতেছে!! পরমেশ্বরের জ্ঞানও পরমাশ্চৰ্য্য। মনুষ্য কত ঘটিকা যন্ত্র বা বাস্পীয় নৌকা দৃষ্টি করিয়া যদি তাহার কর্তার জ্ঞানকে প্রশংসা করিতে হয়, তবে অসংখ্য প্রকার অদ্ভূত কাৰ্য বিশিষ্ট এই জগৎকে দৃষ্টি করিলে তাহার রচনা কৰ্ত্তা পরমেশ্বরকে কত ধন্যবাদ করিতে হয় । যে পরিমাণে সৃষ্টির | * k t »ዓ> পরমেশ্বরের বিশেষ কৌশল দৃষ্ট না হয় । সৌর জগতের রচনা যে অচিন্ত্য জ্ঞান দ্বারা সম্পন্ন হইয়াছে, সেই মহৎ জ্ঞানের চিহ্ন এক ক্ষুদ্র পিপীলিকার রচনাতেও প্রত্যক্ষ হইতেছে । বীৰ্য্যবান সূৰ্য হইতে দুৰ্ব্বল খদ্যোতিক পৰ্য্যস্ত, বিস্তীর্ণ মহা সমুদ্র হইতেসঙ্কীর্ণশিশির বিন্দু পৰ্যন্ত,মহোচ্চ পৰ্ব্বত হইতে নীচতম গহবর পর্যন্ত, বৃহদাকার "কুটবৃক্ষ হইতে সূক্ষ সৈবালক পৰ্যন্ত, এবং প্রকাণ্ড হস্তি হইতে ক্ষুদ্রতম কীট পর্যন্ত, সকল বস্তুতে তাঙ্গার অনন্ত জ্ঞান সমান ৰূপে দেদীপ্যমান রহিয়াছে । বিচিত্রত পরমেশ্বরের সৃষ্টির এক প্রধান অলঙ্কার। গমনের জন্য ভূচর জন্তুদিগকে পদ প্রদান করিয়াছেন যে সেই স্তম্ভ স্বৰূপ পদ তাঙ্কারদিগের গুরুতর শরীরকে অনায়াসে বহন করিতেছে । কিন্তু দুৰ্ব্বল পদাতিক পক্ষি সকল যদি কেবল পদ মাত্র বিশিষ্ট হইয়া ভূমিতেই বদ্ধ থাকিত, তবে অনায়াসে হিংস্র জন্তুদিগের গ্রাস মধ্যে পতিত হইত । এ নিমিত্ত্বে তাঙ্কারদিগকে অতি লঘু পক্ষ প্রদান করিয়াছেন, যদুার তাহারা অবলীলা ক্রমে বায় সাগরে সস্তরণ করিতেছে, এবং এৰূপ কোশল যুক্ত পুচ্ছ দিয়াছেন যদুর তাহার। আপনারদিগের গতি ক্রিয় স্বন্দর রূপে বিধান করিতেছে । জল ও মৎস্যদিগের ভার প্রায় সমান প্রযুক্ত তাহারদিগের সস্তরণ জন্য বি "ঙ্গের ন্যায় বিস্তৃত পক্ষের প্রয়োজন নাই, অতএব তাহার দিগকে পক্ষের ন্যায় এক প্রকার अठूज़ ध পদার্থ জ্ঞান বৃদ্ধি হইতেছে, সেই পরিমাণে । আমারদিগের নিকটে ঈশ্বরের অসীম জ্ঞান ৷ হইলে বিবর মধ্যে যাতায়াত করা দুঃসাধ্য প্রকাশ পাইতেছে । ব্রহ্মাণ্ড মধ্যে এমত জন্তু নাই, — এমত ভূ৭ও নাই, যাহাতে ত্যঙ্গ দিয়াছেন যদ্বারা তাঙ্গর জল মধ্যে গমনাগমন করিতেছে, এবং শরীর মধ্যে এৰূপ এক বায়ুপাত্র রচনা করিয়াছেন যাহার শৈথিল্য ও সঙ্কোচন দ্বারা উর্দু অধঃ গমন করিতে সমর্থ হইতেছে । কিন্তু সপ, কিষ্ণুলুকা প্রভৃতি যে সকল কীট বিবর মধ্যে লুক্কায়িত থাকে, তাহারদিগের গমন ক্রিয়। এক আশ্চর্ঘ্য ব্যাপার । পদ বা পক্ষযুক্ত হইত, এনিমিত্তে পূর্ণ জ্ঞান পরমেশ্বর তাহারদিগের দেহ মধ্যে এমত শির প্রজুতি নিৰ্মাণ