পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ة بsty করিয়াছেন যাহাতে তাহারা বিনা ক্লেশে দেহ সঞ্চালন করিতেছে । অতএব এক গমন ক্রিয়া সম্পন্ন করিবার নিমিত্তে জগদীশ্বর বিচিত্র উপায় প্রস্তুত করিয়া কি বিচিত্র নৈপূণ্য প্রকাশ করিয়াছেন! কোন শিল্পকার অতি অলপ স্থানে যদি অধিক কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে পারেন, ঘটিকাকার যদি এৰূপ ক্ষুদ্র ঘটিকা যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিতে পারেন, যে তাহ অঙ্গুলিতে ধারণা করা যায, তবে তাহার নৈপূণ্যকে আমরা প্রতিষ্ঠা করিতে প্রবৃত্ত হই । ইহাতে যিনি মহাকায় হস্তিতে যে সকল হস্ত, পদ, কণ্ঠ, মুখ, রক্ত, শিরা, মাংস, প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, অতি ক্ষুদ্র পিপীলিকা ও তদপেক্ষ সহস্র গুণ সূক্ষা জীবের শরীরেও সেই সমুদয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অতি পরিপাটী ৰূপে অৰ্পণ করিয়াছেন, তাহাকে কত ধন্য- | বাদ করা যায় । মনুষ্য অদ্য কোন কাৰ্য্য করিলে কল্য তাহাতে ভ্রম দৃষ্টি করেন, রাজা এক দিবস যে নিয়ম স্থাপন করেন, তৎপর দিবসে তাঁচ রহিত করিতে প্রস্বত্ত কয়েন, গ্রন্থকৰ্ত্ত প্ৰ তাষে যে বিষয় লিপিবদ্ধ করেন, সন্ধ্যাকালে ওiহ'শোধন করিতে বাধা হয়েন ; কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য! জগদীশ্বর সৃষ্টির প্রথম কালে তশবং ভবিষ্যৎ সময়কে দশন করিয়! সংসারের সৃষ্টি স্থিতি ভঙ্গের জন্য যাহাকে ষে স্বভাবযুক্ত ও যে নিয়মগত করিয়াছিলেন, সে সেই স্বভাব যুক্ত থাকিয় সেই নিয়মানুসারে অদ্যাপি জগতের কার্য সম্পন্ন করিতেছে, এবং তাবৎ ভবিষ্যৎ কালেও তাহার অন্যথা হইবার সম্ভাবনা নাই । সেই প্রথম দিনের নিয়মানুসারে অদ্যাপি সূৰ্য্য ষষ্টি দণ্ডাস্তরে উদয় হইতেছে, ঋত .do يمتا সকল পরস্পর একাদিক্ৰমে পরিবর্ত হইতেছে, এবং যথাক্রমে সম্বৎসরের কার্য্য সম্পন্ন হইয়া আসিতেছে । সেই এগুয় কালের স্বজ্ঞাসানুসারে অদ্যাপি বায়ু জীবন রক্ষা করিতেছে,জল সৰুল জন্তুর তৃষ্ণা শাস্তি করিতেছে, এবং পৃথিবী শস্য কলাদি উৎপন্ন করিয়া জঙ্কদিগকে জাহারদাঙ্গকার তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ॥ তেছে। এমত পূর্ণ জ্ঞানের তুলনা জার কোথায় আছে ? অনন্ত তুল্য ব্ৰহ্মাও মধ্যে যত দূর পর্ষ্যস্ত আমারদিগের বৃদ্ধি বিস্তার হয়, তত দূরে যখন সেই অখণ্ড জ্ঞানকে দেদীপ্যমান দেখি, তখন কি প্রকারে তাহার সীমা সম্ভব হইবেক । অতএব পরমেশ্বর যিনি তিনি অনন্ত জ্ঞান স্বৰূপ ! পরমেশ্বরের করুণারও পার নাই । অামারদিগের জীবন রক্ষার জন্য যাহাতে কোন প্রয়োজন নাই এমত প্রচুর স্থখ যখন তিনি আমারদিগের প্রতি আপণ করিয়াছেন, তখন কেবল তাহার করুণার প্রকাশ ব্যতীত অন্য কোন তাৎপৰ্য্য দৃষ্ট হয় না। পরমেশ্বর যথেষ্ট খাদ্য সামগ্ৰী সকল সৃষ্টি করিয়াছেন, যে আমরা তদ্বারা শরীরকে পোষণ করি, ক্ষুধার সৃষ্টি করিয়াছেন যে আপন হইতে উপযুক্ত কালে ভোজন করিতে প্রবৃত্ত হই, দেহ মধ্যে এমত যন্ত্র নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন, যে অন্ন পরিপাক পূৰ্ব্বক বক্ত মাংসে পরিণত হইয়া শরীরের পুষ্টি হয় । কেবল এই সমুদয় দ্বারা আমারদিগের শরীরের প্রতিপালন ও সুস্থত। অনায়াসে হইতে পারে, কিন্তু অমের রসাস্বাদনে যুখের অনুভব কি নিমিত্তে হয় ? স্বগন্ধ ঘুণে, মধুর স্বর শ্রবণে, সৌন্দৰ্য্য দর্শনে চিত্ত কি নিমিত্তে প্রফুল্ল হয় । সংসার নির্বাহ জন্য বুদ্ধি চালনা আবশ্যক বটে, কিন্তু পরে তদুর স্বগের উৎপরি কি নিমিত্তে হয় । পদার্থ বিচারে পণ্ডিত ব্যক্তি নদী প্রবাহ ও বারিবর্ষণের নিয়ম জানিয়া কি নিমিত্ত আলাদে পূর্ণ হয়েন । জ্যোতিৰ্ব্বেত্তা চন্দ্র সূর্য্যের গ্রহণ গণনা ও ধূমকেতুর উদয় নির্ণয় করিয়া কি নিমিত্তে আনন্দে মগ্ন হয়েন । শিপ শাস্ত্ৰজ্ঞ ব্যক্তি ঘটিকণ যন্ত্রের নির্মাণ ও বাম্প যন্ত্রের রচনা করিয়া কি নিমিত্তে পুলকে পরিপূর্ণ হয়েন । সম্যক প্রকারে সাধারণ মুখ শান্তির জন্য দয়া ও পরোপকার অাবশ্যক ধটে,কিন্তু অন্যের মঙ্গল চেষ্টা করিয়া দয়ালুও পরোপকারী ব্যক্তি কি নিমিত্ত্বে নি*णाममा नटडांनं रुरज्जन ? ७बश् ऎश्रङ्गड ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কালেই ৰণ কিমিঙ্গি